
ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূল্য। দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো নানা অজুহাতে একের পর এক বাড়িয়ে চলেছে ওষুধের দাম।
জানা গেছে, এপ্রিলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ২৯ এপ্রিল কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের ওষুধের দাম বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।
দেশে উৎপাদিত প্রায় ৯৭ শতাংশ ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোম্পানিগুলোর উচ্চাভিলাষী বিপণন নীতি এবং বেশি মুনাফা করার প্রবণতাই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। যদিও ওষুধের দাম বাড়ার পেছনে প্রতিষ্ঠানগুলো সাম্প্রতিককালে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ বিভিন্ন ইউটিলিটিজের মূল্যবৃদ্ধি, বিশ্ববাজারে ওষুধের কাঁচামাল বৃদ্ধি, মার্কেটিং খরচ বেড়ে যাওয়াসহ ডলারের বিনিময় মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করছেন। তা ছাড়া লেবেল, কার্টন, মোড়ক সামগ্রী এবং বিপণনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ওষুধের কাঁচামালের দাম বেড়ে গেছে সত্য। তবে যে হারে তা বাড়ছে, সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য, খতিয়ে দেখা দরকার।
আমরা মনে করি, উন্নত বিশ্বের মতো ট্রেড নামের পরিবর্তে সব কোম্পানির ওষুধের একই নাম হতে হবে। মোড়কের চাকচিক্য পরিহার করে ওষুধের দাম কমাতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসকদের কাছে কোম্পানি উৎপাদিত ওষুধের প্রচার চালালে মার্কেটিং খরচ কমবে। সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বয়ে স্বাধীন কমিশন গঠন করে ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে হবে। সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো নামমাত্র মূল্যে ভোক্তার কাছে সরবরাহের ব্যবস্থা করা।