
গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল
জানুয়ারির প্রথম দিন পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে আসার কথা, কিন্তু ফেব্রুয়ারিতেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বই পায়নি। অনেক শিক্ষার্থী আবার পেয়েছে আংশিক বই। ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে জানুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি বইয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে।
এখনো প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ১৯ কোটি বইয়ের কাজ বাকি। সব বইয়ের কাজ শেষ হতে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে প্রেস মালিকরা জানিয়েছেন। জানা গেছে, সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি। তাদের মাত্র ৩৪ শতাংশ বইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ এই চার শ্রেণির ৬৬ শতাংশ বইয়ের কাজই বাকি। শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় মাসে এসেও অর্ধেকের বেশি বই শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে না পারা দুঃখজনক।
এবার বেশ কিছু বইয়ের পাঠক্রম বদল হয়েছে। এ কারণে এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহের দেরি মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এক মাস পরও অগ্রগতি খুবই সামান্য। এ ছাড়া যেসব বইয়ের পাঠক্রম বদল হয়নি, সেগুলোও এখন পর্যন্ত সরবরাহ হয়নি। বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছানো ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সময়মতো বই না পেলে তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে। এমনিতেই গত বছর আন্দোলন ও নানা কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিক অস্থিরতার মধ্যে ছিল। পাঠ্যবই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ ও উপস্থিতি দুটিই কমেছে। আগামী মার্চ মাস থেকে আবার রোজার ছুটি। ফলে শিক্ষার্থীরা সময়মতো বই না পাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।
প্রতি বছরই বই নিয়ে নানা সমস্যার কথা শোনা যায়। কিন্তু এই সমস্যা এবার প্রকট হয়ে উঠেছে। প্রতিবারই এনসিটিবির কার্যাদেশ দিতে দেরি হয়, আবার কোনো কোনো মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানও নানা বাহানায় সময় বাড়িয়ে নেয়। কর্তৃপক্ষের উচিত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।