
গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের বাহিনী গঠনের কথা আলোচনা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি অক্সিলারি ফোর্স (সহায়ক বাহিনী) নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে এটি বাস্তবায়নের আগে এর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এটা ঠিক যে বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় অপরাধ দমন, বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বাহিনী কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল ও দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশেই অক্সিলারি ফোর্সের কার্যক্রম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড, ভারতের হোম গার্ড বা সিআরপিএফ এবং যুক্তরাজ্যের স্পেশাল কনস্ট্যাবুলারি এ ধরনের বাহিনীর উদাহরণ। তবে বাংলাদেশে এ উদ্যোগ কতটা কার্যকর, তা প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়।
এ ক্ষেত্রে অক্সিলারি ফোর্সে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে রাজনৈতিক প্রভাব বা পক্ষপাতিত্বের কারণে এর অপব্যবহার না হয়। এ ছাড়া এই বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া যথাযথ হতে হবে। নইলে এটি অপরাধ দমনের পরিবর্তে নতুন ধরনের বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাতে পারে।
তাই অক্সিলারি ফোর্স বাস্তবায়নের আগে এসব ভেবে দেখা দরকার। আমরা দেখেছি এর আগে বিভিন্ন সময়ে আধাসামরিক বা বিশেষ বাহিনী নানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। কাজেই শুধু বাহিনী গঠন করলেই সমস্যার সমাধান হবে না, বরং এটি যেন
প্রকৃতপক্ষে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, সে দিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নইলে এটি নতুন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।