Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

অবিশ্বাস্য দুর্নীতি লুটপাট চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৫

অবিশ্বাস্য দুর্নীতি লুটপাট চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল

সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে দেশে সীমাহীন দুর্নীতির চিত্র পাওয়া গেছে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে দেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে পাচার হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা দিয়ে ৭৮টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। বলাবাহুল্য, একটি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য যা বিশাল অঙ্কের।

প্রতিবেদনে বিগত সময়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা চিত্র উঠে এসেছে। এ সময় বহু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প এবং প্রায় প্রতিটি প্রকল্পে বেশি ব্যয়ের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৭ লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে, যার ৪০ শতাংশ টাকাই লুটপাট হয়েছে।  

প্রতিবেদনে গত দেড় দশকে দেশে বিভিন্ন খাতে ২৮ ধরনের দুর্নীতির মধ্যে ব্যাংক খাতকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বলে চিহ্নিত করা হয়। এরপর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ভৌত অবকাঠামো এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ইত্যাদি। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ভুল ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেওয়ায় লাখ লাখ মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। 

শুধু তা-ই নয়, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে, অর্থনীতির বাস্তব চিত্রের সঙ্গে সে পরিসংখ্যান মেলে না। প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যানকে ভুল দেখানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রচারণার স্বার্থে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা প্রবৃদ্ধির গতি বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। 

শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে লুটপাটের এই বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার নিঃসন্দেহে আমাদের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের বড় কারণ। আমরা আশা করব, বর্তমান সরকার যথাযথ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে পাচারকৃত এই অর্থ ফেরত আনবে। সেই সঙ্গে লুটপাট চক্রের হোতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫