
গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল
এগিয়ে আসছে ঈদ, এগিয়ে আসছে দূরে থাকা স্বজনের কাছে ফেরার দিন। সেই সঙ্গে বেড়ে গেছে যানবাহনের চলাচল আর যানজট। রমজান শুরুর পর থেকে বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় বিপণিবিতানগুলোর সামনে সকাল থেকে ইফতারের সময় পর্যন্ত যানজট থাকে। ঈদের বাজারে যানজট, ভিড়-ভোগান্তি তো কিছু থাকবেই। কিন্তু জনভোগান্তিকে আরও বাড়িয়ে দেয় আমাদের আইন অমান্য করার প্রবণতা এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনাজনিত দুর্বলতা।
আমাদের দেশে যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহনের সংকট এমনিতেই প্রকট। এর ওপর ঈদের সময় যাত্রীর চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আনুমানিক এক কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বৃহত্তর ঢাকা ছাড়বে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ৬০ শতাংশ যাবে সড়ক পথে, বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে। এরই মধ্যে রেলপথ, জলপথ ও স্থলপথের টিকিট উধাও। টার্মিনাল, স্টেশন বা কাউন্টারে গেলে বলা হচ্ছে টিকিট শেষ। তবে অতিরিক্ত টাকা দিলে মিলছে টিকিট- এমন অভিযোগও রয়েছে।
যাত্রী চাপের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই সময় লক্কড়ঝক্কড় বাস, ট্রেন ও লঞ্চ কোনো রকম রংচঙ করে নামিয়ে দেয় পথে। ফলে প্রতি বছরই প্রচুর দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি হয়। এবারের ঈদকে সামনে রেখেও চলছে পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি, লঞ্চ ও ট্রেনের বগি রং করা এবং সংযোজনের প্রস্তুতি। বিশেষ করে নৌযানগুলোর ক্ষেত্রেই এ ধরনের চিত্র বেশি দেখা যায়। এসব ফিটনেসবিহীন যান পথে নামবে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনে। ফলে প্রতি মুহূর্তেই থেকে যাবে জীবনের ঝুঁকি।
সৃষ্ট পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। কারণ মানুষ সারা বছর পরিশ্রম করে যখন ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে ব্যস্ত থাকে, তখন যদি যাত্রাপথের ভোগান্তি বৃদ্ধি পায় তবে তা অত্যন্ত পরিতাপের।
ঘরে ফেরা মানুষের ঈদ যাত্রা হোক আনন্দ ও স্বস্তির। সবাইকে জানাই ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
ঈদ মোবারক।