Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার আইনগত সম্ভাবনা ও সমস্যা

Icon

রাইসুল সৌরভ

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার আইনগত সম্ভাবনা ও সমস্যা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য হয়ে পালিয়ে ৫ আগস্ট থেকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। বিক্ষোভের সময় নিরস্ত্র বেসামরিক জনতা, শিশু ও ছাত্রদের নির্বিচারে ও নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নিহতদের পরিবারের সদস্য, বিক্ষোভকারী এবং ছাত্রদের অভিযোগ যে তাদের অনেককে পুলিশ শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করেছিল। যার ফলে ১৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তার বিরুদ্ধে প্রথম ফৌজদারি মামলা করা হয়। তার পর থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (যা আসলে তার শাসনামলে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত হয়েছিল) গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য এবং সাধারণ ফৌজদারি আদালতে একের পর এক দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা, গুম, নির্যাতন, অপহরণ, হামলা ইত্যাদি অভিযোগে হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্য, দলের সদস্য এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৫০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।

তবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার এবং তার নেতৃত্বে সংঘটিত নির্যাতন, গুম, হত্যাসহ সব অপরাধের বিচারের দাবি শুরু হয়েছিল। হাসিনার বিরুদ্ধে এসব ফৌজদারি মামলা দায়েরের পর সে দাবি পুনরায় জোরালো হয়েছে। নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টাও দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন যে তারা আন্দোলনের সময় তার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাবেন।

এখন ভারত থেকে শেখ হাসিনার আইনগত প্রত্যর্পণের প্রশ্নটি প্রবলভাবে আলোচিত হচ্ছে। যদিও ফৌজদারি আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয় জায়গাতেই অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে বিচার করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ না নিয়ে তার বিরুদ্ধে বিচার করার উদ্যোগ নিলে তা ফলপ্রসূ হবে না। 

কোনো দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি বা অভিযুক্তের সে দেশে প্রত্যর্পণ একটি জটিল আইনগত প্রক্রিয়া, যা শুধু আইনিগতভাবেই নয়; বরং আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং মানবাধিকারসংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গেও জড়িত। 

নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে ২০১৩ সালে একটি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে একবার সংশোধন করা হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় এরই মধ্যে উভয় দেশ বেশ কিছু বন্দি নিজেদের মধ্যে বিনিময় করেছে বলে জানা যায়। তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী গণ-অভ্যুত্থানের ফলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে সরাসরি ভারতে পালিয়ে গেল। পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ২২ আগস্ট হাসিনা, তার উপদেষ্টা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সদ্য বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সব সদস্য, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার পর। তিনি ভারতে সেই লাল পাসপোর্টের বিশেষাধিকারে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। 

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ভিসা-সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে কূটনীতিক পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা ভিসা ছাড়াই সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে পারেন। যদিও ভারতে হাসিনা কীভাবে বা কোন মর্যাদায় পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাতে ভারত শুরু থেকেই নীরবতা পালন করে আসছে। এখন তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের পর অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে সেখানে যাওয়াও তার পক্ষে কঠিন হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির আইনি কাঠামোর মধ্যে বাংলাদেশের ভারত থেকে হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও ওই একই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের সেই অনুরোধ ভারতের অস্বীকার করার বিধান এবং সুযোগও রয়েছে। উপরন্তু, প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের জন্য দ্বৈত অপরাধের নীতি অবশ্যই পালন করতে হয় (অনুচ্ছেদ ১(২))। অর্থাৎ অপরাধটি উভয় দেশের আইনানুসারেই শাস্তিযোগ্য হতে হবে। আবার চুক্তির ২(৪) অনুচ্ছেদানুসারে, যদি কেউ একটি প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ সংঘটনে সহযোগী হিসেবে জড়িত থাকে বা অপরাধে সহায়তা করে বা প্ররোচনা দেয় কিংবা অংশগ্রহণ করে তাহলেও প্রত্যর্পণের আবেদন মঞ্জুর করা হবে।

২০১৬ সালে সংশোধনের পর অনুচ্ছেদ ১০(৩) অনুযায়ী অনুরোধকারী দেশের জন্য ফেরারি ব্যক্তিকে এখন ফেরত চাওয়া আরো সহজ। কারণ এখন আর অপরাধের প্রমাণ সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক নয়; কেবল আদালত থেকে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যর্পণের জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে। তাই অন্তত তাত্ত্বিকভাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেই তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হাজির না করেও তাকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের অনুরোধ করা যাবে।

তা সত্ত্বেও চুক্তির অভ্যন্তরে বেশ কিছু ব্যতিক্রম বিধান রয়েছে (অনুচ্ছেদ ৬-৮), যার বলে ভারত রাজনৈতিক প্রকৃতির মামলা বা নিপীড়নের আশঙ্কা বা যদি অপরাধ সম্পূর্ণরূপে সামরিক হয় তাহলে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে। তবে উল্লিখিত চুক্তির ৬(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, নিম্নলিখিত অপরাধগুলোকে রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না : (ক) যেকোনো কাজ বা কার্যবিরতি, যা বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে দণ্ডনীয় এবং উভয় চুক্তিকারী রাষ্ট্র যার পক্ষ; (খ) হত্যা; (গ) নরহত্যা বা অপরাধমূলক হত্যা; (ঘ) প্রকৃত শারীরিক ক্ষতি বা আঘাত ঘটানো, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউকে ক্ষতবিক্ষত করা বা গুরুতর শারীরিক ক্ষতি সাধনের জন্য হামলা, তা অস্ত্র, বিপজ্জনক পদার্থ বা অন্য কোনোভাবে সংঘটন করা; (ঙ) বিস্ফোরণের কারণে জীবন বিপন্ন হতে পারে বা সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো কাজ; (চ) কোনো ব্যক্তির দ্বারা বিস্ফোরক পদার্থ তৈরি বা হেফাজতে রাখা, যার মাধ্যমে নিজের বা অন্য কোনো ব্যক্তির জীবনকে বিপন্ন করা বা সম্পত্তির গুরুতর ক্ষতি সাধন করা; (ছ) কোনো ব্যক্তির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকা, যিনি নিজের বা অন্য ব্যক্তির জীবন বিপন্ন করতে চান; (জ) নিজের বা অন্য ব্যক্তির গ্রেপ্তার বা আটক প্রতিরোধ বা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার; (ঝ) জীবন বিপন্ন করার অভিপ্রায়ে বা অন্যের জীবন বিপন্ন হবে কি না সে বিষয়ে বেপরোয়া অবহেলা করে সম্পত্তির ক্ষতি; (ঞ) মনুষ্যহরণ, অপহরণ, বেআইনি কারাদণ্ড বা বেআইনি আটক, (ট) হত্যার প্ররোচনা, (ঠ) সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য কোনো অপরাধ যা অনুরোধের সময়, অনুরোধ করা পক্ষের আইনের অধীনে, রাজনৈতিক চরিত্রের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না; (ড) পূর্বোক্ত অপরাধের যেকোনো একটি করার চেষ্টা বা ষড়যন্ত্র বা এমন কোনো অপরাধ সংঘটন করার চেষ্টাকারী ব্যক্তির সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ।

লক্ষণীয় বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সবই উপরের কার্যক্রমগুলোর মধ্যে পড়ে, যা চুক্তি অনুযায়ী রাজনৈতিক প্রকৃতির নয়। তা সত্ত্বেও চুক্তি বলে ভারত যদি মনে করে আনীত অভিযোগ ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরল বিশ্বাসে করা হয়নি, তাহলে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে (অনুচ্ছেদ ৮(১)(ররর))। 

তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হলে তার সম্পূর্ণ নিরাপত্তা, সুরক্ষা, মানবাধিকার, আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ, আদালতে শুনানি ও প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ আচরণ, ন্যায়বিচার, তদন্ত ও বিচারে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না থাকা ইত্যাদি আস্থাজনকভাবে ভারতের কাছে নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ভারত এসব অভিযোগে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এ ছাড়া চুক্তির অন্যান্য অনেক ফাঁকফোকর দিয়ে ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বিলম্বিত করতে পারে।

এমনকি প্রত্যর্পণের অনুরোধ ভারতের বিচারব্যবস্থার মধ্য দিয়েও যেতে পারে। ভারতীয় আদালত যেখানে চুক্তির শর্তাবলি এবং বাংলাদেশের সরবরাহকৃত প্রমাণের ভিত্তিতে প্রত্যর্পণের অনুরোধের বৈধতা মূল্যায়ন ও যাচাই করে দেখতে পারে। 

অতএব, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে দেশে ফেরত নিয়ে এসে বিচার করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর বিস্তৃত এবং পরিপূর্ণ সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড় করে উপস্থাপন করতে হবে, আনীত অভিযোগ স্পষ্টতই আইনগতভাবে অপরাধমূলক এবং নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, সেটি দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করতে হবে। তখনই কেবল তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিযোগ আনার দাবি করা হলে সে দাবি অমূলক প্রমাণে যথাযথ ভূমিকা রাখা যাবে।

সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তার পক্ষ থেকে দাবি করা হলে তার পাল্টা শক্তিশালী এবং যুক্তিযুক্ত আইনি ব্যাখ্যা হাজির করে কিছু আশু পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিশ্বাসযোগ্য, দক্ষ, নিরপেক্ষ সংস্থা, যেমন জাতিসংঘের দ্বারা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন তদন্ত সম্পাদন, আইনি প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, ন্যায়বিচারের সব মানদণ্ডের শক্তিশালী প্রয়োগ, অভিযুক্তের সব অধিকার বাস্তবায়ন, স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা এবং তাদের সুপারিশ বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রভৃতি। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনি মানদণ্ড মেনে চলতে হবে, যার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যক্তির নিগ্রহের হুমকি রয়েছে বা তাকে নির্যাতন করার, তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ বা নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ওই ব্যক্তিকে সে দেশে প্রত্যর্পণ না করার নীতির প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন এবং সে সম্পর্কে দৃঢ় ঘোষণা ও বাস্তবসম্মত কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে নিশ্চয়তা প্রদান।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, হাসিনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার হওয়ার আশঙ্কা, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ন্যায্যবিচার প্রাপ্তি নিয়ে উদ্বেগ এসবই ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ না করার পেছনে উল্লেখযোগ্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আইনি যুক্তির চেয়ে কূটনৈতিক আলোচনা এবং উভয় সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর বেশি নির্ভর করবে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫