
গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল
মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে টিসিবির ট্রাক থেকে স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনতে আসা মানুষের ভিড়। মূলত বাজার খরচ থেকে কিছু টাকা বাঁচাতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে পণ্য সংগ্রহের কষ্ট করেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের এসব মানুষ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই চাপ সামলানোর সক্ষমতা এখন টিসিবির নেই। যে কারণে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য না পেয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে বড় একটি অংশকে।
বর্তমানে প্রতিদিন রাজধানীর ৫০টি স্পটে টিসিবির কার্যক্রম চলছে। টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল, পাঁচ কেজি চাল ও তিন কেজি আলু কিনতে পারছেন। এই চার পণ্য কিনতে একজন গ্রাহককে দিতে হয় ৫৯০ টাকা। আর খুচরা বাজার থেকে এসব পণ্য কিনতে লাগে প্রায় ১ হাজার ৫০ টাকা, অর্থাৎ টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনলে অন্তত ৪৫০ টাকা সাশ্রয় হয়। ফলে বিক্রির জন্য টিসিবির পণ্যের যে বরাদ্দ, লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ। ভালো নেই গ্রামের মানুষও।
মূলত বিপুল অর্থ পাচারসহ বিগত সরকারের নানাবিধ ভুল অর্থনৈতিক পদক্ষেপই বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী। কিন্তু সাধারণ মানুষের দায়িত্ব যেহেতু বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে, তাই টিসিবির পণ্যের সরবরাহ ও সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি। তবে সমস্যা হলো, দেশজুড়ে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের খবর হতাশাজনক। গত বছরের চেয়ে কেজিপ্রতি তিন টাকা বাড়িয়ে ১০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করলেও সরকারের ভান্ডার এখন পর্যন্ত প্রায় খালি।
আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তাই ধান-চালের অভ্যন্তরীণ মজুদ বাড়াতে হবে। কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও রাষ্ট্রীয় সংগ্রহ পরিকল্পনা সফল করতে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য বিদ্যমান বাজারব্যবস্থার ত্রুটি সারাতে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে।