
গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল
সাধারণভাবে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে বাজারে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। কিন্তু আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির যেন কোনো নিয়মনীতিই নেই। আজ যে পণ্যটি ৫০ টাকায় কেনা হলো, একদিন পরই তার মূল্য দোকানি চেয়ে বসছেন ৫৫ টাকা। অজুহাত হিসেবে বলা হয় দাম বেড়ে গেছে।
একদিনের ব্যবধানে কী করে কোনো কারণ ছাড়াই মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে তার উত্তর নেই কোথাও। যেসব পণ্যের উৎপাদন ও মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে, খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে সেগুলোরও দাম আকাশচুম্বী করছেন বিক্রেতারা।
এদিকে ঈদুল আজহা সামনে রেখে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে মসলা পণ্যের দাম। পিছিয়ে নেই ব্রয়লার মুরগি, ডিম, ভোজ্যতেল, আদা, রসুন, পেঁয়াজের দামও। যদিও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছেই। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
দ্রব্যমূল্যের অযৌক্তিক বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজির বিষয়টি সর্বজনবিদিত। যোগসাজশের মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া, পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা এরকম নানা অজুহাতে তারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে থাকেন। এ অবস্থায় বেশি দামে পণ্য ক্রয় করা ছাড়া ভোক্তাদের কোনো উপায় থাকে না।
আমরা মনে করি, যারা পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া দরকার। অতীতে ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্য নিয়ে বড় ধরনের কারসাজি করা হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে অন্যরা উৎসাহী হচ্ছে। কাজেই যে করেই হোক এ কারসাজি বন্ধ করতে হবে। বাজার তদারকি সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাতের বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তৎপরতা বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।