
গৌতম দাস
এই লেখা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে-পরে এর আরেক বা দ্বিতীয় পর্ব বলা যায়। এখানে আমরা প্রসঙ্গ করব জাতিসংঘ। অসংখ্য প্রসঙ্গ দিয়েই বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাবলিতে প্রবেশ করা যায়। আজ করব জাতিসংঘ এই ধারণা বা প্রসঙ্গের ভিতর দিয়ে; এবং তা বিশ্বযুদ্ধের আগে-পরের ঘটনাবলির তুলনা করে তো অবশ্যই। ঘটনার শুরু ও ব্যপ্তি হিসাবে এই বিশ্বযুদ্ধ ২৮ জুলাই ১৯১৪ থেকে ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত ব্যপ্ত ধরা হয়, সংক্ষেপে যা আমরা (১৯১৪-১৮) বলতেই অভ্যস্ত।
সবার আগে পরিষ্কার করে নেই, মুখ্যত ‘ইউনাইটেড নেশনস’ যা বাংলায় ‘জাতিসংঘ’ এটি ১৯৪২ সালের আগের কোনো ঘটনা একেবারেই নয়। সোজা করে বললে এই নাম ও ধারণাটাই এর আগে ছিল না। বরং জাতিসংঘ কার্যকর হয়েছে ১৯৪৫ সাল থেকে। তাহলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে-পরের প্রসঙ্গে জাতিসংঘের কথা আনছি কেন?
আনছি কারণ, জাতিসংঘের ‘জন্ম হয়েছে বলে ঘোষণা’ দেয়া হয়েছিল ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি আর সেটাই আবার আমেরিকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-৪৫) প্রথম অংশ নেয়ার দিন। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঘোষিত ওই জাতিসংঘের ম্যান্ডেট মানে কী উদ্দেশ্যে গঠিত হচ্ছে সেসব কথা লিখে ১৯৪৫ সাল থেকেই এটি কার্যকর হয়েছিল। তবুও জাতিসংঘের এটি ছিল দ্বিতীয় জন্ম। এর প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল ১৯১৯ সালে। সেই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের নাম তখন দেয়া হয়েছিল ‘লীগ অব নেশন’। তবুও কার্যত যাত্রা ১৯২০ সালে ঘোষণা করার পরও এর তৎপরতা মোটামুটি ১৯২৮ সাল পর্যন্ত চলতে পেরেছিল। এরপর স্থবির হয়ে যায়। যদিও সংগঠন তখনো বিলুপ্ত ঘোষণা হয়নি। তবে ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় উদ্যোগ যেটার নাম ‘জাতিসংঘ’, ১৯৪৫ সালে কার্যত চালু হবার পর ১৯৪৬ সালে আগের লীগ অব নেশন, একে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেয়া হয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পক্ষ-বিপক্ষ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জড়িত দেশগুলোর দুটি পক্ষ তো থাকারই কথা। সে ভাগাভাগিটা ছিল এরকম যে একপক্ষের নাম, সেন্ট্রাল পাওয়ার আর এর পক্ষে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো হলো- প্রধানত জার্মানি, অস্ট্রীয়-হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া এবং তুরস্ক (অটোমান) সাম্রাজ্য। আর তারা লড়ছিল যে প্রতিপক্ষ জোট তার নাম হলো মিত্রপক্ষ। যার সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো হলো- প্রধানত ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইটালি, জাপান ও আমেরিকা (১৯১৭ সাল থেকে)। যদিও ১৯১৪ সালের জুলাইয়ের বিশ্বযুদ্ধ শুরুর উসিলাটা হলো একদল সার্বিয়ান জাতিবাদী তরুণ অস্ট্রীয়-হাঙ্গেরির সম্রাট-এর গাড়িতে বোমা হামলা করে মেরে ফেলেছিল, সেটা থেকে। তবে উসিলা তো আসলে উসিলাই, যুদ্ধ শুরু হতে একটা অজুহাত লাগে তাই। বরং আগে থেকেই এই বলকান উপদ্বীপ অঞ্চলে একটা যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল।
সময়টা ভালো করে খেয়াল করতে হবে আর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি হলো এটি ছিল কলোনি দখলদারির ব্যবসার যুগ। এখানে ব্যবসা শব্দটি ঠাট্টা করে বলা শব্দ নয়। আরেক দেশকে গায়ের জোরে দখল করে এবং সেই দখলকে শাসনে পরিণত করে এরপর সেখান থেকে সম্পদ লুটে ইউরোপের নিজ দেশে ফিরে আনা- এই ছিল সেই দখল ব্যবসা। এটিকে ব্যবসা বলার কারণ, সেকালে এই ব্যবসা চলেছিল মোটামুটি (১৬০৭-১৯৪৫) এভাবে ইতিহাসের প্রায় সাড়ে তিনশ বছর। যেখানে দখলকারিরা ছিল ইউরোপের সীমিত হয়ে আসা পাঁচ রাষ্ট্র- ব্রিটেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস এসব দখলদারদের প্রতিযোগিতার মধ্যে। আর দখল করতে তারা যেসব দেশগুলোতে গিয়েছিল যেমন- এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকা মহাদেশ, সঙ্গে নর্থ আমেরিকাও (আজকের কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বাদ ছিল না। সেকালে আসলে মহাদেশ পার হতে চাইলে গোলাবারুদে ভরা সশস্ত্র বড় জাহাজের বহর নিয়ে যেতে হতো। ফলে এটি ছিল সেকালে ব্রিটেনের যে কোনো ব্যবসায় যা বিনিয়োগ লাগত সেসবের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাই দখলদারেরা ছিল লিগ্যাল স্ট্যাটাসে (যেমন ব্রিটেনে রেজিস্টার্ড) কোম্পানি। যেমন অবিভক্ত ভারতে যারা এসেছিল তাদের নাম ‘ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ আর লর্ড ক্লাইভ অ্যান্ড গং ছিল যার মালিক।
পরবর্তীতে ইউরোপের অন্য আরো রাষ্ট্র কিন্তু যারা ‘লেট কামার’; মানে, যাদের দেশে ক্যাপিটালিজম দেরিতে এসেছিল; এমন দেশগুলোর ব্যবসায়ীরাও যখন কলোনি দখলদারি ব্যবসায় নামবার মতো লায়েক হলো তত দিনে আরেক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তত দিনে দুনিয়ার কোনো ভূখণ্ড, দেশ বাকি ছিল না দখল হতে। তাই এদের ভাগ্যে জুটেছিল পরিত্যক্ত কোনো ভূমি বা দ্বীপ, যা কোনো দেশের দুর্বল বাড়তি অংশ। এমন ‘লেট কামার’ দখলদার ছিল সেকালের জর্মানি বা ইটালি।
আসলে দুনিয়াতে ১৬০৭ সালের আগেও কোনো দেশের পড়শী দেশ দখল তো ছিলই; কিন্তু তা পরবর্তীকালের কলোনি দখল বললে যা বুঝি সে অর্থে নয়; কিন্তু এ দুয়ের মূল পার্থক্য হলো, টেকনোলজির বিকাশ ও ব্যবহারে। আর যার কেন্দ্র ছিল জাহাজ ও কম্পাস টেকনোলজিতে; যেমন (মহাসমুদ্র পাড়ি দেয়া বা ওশেন-গোয়িং) জাহাজ তৈরির জন্য কোয়ালিটি স্টিল তৈরির সক্ষমতা আর সর্বোপরি বারুদের আবিষ্কার ফলে গানপাউডার ভিত্তিক অস্ত্রশস্ত্র, আগের দিনে এসব ছিল না। তাই ইতিহাসে কলোনি দখলের যুগ বলতে সতেরো শতক বা ১৬০০ সালের আশপাশের সময় থেকে যে নব-উদ্যোগে সাগর অভিযান শুরু হয়, কেবল এটিকেই বলা হয়।
ফলে কলোনি দখল ব্যবসায় তা করতে গিয়ে যেসব যুদ্ধ হতো তা হতো ইউরোপের বাইরে ও ইউরোপ-বাদে অন্যান্য মহাদেশের ভূমিতে। এই বিচারে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হলো সেই যুদ্ধ যখন তা ফিরে এসেছে ইউরোপের ভূখণ্ডে এবং দখলদারদের নিজেদের মধ্যে। ফলে এই অর্থে অনেকেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে বলে- হ্যাভ আর হ্যাভ নটের মধ্যে যুদ্ধ। মানে যাদের কলোনি আছে বা মালিক এদের সঙ্গে- জার্মান, ইটালির মতো যাদের কলোনি নাই তাদের যুদ্ধ। ওদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রপক্ষ মানে ব্রিটেন-ফ্রান্সের পক্ষ; তারা বিশেষত প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জার্মানিকে পরাজিত করে এগিয়েছিল। যুদ্ধে জার্মানির ঘনিষ্ঠ বন্ধু অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে বিলুপ্ত হয়ে যায় আর ব্রিটেন ফ্রান্স গোপন চুক্তিতে তা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। আর ফলাফল বা পরিণতিতে এই যুদ্ধ শেষের প্রায় এক বছরের মধ্যে ‘লীগ অব নেশন’ বলে দুনিয়াতে প্রথম এক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমিতি বা অ্যাসোসিয়েশনের জন্ম হয়।
এটি কলোনি দখলের মতো সহজ যুদ্ধ ছিল না। কারণ প্রধান সমস্যা এটি ছিল এক খুবই ব্যয়বহুল যুদ্ধ। কলোনি দখল করে দেশ বা কোম্পানিগুলো যা কামিয়েছিল, সেসব জমানো অর্থসম্পদ পানির মতো এতে ব্যয় হয়ে গেছিল। আর সেখান থেকেই পালটা জার্মানিকে শাস্তিদানের এক ভূত মূলত ব্রিটেন-ফ্রান্সের মাথায় ভর করেছিল। এটিকে বলে হেরে যাওয়া জর্মানির কাছে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবি।
এদিকে সেকালের আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ছিলেন উড্রো উইলসন। আমেরিকাও ছিল যুদ্ধে বিজয়ী মিত্রপক্ষের দিকে; কিন্তু সাবধান আমেরিকা কলোনি দখলদার নয়, বরং ভিক্টিম ও ১৭৭৬ সালে মূলত কলোনি মালিক ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত।
তাহলে আমেরিকার স্বার্থ কী সেখানে?
আজ আমেরিকা যে গ্লোবাল নেতার আসনে বসেও তা ক্রমশ হারাচ্ছে এর শুরু ৭৫ বছর আগে। তখন এই আসনলাভের লম্বা লক্ষ্য ও চিন্তায় সে ব্রিটেন-ফ্রান্সকে সঙ্গ দিয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। আর আমেরিকার এক পজিটিভ স্বপ্ন ছিল- দুনিয়ার রাষ্ট্রগুলোর যেসব স্বার্থবিবাদ থেকে যুদ্ধ ঘটে, তা একেবারে লোপ না করতে পারলেও অন্তত কমানোর লক্ষ্যে (সব রাষ্ট্র বসে প্রণীত) কিছু নীতির ভিত্তিতে স্বার্থবিবাদের ফয়সালা করে দেওয়া আর সেকাজেই এক রাষ্ট্রসংঘ বা সমিতি গড়ে তোলা।
এই চিন্তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার প্রথম প্রচেষ্টা ছিল ইউরোপের একটা পক্ষের সাথে সামিল হওয়া। কিন্তু যখন যুদ্ধে শেষে বিজয়ীরা ক্ষতিপূরণ তুলে আনার কথা বলে, পরিস্থিতি অন্যদিকে চলে যাচ্ছে- তখন নিরুপায় উইলসন একটা ডিল করতে চাইলেন। কারণ, ব্রিটেন-ফ্রান্স জার্মানির ঘাড়ে ধরে যুগ যুগ ধরে অর্থ আদায়ে মরিয়া ছিল। তাই উইলসন প্রস্তাব করলেন এসব অর্থ আদায়ের কাজ একটা আন্তঃরাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রসংঘ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হোক। আর কেবল তাহলেই তিনি ওই ক্ষতিপূরণ দাবি প্রস্তাব সমর্থন করবেন।
ব্রিটেন-ফ্রান্সের নেতৃত্বের ইউরোপ দেখল আমেরিকাকে তাদের ক্ষতিপূরণ দাবির ভেতরে শামিল করানোর গুরুত্ব আছে, তাই তারা ডিলে রাজি হয়ে যায়। এরই পরিণতিই হলো ভার্সাই চুক্তি বা ফ্রান্সের ভার্সাই নগরিতে বসে জন্ম নেয়া ‘ভার্সাই প্যাক্ট’। যে দলিলের প্রথমার্ধ হলো, কোন দেশকে জার্মানি ক্ষতিপূরণের অর্থ কতটা ও কত কিস্তিতে দেবে। আর চুক্তির দ্বিতীয়ার্ধ হলো, ‘লীগ অব নেশন’ প্রতিষ্ঠান কীভাবে কী কী ভিত্তিতে গড়ে নেয়া হবে, যাতে একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় হয়। কাজেই ভার্সাই চুক্তি হয়ে যায় পরোক্ষে ‘লীগ অব নেশন’ এর জন্মভিত্তিরও দলিল।
যদিও ইতিহাসে লেখা হয় এই চুক্তির ফলে বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হয়; কিন্তু বাস্তবে তা হলো উল্টা।
১। জার্মান নাগরিকরা এই চুক্তিকে তাদের অপমানের দলিল হিসেবে দেখেছিল। যারা তিনশ’ বছর ধরে অন্যদেশকে কলোনি দখল করে নিজদেশের অর্থনীতি চালিয়েছে তারা কোন ন্যায়যুদ্ধের(?) জনগোষ্ঠী যে তারা এখন যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ চায়?
২। স্বভাবতই এই বিক্ষুব্ধ হতাশ জনগোষ্ঠীকে এবার উস্কানি দিয়ে প্রতিশোধ নিতে এক উগ্র জাতিবাদেরই তো জন্ম হবে, ত্রাতা হিসেবে যার নেতা হবে হিটলার, এক ফ্যাসিজমের। এটিই কী স্বাভাবিক না! যা থেকে ‘অপর’ এথনিক জনগোষ্ঠীকে নির্মূল বা ক্লিনজিং এবং সাফাই বয়ানের দুয়ার খুলে গিয়েছিল!
৩। তাই ভার্সাই চুক্তি যুদ্ধ শেষ করা না, বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর প্রথম পদক্ষেপ বলে বুঝতে হবে!
৪। উইলসন এত চেষ্টা করেছিলেন তবু তিনি ফেল। বড় জোর ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা রেখে গেছেন। তারই মতো আরেক ডেমোক্রাট প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট (১৯৩৩-৪৫) যা কাজে লাগিয়ে ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি আজকের জাতিসংঘের জন্মের ঘোষণা দেওয়ান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও সেদিন থেকে আমেরিকার নেতৃত্বে নয়া মিত্রবাহিনীর হাতে শুরু হয়েছিল। কারণ এদিনই স্তালিনের সোভিয়েত, ন্যাশনালিস্ট চীন, চার্চিলের ব্রিটেন ও প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এরা আগে জাতিসংঘের জন্মের ঘোষণায় একসঙ্গে স্বাক্ষর দেন। পরে আরও ২৬ সহযোগী রাষ্ট্র ওইদিনই তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
৫। উড্রো উইলসন ভার্সাই চুক্তি (বা লীগ অব নেশন) চুক্তিতে স্বাক্ষর দিলেও মার্কিন সিনেট তা পরবর্তিতে কোনোদিনই অনুমোদন দেয় নাই। তবে উড্রো উইলসনের অসমাপ্ত কাজকে সফলতা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট। তিনি একে আরো পরিপূর্ণতাও দেন। তিনিও দুনিয়া থেকে কলোনি শাসন নিষিদ্ধ করতে ইউরোপকে বাধ্য করেন। এটিই এখনো জাতিসংঘ জন্মের অন্যতম ফাউন্ডেশনাল ভিত্তিমূল হয়ে আছে। ১৯৪৫ সাল থেকে যে কার্যত নিজ ম্যান্ডেট রচনা করে সক্রিয় হয়েছিল।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক