Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

কমিউনিটি ক্লিনিক : হাতের নাগালে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা

Icon

এম হাফিজুল ইসলাম

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২০, ১৫:৩৯

কমিউনিটি ক্লিনিক : হাতের নাগালে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা

বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি লোকের মধ্যে বড় অংশ এখনো গ্রামীণ জনপদে বসবাস করেন। যদিও আমাদের গ্রামগুলো ইতিমধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুতের সরবরাহের প্রায় নাগালে এসে গেছে। পার্বত্য অঞ্চল, হাওর অঞ্চল ও আরো দু-চারটি এলাকার উল্লেখ করা যেতে পারে, যেখানে আরো অনেক কিছু করনীয় আছে।

যদিও উল্লেখিত বিশেষ এলাকাসমূহের জন্য সরকারের কিছু অগ্রাধিকার কর্মসূচি চলমান আছে। যা উন্নয়ন কার্যক্রম, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুষ্টি সূচকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অগ্রসর এলাকার সমান্তরালে আনতে সহায়তা করবে।

এ সকল পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থা। এটা সরকারের একটি অগ্রাধিকার কার্যক্রম। যার সুফল আমরা পেয়ে চলেছি।
 
দেশের স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান হলো ইউনিয়ন পরিষদ যা কমবেশি ২০-৩০ হাজার জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত। পরিষদের রয়েছে ৯টি ওয়ার্ড। প্রতি ৩ ওয়ার্ড বা প্রায় ৬ হাজার নাগরিকের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার জন্য জমি প্রদান করেছেন স্থানীয় উৎসাহী দানশীল জনগণ এবং অবকাঠামো গড়ে দিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক সরকার এবং স্থানীয় জনগণের যৌথ অংশগ্রহণে এক উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রম। অর্থাৎ প্রতি ইউনিয়নে গড়পড়তা কমবেশি ২-৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। যেখানে একজন প্রশিক্ষিত সেবাকর্মী সেবা প্রদান করে থাকেন। যিনি ৩ মাসের মৌলিক (৬ সপ্তাহ তাত্ত্বিক ও ৬ সপ্তাহ ব্যবহারিক) প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। এরা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার বা সিএইচসিপি নামে পরিচিত। এদের আবার বড় অংশ হচ্ছে নারীকর্মী।

প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতাধীন এলাকাকে আবার তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে যেখানে কমবেশি ২-৩ হাজার লোক বসবাস করেন। এই এলাকার জন্য রয়েছে সমাজের নানান শ্রেণি পেশার মানুষের সমন্বয়ে কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ বা সিএসজি। যার মুখ্য কাজ হচ্ছে, জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা বিষয়ে সচেতন করা এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা গ্রহণের জন্য মানুষকে কমিউনিটি ক্লিনিকমুখী করা। এবং কমিউনিটি ক্লিনিক হতে প্রদত্ত স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা।

এ কমিটি প্রতি দুই মাসে একবার মিলিত হয় এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং সকলকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কার্যক্রমের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এই কমিটি বছরে একবার তাদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন এবং একটি বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা করেন এবং বিদ্যমান সম্পদের চিত্র পর্যালোচনাপূর্বক করনীয় ঠিক করেন। এ কমিটিতে নারী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও কিশোর-কিশোরীদের প্রতিনিধিও রয়েছেন।

আর কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রয়েছে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিউনিটি গ্রুপ বা সিজি। পদাধিকার বলে একজন নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এই কমিটির নেতৃত্বের রয়েছেন এবং এই কমিটিতে এক তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। এই কমিউনিটির মূল কাজ হলো কমিউনিটি ক্লিনিক হতে প্রদত্ত স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কার্যক্রম যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে তার জন্য পদক্ষেপ নেয়া।

যেমন- ক্লিনিকের ভিতরে ও বাইরে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা, ক্লিনিকে আগত ক্লায়েন্টদের জন্য বসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা, ক্লিনিকে হাত ধোয়া ও নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। কখনো কখনো বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা মোকাবেলার প্রচেষ্টা গ্রহণ, জরুরি অবস্থায় স্বেচ্ছাশ্রম ও বাড়তি ঔষধের ব্যবস্থা করাও এই কমিটির কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।


কমিউনিটি সার্পোট গ্রুপের সাথে সমন্বয় বিধান ও প্রতি দুই মাসে একবার সভায় মিলিত হয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবার কার্যক্রম মূল্যায়ন করাও এ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রতি ৬ মাসে একবার কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ যৌথ সভার মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা এবং এলাকার সার্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতির মূল্যায়ন করাও এই কমিটির কাজ।

সিএইচসিপিকে সহায়তা করার জন্য স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী নিয়ম করে সপ্তাহে তিনদিন করে কমিউনিটি ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সেবা প্রদান করার কথা। এ বিধান সব জায়গায় সমানভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না ফলে সিএইচসিপির উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বর্তমান সরকারের বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা পৌঁছে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি তা অনেকাংশে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বর্তমানে প্রায় ১৩০০০ এর অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক সারাদেশে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা প্রদান করছে। এর ফলে জনমানুষের প্রত্যাশা কমিউনিটি ক্লিনিক ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা পরের আলোচনার সেই বিষয়টির আলোকপাত করবো। বিদ্যমান কাঠামো অনুসারে এই সেবাকেন্দ্রে হতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করার কথা। এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ জন ক্লায়েন্টকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা প্রদান করার সুবিধা রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে সেবা প্রদান আরম্ভ হয়ে এবং দুপুর ২টা পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার বিধান চালু আছে। অর্থাৎ মোট সেবা প্রদানের সময় ৫ ঘণ্টা মাত্র।

হিসাব অনুযায়ী ঘণ্টার সর্বোচ্চ ৮ জন রোগী দেখার সুযোগ আছে। প্রতি রোগীর জন্য সময় বরাদ্দ আছে মাত্র ৭-৮ মিনিট। একজন সিএইচসিপিকে প্রায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম এককভাবে করতে হয়, যেমন রোগীর জন্য বসার ব্যবস্থা, রোগীর সমস্যা শোনা, ঔষধপত্র প্রদান ও ব্যবস্থাপনা এবং উপস্থিত রোগীদের জটলা সামলানো। তাই দায়িত্বশীল সেবাকর্মী তার উপর অর্পিত কর্তব্য কতটুকু মানসম্মভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

অনেক ক্ষেত্রে ক্লিনিকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ভারও তাকেই বইতে হয়। শৃঙ্খলা কার্যকর রাখার জন্য নিজেকেই তৎপর হতে হয়। আবার ক্লিনিকে রোগী প্রবাহ সবসময় সমানভাবে বহমান থাকে না। একটা বিশেষ সময়ে রোগীর চাপ অনেক বেড়ে যায়। এ সময় সত্যিকারভাবেই মানসম্মতসেবা প্রদান কঠিন হয়ে পড়ে। আবার সুযোগসন্ধানী ও প্রভাবশালীরা তাদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সকল নিয়মগুলোকে অবহেলা করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন। যা অন্যান্য ক্লায়েন্টদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে। উপরোক্ত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সেবাকর্মীকে হাসিমুখে সবাইকে সমতাভিত্তিক সেবা প্রদান চালিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন হয়।

বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও খাদ্য নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পালন করছে। পাশাপাশি পুষ্টি নিয়েও কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ সূচকসমূহে আমরা ক্রমাগত ভালো করছি কিন্তু ২০২৫ সালের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে আমাদের আরো ভালো করতে হবে। যেমন– খর্বতা, কৃষকায়তা, কম ওজনের শিশু জন্মদান, কিশোরী ও নারীদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা উল্লেখযোগ্য।

কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপগুলি যদি বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তৈরির সময় সামাজিক মানচিত্রের নির্ধারিত সূচকসমূহ যথাযথভাবে পর্যালোচনার মাধ্যমে সঠিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয় তাহলে গ্রামীণ জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব। এই প্রক্রিয়ায় সকল পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে একটি কার্যকর বহুখাতভিত্তিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব।

একটি বাস্তবভিত্তিক মনিটরিং ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের ভাগ্য ওদের হাতেই ছেড়ে দেয়া যাবে। এ ধরনের চিন্তা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ ও কমিউনিটি গ্রুপের প্রশিক্ষণ সহায়িকার এ ধারনাগুলি নিয়া বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক সংশ্লিষ্ট মানব সম্পদকে দক্ষ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে। এপর্যন্ত অগ্রগতি চিত্র -


নিরাপদ মাতৃত্ব, শিশু স্বাস্থ্য, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ওয়াস, অপুষ্টি প্রতিরোধ, নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের যথেষ্ট কাজ করার সুযোগ রয়েছে। একজন ইউপি সদস্য ক্লিনিক ব্যবস্থাপনার সাথে সংযুক্ত থাকায় ক্লিনিকের অনেক সমস্যা ইউপির বার্ষিক বাজেট থেকেও বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

আবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান যিনি আবার উপজেলা পুষ্টি কমিটির সদস্য বিধায় তিনি সংশ্লিষ্ট ইউপির স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যাসমূহ ঐ ফোরামে তুলে ধরতে পারেন। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক বাজেটে খাতওয়ারী বরাদ্দ যথাযথভাবে বরাদ্দ করে পুষ্টি ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের অংশগ্রহণকে আরো বাড়াতে পারেন। এর মাধ্যমে জনগণ ও সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহজ ও কার্যকর সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব।

সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের সামর্থ্য কাজে লাগাতে পারি। সরকার স্বীকার করে নিয়েছে যে দেশে কভিড-১৯ এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চলছে। তাই করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্তে আমরা কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ ও কমিউনিটি গ্রুপকে যথার্থভাবে কাজে লাগাতে পারি। এই দলকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এ সময়ে শারীরিক দূরত্ব ও সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট সনাক্তে সহযোগিতা নিতে পারি। তাছাড়াও এ সংক্রান্ত আতঙ্ক ও সামাজিক কলঙ্ক দূরীকরণে এই প্রশিক্ষিত দলের সহযোগিতা নেয়া আমাদের অতীব দরকার।

অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রামীণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আবার আজ ২৬ এপ্রিল এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস। ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশা ও চাহিদা পূরণ করা গেলে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জন করতে পারব। আলোচিত বাঁধাসমূহ দূর করার জন্য কয়েকটি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

১. ক্লিনিক হতে সেবা প্রদানের সময় আরো এক ঘন্টা বাড়ানো।
২. কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন চুক্তিভিত্তিক সহায়তা কর্মী নিয়োগ, যার প্রধান দায়িত্ব হবে ক্লিনিক এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সেবাকর্মীকে চাহিদাভিত্তিক সহায়তা প্রদান, ক্লিনিক ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করা। (ইউনিয়ন পরিষদ তার তহবিল হতে একজন করে সহায়তা কর্মী নিয়োগ দিতে পারে। একজন সুবিধাবঞ্চিত নারীকে একাজে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে)।
৩. স্বাস্থ্য সহকারি ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারিকে তিনদিন নিয়ম করে বসা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ক্লায়েন্টদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কার্ড এর প্রচলন করা, প্রতি দু’বছর অন্তর তা নবায়নের ব্যবস্থা থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা কার্ডের জন্য নামমাত্র ফি নেয়া যেতে পারে। দুস্থদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫. সেবা প্রদান করার সময় ক্লায়েন্ট এর গোপনীয়তা যাতে নিশ্চিত করা যায় তার পদক্ষেপ নিতে হবে।
৬. সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বকে উৎসাহ প্রদান করা যেতে পারে।
৭. কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপকে কার্যকর করার জন্য মনিটরিং ও কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
৮. সিএইচসিপিদের কাছ থেকে আরো কার্যকর সেবা আদায়ের লক্ষ্যে তাদের চাকুরীর নিশ্চয়তা বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: এম হাফিজুল ইসলাম, বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত, মেইল-hafijcare@yahoo.com




Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫