Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

বিচারক সংকটে মামলায় দীর্ঘসূত্রতা

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১৮:৪২

বিচারক সংকটে মামলায় দীর্ঘসূত্রতা

প্রতীকী ছবি

সারা দেশে বিচারক সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। দেশের প্রায় প্রতিটি আদালতে বিচারকের কাঁধে রয়েছে সক্ষমতার চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি মামলা। সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডার অনুযায়ী, একজন বিচারকের কাছে সর্বোচ্চ ৫০০ মামলা থাকার কথা। এর চেয়ে বেশি মামলা থাকলেই ন্যায়বিচার না পাওয়ার শঙ্কা থাকবে। অথচ সম্প্রতি প্রাপ্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গড়ে বিচারকপ্রতি বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০-এর বেশি। 

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও রয়েছে বিচারপতি সংকট। প্রধান বিচারপতিসহ মাত্র পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন আপিল বিভাগে। বর্তমানে আপিল বিভাগের মাত্র একটি বেঞ্চে বিচারকাজ চলছে। এ কারণে মামলা নিষ্পত্তির হার যেমন কমেছে, তেমনি বিচারপতি সংকটে ঝুলে রয়েছে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ, পিলখানা হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলা। 

যে কারণে দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৪৩ লাখ; যেখানে ২০১২ সালে বিচারাধীন মামলা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার। অর্থাৎ এক যুগের ব্যবধানে বিচার বিভাগে মামলার জট বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

বিচারে এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচারপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মামলা নিষ্পত্তির জন্য তাদের যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে যেমন ব্যয় বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভোগান্তি। এর থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। 

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও জট কমিয়ে আনার বিষয়ে সুপারিশ করে গত বছর আগস্টে আইন কমিশন একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এতে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পর্যায়ে পদ সৃষ্টি করে কমপক্ষে ৫ হাজার বিচারক নিয়োগ করা হলে জট কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আমরা আশা করি, ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫