বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ ছিলেন যশোরে ১৫ টাকা মাইনের কেরানি

ফখরে আলম
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২২, ১৩:১৬

ফখরে আলম
স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ্র। ১৮৭৮ সালের ১৬ জুলাই তিনি যশোর শহরতলীর বকচরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাধাগোবিন্দই প্রথম বাঙালি যিনি ফ্রান্স কর্তৃক প্রদত্ত সম্মান ‘Officer d Academic Republique Francaise’ অর্জন করেছেন।
যশোরের বকচর গ্রামের বাসিন্দা ১৫ টাকা মাসিক বেতনের কালেক্টরেট অফিসের খাজাঞ্চি রাধাগোবিন্দ চন্দ্র খালি চোখে হ্যালির ধূমকেতু দেখে এর রহস্য উন্মোচন করেন। এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানী আকাশ দর্শন করে নতুন তারা ‘নোভা’ আবিষ্কারের পাশাপাশি ৩৭ হাজার ২১৫টি ভ্যারিয়েবল স্টার সম্পর্কে নতুন তথ্য হাজির করে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান-চর্চার ক্ষেত্রে এক অবিস্মরণীয় পাণ্ডিত্য দেখিয়েছেন। রাধার আগে পরিবর্তনশীল তারা সম্পর্কে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভালো ধারণা দিতে পারেনি। তারই কাজের সূত্র ধরে পৃথিবীর খ্যাতিমান নক্ষত্রবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তার গবেষণা কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
রাধাগোবিন্দের আকাশ দর্শনকে ভিত্তি করে আধুনিক বিজ্ঞানীরা সামনে এগুবার চেষ্টা করেছেন। নিভৃত পল্লীতে বসবাস করে গভীর নিষ্ঠার সাথে রাধা রাতের পর রাত জেগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জটিল নানা বিষয় পর্যবেক্ষণ করে যে জ্ঞান অর্জন করতেন, আমেরিকা ইউরোপের জ্যোতিবিজ্ঞানীরা তা জানার জন্য অপেক্ষা করতেন। কেননা তার পর্যবেক্ষণ থেকেই হিসাব-নিকাশ করে তারার দূরত্ব ও সৃষ্টি রহস্যের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হতো। এ কারণেই রাধাকে আধুনিক জ্যোতিবিজ্ঞান-চর্চায় ভারতের অন্যতম পথিকৃৎ বলা হয়। তার প্রতি সম্মান জানানোর জন্য তার ব্যবহৃত দূরবীন দক্ষিণ ভারতের কাভালুর মানমন্দিরে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এই বাঙালিকে স্মরণ না করলেও ভারত-আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স তাকে ঠিকই স্মরণ করে। জন্মবার্ষিকীতে বক্তৃতামালা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে উঠে আসে রাধাগোবিন্দ আকাশ দর্শনের ওপর লেখা নানা প্রবন্ধ। খ্যাতিম্যান এই মানুষটির কোনো স্মৃতি যশোরের বকচরে নেই। তিনি অভিমান করে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। তার অভিমান ভাঙাতে এ দেশের কেউই কখনো সোচ্চার হয়নি।
রাধাগোবিন্দ চন্দ্রের পরিচয়
১৮৭৮ সালের ১৬ জুলাই রাধাগোবিন্দ চন্দ্র যশোর শহরের বকচরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা গোরাচাঁদা ছিলেন স্থানীয় একজন ডাক্তারের সহকারী। মা পদ্মামুখ একজন সাধারণ গৃহিণী। বকচর পাঠশালা ছাড়াও রাধাগোবিন্দ যশোর জিলা স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। কিন্তু স্কুলের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ না থাকায় তিনবার প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়েও তিনি উর্ত্তীর্ণ হতে পারেননি। ছাত্র অবস্থায় ১৮৯৯ সালে মুর্শিদাবাদের গোবিন্দ মাহনীর সাথে রাধাগোবিন্দের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাধা শেষবারের মতো প্রবেশিকা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে ফেলেন। দু’বছর বেকার জীবনযাপনের পর তিনি যশোর কালেক্টরেট অফিসে ১৫ টাকা মাইনের খাজাঞ্চির চাকরি নেন। পরবর্তীকালে তিনি ট্রেজারি ক্লার্ক ও কোষাধ্যক্ষের পদে প্রমোশন পান। দেশভাগের বেশকিছুকাল পর রাধাগোবিন্দ ভারতে চলে যান। ৯৭ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ৩ এপ্রিল আর্থিক অনটনে একরকম বিনা চিকিৎসায় ভারতের বারাসাতে তিনি মারা যান।
জ্যোর্তিবিজ্ঞান-চর্চা যেভাবে শুরু
শিশু বয়স থেকেই রাধা রাতের আকাশের সাথী ছিলেন। তারারা তাকে ঘুম পাড়িয়েছে। তারারা তার ঘুম ভাঙিয়েছে। রাধা যখন ক্লাস সিক্সের ছাত্র যখন তার পাঠ্যপুস্তক ছিল ‘চারূপাঠ তৃতীয় ভাগ’। এই বইয়ে অক্ষয়কুমার দত্তের প্রবন্ধ ‘ব্রহ্মা- কি প্রকাণ্ড’ পাঠ করেই রাধাগোবিন্দ জ্যোতির্বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি তার আত্মজীবনীমূলক পাণ্ডুলিপিতে এ সম্পর্কে লিখেছেন, ‘অক্ষয়কুমার দত্তের চারূপাঠ তৃতীয় ভাগ পড়িয়া, নক্ষত্রবিদ হইবার জন্যে আর কাহারো বাসনা ফলবতী হইয়াছিল কিনা জানি না, আমার হইয়াছিল। সেই উদ্দাম ও উচ্ছৃঙ্খল বাসনার গতিরোধ করিতে আমি চেষ্টা করি নাই।’ ১০ বছর বয়সে রাধাগোবিন্দ চন্দ্র যশোর জিলা স্কুলে ভর্তি হন বিশেষ করে ইংরেজি শেখার জন্য। এ সময় থেকেই বকচরের একতলা বাড়ির ছাদে সন্ধ্যার পরপরই রাধা আকাশ দেখা শুরু করেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে এ কাজে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কেননা নক্ষত্র, গ্রহ সম্পর্কে তার খুব বেশি ধারণা ছিল না। এই সময়ে রাধার এক আত্মীয়ের বন্ধু অ্যাডভোকেট কালীনাথ মুখোপাধ্যায় এগিয়ে আসেন। কালীনাথের নেশা ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চা। তিনি এ সম্পর্কে ‘তারা ভূগোলচিত্রম’ ও ‘পপুলার হিন্দু অ্যাস্ট্রনমি’ নামে কয়েকটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। রাধা গ্রন্থগুলো পাঠ করে জ্যোতিবিজ্ঞান সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করেন। এক পর্যায়ে কালীনাথ বাবুর কাছ থেকে একটি স্টার ম্যাপ ধার করে নিয়ে রাধা নক্ষত্রবিদ্যার অনুসন্ধান শুরু করেন। এরপর চিঠির মাধ্যমে রাধার সাথে পরিচয় হয় শান্তিনিকেতনের ব্রাহ্মচর্যাশ্রমের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক জগদানন্দ রায়ের সাথে। এ দু’জনের মধ্যে আকাশচর্চার যাবতীয় বিষয় চিঠিতে আলাপ-আলোচনা হতো। রাধাগোবিন্দ তার আকাশ দর্শনের বিষয়গুলি পোস্টকার্ডে জগদানন্দকে লিখে পাঠাতেন। গুরুত্বপূর্ণ সেই লেখাগুলো প্রবাসী, প্রকৃতি, দেশ, অমৃতবাজারসহ বিদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হত। এছাড়া অ্যাভসো থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে রাধাগোবিন্দের পাঠানো তথ্য নিয়মিত ছাপা হত। জগদানন্দই রাধাকে একটি দূরবীন সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
রাধাগোবিন্দের আবিষ্কার
১৯১০ সালে রাধাগোবিন্দ চন্দ্র খালি চোখে হ্যালির ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেন। খালি চোখে ধূমকেতু দেখে রাধা তার যে রহস্য উন্মোচন করেছিলেন তা প্রবাসী পত্রিকায় ছাপা হয়। হ্যালির ধূমকেতু দেখার পর পরই রাধা ‘ধুমকেতু’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এই গ্রন্থে তিনি ধূমকেতু সম্পর্কে নানা পৌরাণিক আধুনিক ব্যাখ্যা ছাড়াও নিজের চোখে দেখা হ্যালির ধূমকেতুর বিস্তারিত বর্ণনা করেন। শান্তিনিকেতনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জগদানন্দ রায়ের পরামর্শে রাধাগোবিন্দ চন্দ্র ১৯১২ সালে জমি বিক্রি করে আর বেতনের টাকা জমিয়ে তিন ইঞ্চি মাপের একটি দূরবীন কেনেন। এই দূরবীন হাতে পাওয়ার পর রাধার ঘুম হারাম হয়ে যায়। ১৯১৮ সালের ৭ জুন রাধাগোবিন্দ আকাশে নতুন নক্ষত্র ‘নোভা’ আবিষ্কার করেন। তার এই আবিষ্কারের পরই নক্ষত্রের নামকরণ করা হয় ‘নোভা অ্যাকুইলা ত্রি ১৯১৮’। রাধার এই নোভা দর্শন সম্পর্কিত প্রবন্ধ ‘প্রবাসী’ পত্রিকা গুরুত্ব সহকারে ছাপে। নোভা সম্পর্কে রাধা তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও লিখিতভাবে ‘হারভারড অবজারভেটরির’ পরিচালককেও অবহিত করেন। পরিচালক এডওয়ার্ড চার্লস পিকারিং রাধার চিঠি প্রাপ্তির পর তাকে নবগঠিত আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ভ্যারিয়েবল স্টারস অবজারভাস (অ্যাভসো) সদস্য মনোনীত করেন। অ্যাভসোর সদস্য হওয়ার পর রাধা ভ্যারিয়েবল স্টার সম্পর্কে নতুন উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আকাশচর্চা শুরু করেন। রাধার কাজের সহযোগিতার জন্য অ্যাভসোর সদস্যরা তাকে একটি সাড়ে ৬ ইঞ্চি দূরবীন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯২৬ সালে হারভার্ড থেকে যশোরের বকচরে সেই দূরবীনটি এসে পৌঁছায়। ভারতের প্রথম দূরবীন তৈরির কারখানা ‘ধর-ব্রাদার্স’-এর মালিক নগেন্দ্র নাথ বিনা মূল্যে ঐ দূরবীনটির স্ট্যান্ড তৈরি করে দেন। এমনকি, স্ট্যান্ড তৈরির পর নগেন্দ্রনাথ রাধাগোবিন্দকে একটি চিঠি দেন, ‘শ্রী শ্রী হরি। জয় শ্রী ভগবানের জয়। জয় বাঙ্গালীর জয়। জয় শ্রী রাধাগোবিন্দের জয়।’ রাধা বহুরূপী তারার রহস্য উন্মোচন করে ১৯১৯ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ৩৭ হাজার ২১৫টি ভ্যারিয়েবল স্টার সম্পর্কে অ্যাভসোকে তথ্য সরবরাহ করেন। এ কারণেই অ্যাভসোর ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত অনার রোলে ১০ হাজার ভ্যারিয়েবল স্টার সম্পর্কে পৃথিবীর যে ২৫ জন প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী তথ্য দিয়েছেন তাদের মধ্যে রাধার নামও লিপিবদ্ধ আছে। এছাড়া রাধার এই কাজের জন্য হারবার্ড অবজারভেটরির পরিচালক বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী হারলো শ্যাপলির তাকে একটি চিঠি লিখে সাধুবাদ জানান।
১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর লেখা চিঠিটি এমন, ‘The American Association of Variable Star Observers, with headquarters at the Harvard Observatory, is honored to salute you as one of its important contributors.’ আমেরিকার অ্যাভসো ছাড়াও ব্রিটিশ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, ফ্যান্সের লিয় অবজারভেটরির বিজ্ঞানীরা রাধার ভ্যারিয়েবল স্টার সম্পর্কে জানার জন্য সবসময় অপেক্ষা করে থাকতো। এ সংক্রান্ত রাধার পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা তাদের জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি তারই সূত্র ধরে নতুন নতুন ভ্যারিয়েবল স্টার সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করতেন।
১৯২৮ সালে ফ্রান্স সরকার ভারত উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি রাধাগোবিন্দ চন্দ্রের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘Officer d Academic Repulique Francese’ খেতাব প্রদান করেন। কলকাতায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারফত রাধাকে এই সম্মাননা জানানো হয়। এর আগে কোনো বাঙালি ফ্রান্স সরকারের এমন সম্মান অর্জন করার সৌভাগ্য লাভ করেননি। বর্তমানে আধুনিক জ্যোতিজ্ঞানীরা রাধার কাজের সূত্র ধরে আকাশের নতুন নতুন বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। তারার আলো, দূরত্ব, ঔজ্জ্বল্য পরিবর্তনের কারণ ছাড়াও সৃষ্টি রহস্যের নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারছেন। বকচরের রাধাগোবিন্দের প্রতিবেশী শ্রীধম বাবু। প্রবীণ এই ব্যক্তি বললেন, ‘আমি যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তখন রাধা দাদা রাত জেগে তারা দেখতেন। আমাদেরকে তিনি বাড়ির ছাদে টুলের উপর দাঁড় করিয়ে দূরবীন চোখে লাগিয়ে দিতেন। কত তারা দেখেছি তার কোন হিসেব নেই। ভাদ্রমাসে আকাশ পরিস্কার থাকলে আমাদের নাওয়া-খাওয়া হারাম হয়ে যেত। আমাদের কাজ ছিল শুধু আকাশ দেখা। রাধা দাদা পৃথিবীর ফার্স্ট প্রাইজ পেয়েছিলেন। আমেরিকা সরকার তাকে দূরবীন উপহার দিয়েছিল। অবসরের টাকা তুলতে গেলে কালেক্টরেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বচসা হয়। কর্মকর্তারা তাকে ভারতে চলে যেতে বলেন। তখন ডিসি ছিলেন এমআর কুদ্দুস।
১৯৬০ সালের দিকের এই ঘটনা। দাদা মাইগ্রেশন চান। এক পর্যায়ে দূরবীন নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বেনাপোল চেকপোস্টে তার দূরবীনটি সিজ করা হয়। পরে আমেরিকা ও ফ্রান্স সরকারের মধ্যস্থতায় ডিসি সাহেব বাড়ি এসে দাদার দূরবীনটি ফেরৎ দিয়ে যায়। পরে তিনি ভারতের বারাসাতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। স্বাধীনতার পর দাদার ছেলে কালু ও মেয়ে বর্ষা বকচর এলাকায় কয়েকবার এসেছিল। কিন্তু তাদেরকে কেউ সাহায্য করেনি।’
নিজ দেশে পরবাসী
রাধাগোবিন্দ চন্দ্রকে বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান স্মরণ করার খবর পাওয়া যায়নি। এখন বকচর এলাকার লোকরাও রাধাগোবিন্দকে চেনেন না। রাধাগোবিন্দের বাড়িতে বসবাস করছেন পুলিশের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তবে ভারতের কলকাতা, দিলল্লি, বারাসাতে রাধাগোবিন্দ চন্দ্র স্মৃতি রক্ষা সমিতি, বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, ইন্ডিয়ান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি, বিড়ালা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম প্রতিবছর রাধার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করে। তাঁর ১১১ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতায় ১৫ দিনব্যাপী বক্তৃতামালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। পৃথিবীর খ্যাতিমান জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পথ প্রদর্শক বাংলাদেশের স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ্র।
লেখক : কবি, সাংবাদিক