-66548422e3251.jpg)
বাজেট। প্রতীকী ছবি
আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে সাত লাখ ৯৬ হাজার ৯শ কোটি টাকা প্রস্তাবিত নতুন বাজেট উপস্থাপন হচ্ছে। এবারের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে আটকে রাখার প্রাক্কলন করা হচ্ছে। আগামী বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের এবার ব্যয় সংকোচনমুখী বাজেট করার পরিকল্পনা বলে জানা গেছে।
প্রতিবছরই নতুন বাজেটের সময় সাধারণ মানুষের মাঝে একটা আতঙ্ক বিরাজ করে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতি, তার ওপর নতুন করে আবার করের চাপ। সূত্রের তথ্যানুযায়ী, আগামী অর্থবছরের বাজেট চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা থেকে ৩৫ হাজার ১১৫ কোটি টাকা অর্থাৎ ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। অন্য বছরগুলোতে এ বৃদ্ধি হয় ১০ থেকে ১৩ শতাংশের মতো। এ ছাড়া রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের আদায় লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে সরকারের ৪ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার কর রাজস্ব আদায় করার কথা। সে হিসাবে সরকারের ও আইএমএফের লক্ষ্য কাছাকাছিই থাকছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আয়কর যারা দিচ্ছেন বা যারা করজালের মধ্যে আছেন, শুধু তাদের ওপর বোঝা না চাপিয়ে করের আওতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তার অংশ হিসেবে কিছু ক্ষেত্রে করছাড় এবং অব্যাহতি কমানো হতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতিসুবিধা বাতিল হতে পারে। দেশীয় শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন শিল্প খাতে যেসব মূসক অব্যাহতি রয়েছে, সেগুলোও প্রত্যাহারের দিকনির্দেশনা থাকার সম্ভাবনা আগামী বাজেটে থাকবে বলে জানা গেছে।
বাজেট বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং ডলার সংকট নিরসন-অর্থনীতির এই তিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যয় সংকোচনের বাজেট ছাড়া উপায় নেই। বাজেট বড় করলে তা হয়ে যাবে বিষাক্ত জিনিস। কারণ বাস্তবায়ন করতে না পারলে এবং সক্ষমতা অর্জিত না হলে বড় বাজেট কোনো কাজেই আসবে না। তারা বলছেন, বাজেটটা অবশ্যই ছোট হতে হবে। মনে রাখতে হবে, এখন জিডিপি প্রবৃদ্ধির দিকে না তাকিয়ে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর সেটা বাজেটের মাধ্যমেই করতে হবে।