Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য

Icon

রাহমান চৌধুরী

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ১৩:০০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন রুশো। শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিলেন। রুশোর শিক্ষাচিন্তা সমগ্রবিশ্বকে আলোড়িত করেছিল আর নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ‘রুশো ব্যতিরেকে ফরাসি বিপ্লব সংঘটিত হতো না। সেই রুশো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বলেছিলেন এভাবে যে, ‘শিক্ষা হলো মানুষের জন্মগত অধিকার’। ব্রিটিশ শাসকরা কিন্তু ভারতে ঠিক বিপরীত চিন্তাটাই করেছিল।

লর্ড অকল্যান্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, শুধু সমাজের উচ্চশ্রেণির মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের দ্বারা সরকারের শিক্ষা প্রচেষ্টাকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। তিনি সাধারণ মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার বিরোধী ছিলেন। তিনি মনে করতেন, নিম্নশ্রেণির জন্য পড়াশোনা নয় কারণ উচ্চশ্রেণির মধ্যেই পঠনপাঠনের জন্য পর্যাপ্ত অবসর রয়েছে। দরকার মতো উচ্চশ্রেণির সংস্কৃতিই সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। প্রাথমিক আর কারিগরি শিক্ষার চেয়ে ইংরেজ সরকার গুরুত্ব দিয়েছিল উচ্চশিক্ষাকে। ফরাসি বিপ্লবে বলা হয়েছিল, শিক্ষা চাই সবার জন্য। ভারতে ব্রিটিশ শাসকরা বলল, সবার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন নেই। কিছুসংখ্যক উচ্চবিত্তকে শিক্ষা দান করলেই হবে। পরবর্তীকালে কাউন্সিল অব এডুকেশন স্পষ্টই ঘোষণা করে, সাধারণ মানুষকে শিক্ষিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, সমাজের বুদ্ধিমান সম্প্রদায়কে শিক্ষিত করে তোলা আমাদের উদ্দেশ্য।

ফরসি বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গে সব বিশ্ববিদ্যালয় রাতারাতি বন্ধ করে দিয়ে, প্রাথমিক শিক্ষাকে সবার দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল রুশো এবং তাঁর সমর্থকরা। ভিন্ন দিকে ব্রিটিশরা বাংলার ধর্মনিরপেক্ষ ‘পাঠশালা’ শিক্ষার ধ্বংস সাধন করে উচ্চশিক্ষা চালু করতে চাইল। পাঠশালায় পড়াশোনা করত গ্রামের সাধারণ মানুষের সন্তান আর সেটাই ছিল সাক্ষরতা লাভের উপায় বা প্রাথমিক শিক্ষা। ব্রিটিশ শাসকদের ভারতে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছিল, ‘ইউরোপীয় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে ভারতীয়দের সচেতন করে তুলে ইংল্যান্ডের কারখানাসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় ভারতীয় কাঁচামালের সরবরাহ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া, পাশাপাশি ব্রিটেনে উৎপন্ন পণ্যের যাতে ভারতের বাজারে অফুরন্ত চাহিদার সৃষ্টি হয়, সেই ব্যবস্থা করা।’ ব্রিটিশদের শিক্ষানীতি স্পষ্ট, আর তা কার্যকর করার জন্য উচ্চশিক্ষার নামে কিছু ভারতীয় করণিক তৈরি করতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৫৭ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাঁচে কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে গড়ে উঠল বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষ তখন চেয়েছিল, উচ্চশিক্ষা দানের মধ্য দিয়ে তাদের বশংবদ একটি নতুন শ্রেণির বিকাশ ঘটাতে। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা সাজান হয় ‘চাকরি পাওয়া ও প্রতিষ্ঠা লাভের’ প্রলোভন দিয়ে। মনে করা হতো, ব্রিটিশ শাসকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা দরকার ভারতবাসী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবার জন্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিটনকার ১৮৬৮ সালের সমাবর্তনে ঠিক সেই কথাটাই বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের ব্রিটিশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। ব্রিটিশদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, শিক্ষার্থীরা যেন ব্রিটিশ শাসকদের প্রতিদান দিতে ভুলে না যায়। পরের বছরের সমাবর্তনেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন, দেশ শাসনের কাজে বুদ্ধিজীবী শ্রেণির দায়িত্ব হলো সরকারের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে দেশীয় উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন, প্রার্থনা করি তোমরা যেন ভারতের প্রতি ইংল্যান্ডের শুভেচ্ছার কথাটা স্মরণ রেখে তাদের দাবির প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারো এবং ভারত সম্পর্কে তাদের যাবতীয় অবিশ্বাস আর ভ্রান্তধারণা দূর করে পারস্পরিক সম্পর্কে আস্থা তৈরি করতে পারো। উপাচার্যের বক্তৃতায় দেখাই যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আশা করা হতো, বিদেশি শাসকদের স্বার্থ রক্ষা করা।

ফলে শাসকদের স্বার্থ রক্ষার শিক্ষাই প্রধানত দেওয়া হয় ব্রিটিশদের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্রিটিশরা চলে যাবার পর সে-ধারাটাই বজায় থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরকারবিরোধী যেসব আন্দোলন হতো একটি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তা দেখে মনে করার কারণ নেই যে, শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার শিক্ষা লাভ করা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। খুব কমসংখ্যক ছাত্রই সেসব আন্দোলনে যোগ দিতো। সেই আন্দোলন করার শিক্ষাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে পাওয়া যেত না। সেটা পাওয়া যেতো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমের বাইরের শিক্ষা থেকে, পত্রপত্রিকার খবর দেখে। ফলে দশ শতাংশ ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হতো কি না সন্দেহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কত শতাংশ ছাত্র যোগ দিয়েছিলেন হিসাবটা নিলেই হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের কত শতাংশ কৃষক-শ্রমিক-মজদুরশ্রেণির মধ্য থেকে এসেছিল সেটাও বিবেচনায় রাখা দরকার। ব্রিটিশদের শিক্ষানীতি ছিল, পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষাভীতির ব্যাপারটি ব্রিটিশ শিক্ষানীতির দান। প্রাচীন ও মধ্যযুগের ভারতের চতুষ্পাঠী, টোল, মাদ্রাসা বা পাঠশালা শিক্ষায় পরীক্ষাভীতি বলে কিছু ছিল না। না বুঝে মুখস্থ করার শিক্ষাটাও ব্রিটিশদের দান। যা বর্তমানে বাংলাদেশসহ ভারতের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তাই। 

শিক্ষাচিন্তক পাওলো ফ্রেইরে লিখেছিলেন, ‘শিক্ষা এখন বর্ণনাত্মক অসুস্থতায় ভুগছে। শিক্ষক এমনভাবে বাস্তবতার কথা বলেন, যেন তা গতিহীন, স্থির। তিনি এমন সব বিষয়ের অবতারণা করেন, যা ছাত্রদের বাস্তবজীবনের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্কহীন। শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কিছু বর্ণনা করে ছাত্রদের মগজ পুরো করে দেওয়া।’ শিক্ষক যাকে সত্যিকার জ্ঞান বলে বিবেচনা করছেন, তা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মগজ ভর্তি করাই তাঁর কাজ। তিনি যা শেখাচ্ছেন বা বর্ণনা করছেন তা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন, সমগ্রতার সঙ্গে সম্পর্করহিত। শিক্ষাকে তার যথার্থতা থেকে ফাঁপা, বিচ্ছিন্ন এবং খাপছাড়া বকবকানিতে পর্যবসিত করা হয়। শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের যান্ত্রিকভাবে মুখস্থ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। ফলে শিক্ষা হয়ে ওঠে জমা করার বিষয়, সেখানে ছাত্রছাত্রীরা হচ্ছে জমা রাখার পাত্র। বর্তমান শিক্ষা-ব্যবস্থায় শিক্ষক ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা দেন এবং ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষক কথা বলেন, ছাত্রছাত্রীরা চুপ করে শোনেন। শিক্ষক নির্বাচন করেন এবং তার পছন্দ প্রতিষ্ঠা করেন, ছাত্ররা তা মেনে চলেন। ছাত্ররা নিজেদের অজ্ঞতাকে স্বীকার করে নিয়ে শিক্ষকের বক্তব্যকে বেদবাক্য ধরে নেন। কখনো ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন করেন না, শিক্ষক যা বলেন সামগ্রিক বিচারে তা সঠিক কিনা। বিশ্লেষণহীন যান্ত্রিক ধরনের এক শিক্ষালাভের মধ্য দিয়ে তাঁরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সময় পার করেন। ছাত্রছাত্রীরা এখানে শুধু দর্শক বা শ্রোতা, পুনর্নির্মাতা নন।

পাওলো ফ্রেইরে লিখেছিলেন, ‘এই শিক্ষা পদ্ধতি সঞ্চয়ধর্মী-একটি দানসামগ্রী’। তিনি বোঝাতে চান, বর্তমানের এই শিক্ষা বিশ্লেষণধর্মী নয়, সঞ্চয় পদ্ধতির। ছাত্রছাত্রীরা কিছু তথ্য শুধু নিজেদের মস্তিষ্কে জমা করে চলে। তিনি একথাও বলেছেন, ‘সঞ্চয় পদ্ধতির শিক্ষা ভুল ধারণাপ্রসূত। এই পদ্ধতি মানুষকে বস্তু হিসেবে গণ্য করে। সঞ্চয়ী পদ্ধতির এই শিক্ষা ছাত্রছাত্রীদের সৃজনী শক্তিকে খর্ব করে বা নসাৎ করে দেয়। এই শিক্ষা মানুষের চিন্তা-চেতনাকে তীক্ষ্ণ করে না, বাস্তবকে খণ্ডিত দৃষ্টি নিয়ে দেখতে শেখায়। এই শিক্ষা বিশ্ব-ব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্রকে স্পষ্ট করে না, এবং চায় না বিশ্বের অবগুণ্ঠন উন্মোচিত হোক।’ সঞ্চয়ী-শিক্ষা পদ্ধতিতে কখনো এমন সুযোগ রাখা হয় না যাতে ছাত্রছাত্রীরা যাচাই-বাছাই করতে পারে, আলোচনা-সমালোচনা করে বাস্তবতা বিচার করতে পারে। প্রায়শই ‘ভালো’ মানুষের একটি আদর্শ নমুনা সৃষ্টির প্রয়াসে এই শিক্ষা এক ধরনের নির্বোধ মানবিকতার জন্ম দেয়। ফলে জীবন অনুসন্ধানের পরিবর্তে তারা জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ান। 

জনতা গ্রন্থে গুস্তাভ লা বোঁ ফরাসি দেশের মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘ফরাসি শিক্ষা-ব্যবস্থার অধীনে যারা শিক্ষিত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই জনগণের বন্ধু না হয়ে সমাজের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কথাগুলো অসম্ভব সত্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতকার্য হওয়ার পর যারা সরকারের বিভিন্ন পদে বসেন বা বিভিন্নভাবে সরকারের অঙ্গ হয়ে পড়েন, তাদের প্রথম কাজটিই হলো জনগণকে দমন পীড়ন করা। বর্তমানে যে মুখস্থ বিদ্যা চলছে, সে সম্পর্কে প্রয়াত শিক্ষামন্ত্রী জুলে সাইমন বলেছিলেন, মুখস্থ করে বিদ্যার্জনের এই যে প্রচেষ্টা তা হচ্ছে মূলত অন্যের দিকে যাওয়া বিদ্যারই সত্যতা স্বীকার করা এবং নিজের অনুসন্ধিৎসু মানসিকতাকে অস্বীকার করা, যা সমাজের ওপরে নানারকম ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সত্যিকার অর্থেই এই শিক্ষা-ব্যবস্থা প্রধানত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্ধ জাত্যাভিমান তৈরি করে এবং এই শিক্ষা লাভকারীরা নিজেদের মনে করেন রাষ্ট্রের উচ্চস্তরের মানুষ। সেই বিশ্বাস থেকে রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে পছন্দ করেন। ভিন্নদিকে তারা আবার শক্তিমানদের চাটুকার হন কিংবা তাদের অনুগ্রহ আশা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাধারার সঙ্গে এসব কথাবার্তা সম্পূর্ণরূপে মিলে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার একটি খুবই ইতিবাচক আলোচনার দিক আছে। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, অন্তত তাদের কাছে এটা খুবই ইতিবাচক। মাসে দশ টাকা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যেত। মাসে ছয় টাকা দিলে হলে থাকা যেত। সম্ভবত এত সস্তায় আর কোনো তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা যায় কিনা জানা নেই। সে-কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রান্তিক মানুষরা পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রামের প্রান্তিক মানুষকে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের সনদপত্র লাভ করার সুযোগ করে দিতে পেরেছে। এই ঐতিহ্য ধরেই পরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও কম খরচে প্রান্তিক মানুষরা শিক্ষা লাভ করেছেন। 

দুর্ভাগ্য হলো এই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম খরচে প্রান্তিক মানুষদের পড়াশোনা করবার সুযোগ দিতে পেরেছে; কিন্তু তাদের প্রান্তিক মানুষের পক্ষে আত্মত্যাগ করার শিক্ষাটা দিতে পারেনি। শিক্ষা সমাপন শেষে প্রায় ক্ষেত্রেই নিজের প্রান্তিক জনগণের বিরুদ্ধে মীরজাফরের মতো বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তার নিজের কাঙ্ক্ষিত সিংহাসনটি লাভের আশায়। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দেশের জনগণকে সেবা করার শিক্ষাটা দিতে পারেনি, কিন্তু তার মনে উচ্চাশা আর বিরাট আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষার্থী আর শিক্ষক সে আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য যে কোনো পথ বেছে নিতে পারে। 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিটনকার এবং উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় দু’জনেই ছাত্রদের শাসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য নিশ্চয় শিক্ষার্থীদের তাই বলবেন। জয়তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যুগ যুগ জিয়ো।

বিভাগীয় প্রধান,রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগ,গণবিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫