Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

বাংলার বাঘ কিংবা গরিবের হক সাহেব

Icon

কবীর আলমগীর

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১১:৩২

বাংলার বাঘ কিংবা গরিবের হক সাহেব

শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক।

বুর্জোয়া রাজনীতিবিদদের অন্যতম প্রবণতা বৈষয়িক স্বার্থ। কিন্তু শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক এ ক্ষেত্রে ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি এলিট শ্রেণির বটে; কিন্তু চিন্তা-মননে আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন এই বঙ্গের নিম্নবর্গীয় মানুষের উন্নতির স্বার্থে। কৃষিভিত্তিক আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতায় তিনি ছিলেন কৃষকদের বন্ধু, গরিবদের কাছে ‘হক সাহেব’।

যেকোনো পরিবেশ-পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অসাধারণ দক্ষতা ছিল তার। যখন পুরান ঢাকার ছাদে ঘুড়ি উড়াতেন, মনে হতো তিনি খাস ঢাকাইয়া। যখন ভারতের নেতাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিতেন, মনে হতো তিনি ভারতীয়। আর এই বঙ্গের কৃষকদের সঙ্গে যখন মিশতেন, তখন মনে হতো মাটিসংলগ্ন সন্তান তিনি।

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার মিঞাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার আদি পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার চাখার গ্রামে। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যু।

চাকরি জীবন

১৮৯৭ সালে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে বিএল পাস করে স্যার আশুতোষ মুখার্জির শিক্ষানবিশ হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করেন এ কে ফজলুল হক। দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার পর ১৯০৬ সালে পূর্ব-বাংলার গভর্নর ব্যামফিল্ড ফুলার তাকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর প্রথমে জামালপুর মহকুমার এসডিও এবং পরবর্তী সময়ে সমবায়ের সহকারী রেজিস্ট্রার পদ গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষক-শ্রমিকদের বাস্তব অবস্থা নিজের চোখে পর্যবেক্ষণ করেন। সরকারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ১৯১১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে যোগ দেন। তুখোড় আইনজীবী হিসেবেও তার সুনাম ছিল।

রাজনৈতিক দর্শন

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক জমিদার-নওয়াব শ্রেণির সুবিধাভোগী রাজনীতির বাইরে থেকে বাংলার সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আবির্ভূত হন। তার রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল গ্রামীণ কৃষকসমাজের মুক্তি। সে সময় জমিদারি প্রথার কারণে বাংলার কৃষকরা চরম নিপীড়নের শিকার হতো। ফসল উৎপাদন করেও ভূমির মালিকানা পেত না, বরং জমিদারদের চরম শোষণের শিকার হতো। ফজলুল হক ‘প্রজাস্বত্ব আইন’ প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষকদের জমির ওপর অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। তার প্রবর্তিত নীতিমালা ও প্রশাসনিক সংস্কার বাংলায় জমিদারি প্রথা দুর্বল করতে বড় ভূমিকা রাখে। 

১৯১৪ সালে তিনি নিখিল ভারত কংগ্রেস দলে যোগ দেন এবং মুসলীম লীগ ও কংগ্রেস দলের নেতা হয়ে ওঠেন। ১৯১৮ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন। ১৯১৮ সালে দিল্লিতে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাঙালিদের মধ্যে তিনিই একমাত্র নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯১৯ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট পদ লাভ করেন।

এ কে ফজলুল হক খেলাফত আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেন। ১৯২২ সালে মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলে এ কে ফজলুল হক খুলনা উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। ১৯২৪ সালে খুলনা অঞ্চল থেকে তিনি পুনরায় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত এবং বাংলার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ পান। ১৯২৩ সালে চিত্তরঞ্জন দাশ ও মতিলাল নেহেরুর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল স্বরাজ্য দল। এই দলের অন্যতম কর্মসূচি ছিল আইনসভায় নির্বাচিত হয়ে সরকারি নীতির বিরোধিতাসহ সরকারি বাজেট বা আয়-ব্যয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা। স্বরাজ্য দল ১৯২৪ সালের বাজেটের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে। এ সময় ১৯২৪ সালের ১ আগস্ট এ কে ফজলুল হক মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন।

১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিপরিষদ গভর্নর এন্ডারসনের কাছে শপথ গ্রহণ করেন। বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক।

১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে গঠিত হলো যুক্তফ্রন্ট। ১৯৫৪ সালের ১০ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মুসলিম লীগ ৯টি আসন লাভ করে। ১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল এ কে ফজলুল হক চার সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করেন। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয় ১৫ মে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

১৯৫৬-এর ২৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র গৃহীত ও ২৩ মার্চ তা কার্যকর হয়। এ সময় এ কে ফজলুল হক পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে ৮৩ বছর বয়সে করাচি থেকে ঢাকায় এসে ২৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার তাকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করে। এরপরই তিনি ৮৬ বছরের রাজনৈতিক জীবন থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।

কৃষকের জন্য...

১৯২৯ সালের ৪ জুলাই বঙ্গীয় আইন পরিষদের ২৫ জন মুসলিম সদস্য কলকাতায় একটি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। এই সম্মেলনে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি নামের একটি দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলার কৃষকদের উন্নতি সাধনই ছিল এই সমিতির অন্যতম লক্ষ্য। ঢাকায় প্রজা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৪ সালে। এই সম্মেলনে এ কে ফজলুল হক সর্বসম্মতিক্রমে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালের মার্চে বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টির পক্ষ থেকে পটুয়াখালী নির্বাচনী এলাকা থেকে এ কে ফজলুল হক মুসলিম লীগের মনোনীত পটুয়াখালীর জমিদার ও ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য খাজা নাজিমুদ্দিনকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। কৃষক প্রজা পার্টির স্লোগান ছিল, ‘লাঙল যার জমি তার’, ‘ঘাম যার দাম তার।’ এই নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টি ৩৯টি ও মুসলিম লীগ ৩৮টি আসন লাভ করে। নির্বাচনে মুসলিম লীগের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়ে এ কে ফজলুল হক ১১ সদস্যবিশিষ্ট যুক্ত মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। 

কৃষি আধুনিকায়নের জন্য ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার দৌলতপুরে কৃষি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাটচাষিদের নায্যমূল্য পাওয়ার লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে ‘পাট অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়। এ কে ফজলুল হক কৃষকের স্বার্থ বিশেষভাবে নিপীড়িত দরিদ্র কৃষকদের নায্য অধিকারকে মান্যতা দিয়ে অবিভক্ত বাংলায় কৃষক প্রজা পার্টি গঠন করে বাংলার রাজনীতিতে কৃষকদের অধিকারকে প্রাসঙ্গিক করে তোলেন। তিনি বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৮ সালে ‘ফ্লাউড কমিশন’ গঠন করে। ১৯৩৮ সালের ১৮ আগস্ট বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধনী পাস করানো হয় এবং কৃষকদের ওপর জমিদারদের লাগামহীন অত্যাচার চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়। পাটচাষিদের নায্যমূল্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে ‘পাট অধ্যাদেশ’ জারি করা হয় ১৯৩৮ সালে। ১৯৩৯ সালে ‘চাষি খাতক আইন’-এর সংশোধনী এনে ঋণ সালিশি বোর্ডকে শক্তিশালী করা হয়।

১৯২৬ সালে ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জে দেনার দায়ে কৃষকদের জমি কেড়ে নেয় জমিদার আর মহাজনরা। এই ব্যাপারটিকে নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদের উপায়ে আনতে ডাক দেওয়া হয় প্রজা সম্মেলনের। মানিকগঞ্জের মহকুমার ঘিওর হাটের প্রজা সম্মেলনে সভাপতিত্ব করার জন্য আহ্বান জানানো হয় ফজলুল হককে। সেখান থেকেই অত্যাচারী মহাজনদের বিরুদ্ধে প্রকারান্তরে অসহযোগের ডাক দেন তিনি। তিনি বলেন, দয়া করে জমি যখন নিয়েছে, এবার কর্তারা লাঙ্গল চষুক মাঠে নেমে। ফসল বুনুক, ফসল ফলাক, ফসল কাটুক।

শিক্ষায় অবদান

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক শিক্ষা ক্ষেত্রে জোর দিয়েছিলেন বেশি। তার আমলে দরিদ্র কৃষকের ওপরে কর ধার্য না করে সারা বাংলায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করা হয়। ১৯৩৯ সালের ‘বঙ্গীয় চাকুরি নিয়োগবিধি’ প্রবর্তন করে মন্ত্রী পরিষদ মুসলমানদের জন্য ৫০ শতাংশ চাকরি নির্দিষ্ট রাখার ব্যবস্থা করে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার বিল, মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলার গভর্নরের কাছ থেকে বৃত্তি ও আর্থিক সাহায্য, মুসলিম এডুকেশন ফান্ড গঠন, মাধ্যমিক শিক্ষা বিল উত্থাপন, বরিশালে চাখার কলেজ, আদিনা কলেজ, মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ প্রতিষ্ঠা, নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য কলকাতায় লেডি ব্রেবোন কলেজ ও ঢাকায় ইডেন কলেজ প্রতিষ্ঠা, কলকাতার বেকার হোস্টেল (যেখান থেকে বঙ্গবন্ধু লেখাপড়া করেছেন) কারমাইকেল হোস্টেল এবং ফজলুল হক মুসলিম হল প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এই নেতা।

বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯১৩ থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত তিনি পরিষদের সভায় মোট ১৪৮ বার বক্তৃতা করেন। এর মধ্যে ১২৮ বার তিনি দাঁড়িয়েছিলেন পিছিয়ে পড়া বাঙালি মুসলমানদের শিক্ষা সম্পর্কে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। তার উদ্যোগেই ১৯১৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কারমাইকেল ও টেইলার হোস্টেল স্থাপন করা হয়েছিল। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, সহযোগিতা করেন নাথান কমিশনের বিভিন্ন কাজে।

কিছু গল্প, কিছু মিথ...

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হককে ঘিরে গ্রাম-বাংলায় নানা গল্প ছড়িয়ে আছে, যা মিথতুল্য। যেমন- তিনি এতই মেধাবী ছিলেন যে, এক বই পড়ার পর তার পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলতেন। তিনি নাকি বলতেন, এই বই ছেঁড়ার পর বাবা আমাকে নতুন আরেকটি বই কিনে দেবেন। তার শরীরে ছিল প্রচ- শক্তি। বাজারের সবচেয়ে বড় কাঁঠাল এক বসাতে খেয়ে শেষ করতেন। তবে এসব ঘটনার ভেতর কিছু কাল্পনিক গল্পও ঢুকে যায়। যেমন- তিনি খালি হাতে বাঘ শিকার করেছিলেন বলেই তার নামের আগে যুক্ত হয়েছে ‘শের-ই-বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’।

বজ্রের মতো ভারী কণ্ঠস্বর। লং জাম্প, দৌড়, সাঁতার, লাঠিবাজি, পাঞ্জা, বৃক্ষারোহণ, কাবাডির মতো খেলাধুলায় তার আগে কেউ ছিলেন না। নারকেলগাছে উঠে তিনি অনায়াসে পাঁচ জোড়া নারকেল নিয়ে নামতে পারতেন। 

ফজলুল হকের খাওয়াতেও ছিল কিংবদন্তি। একসঙ্গে ২০টি ডাবের পানি, চার জগ খেজুরের রস খাওয়ার রেকর্ড ছিল তার। তিনি নাকি একসঙ্গে ৪৫টি আমও খেতে পারতেন।

দাবা খেলায় তিনি কোনো দিন হারেননি। মাতৃভাষা ছাড়াও ইংরেজি ও ফার্সিতে পণ্ডিত ছিলেন। ছিলেন ভীষণ বাকপটু, সুবক্তা। তার ‘লক্ষ্ণে চুক্তি’, দিল্লি অধিবেশনে সভাপতির ভাষণ, পাকিস্তান প্রস্তাব পেশের জ্বালাময়ী বক্তৃতা ইতিহাসের স্বর্ণ অধ্যায় হয়ে আছে। সেসব বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে পাঞ্জাববাসী এ কে ফজলুল হককে ‘শের-ই-বঙ্গাল’ উপাধি দিয়েছিল। অসীম সাহসিকতা, অদমনীয় মনোভাব তার এই ‘বাংলার বাঘ’ উপাধিকে যথার্থতা দিয়েছে। বাংলার মানুষ তাকে ভালোবেসে ‘হক সাহেব’ ডেকেছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫