ডেঙ্গু প্রতিরোধ এ মুহূর্তের বড় চ্যালেঞ্জ

আবারও বাড়ছে ডেঙ্গু। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১১৩ জন। সর্বশেষ ১৭ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর একদিনেই মারা গেছেন ৫ জন। এ পরিস্থিতিতে জ্বর এলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। 

২০২২ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি কর্তৃক পরিচালিত এডিসের লার্ভার যে পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়েছিল, ২০২৩ সালে দেখা গেছে সেই এডিস মশার ঘনত্ব! বিগত বছরের প্রায় কয়েক গুণ হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৪ সালে এটি আরও ব্যাপক আকার ধারণ করার আশঙ্কা ছিল, যার সুস্পষ্ট নমুনা এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে।

গত বছরের আগস্টে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ছিল ৮৯৯ জন; চলতি বছরের আগস্টে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৬ জন। ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭৫ জন, যা দ্রুত বাড়ছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ এ মুহূর্তে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে এ শ্রেণির ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাই এডিস মশার ভয়ঙ্কর গাণিতিক বৃদ্ধির বিপরীতে যতগুলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আছে তার উপযুক্ত প্রয়োগ করতে হবে। এ মশক প্রজনন ক্ষেত্র এখন শুধু ঢাকা বা সিটি করপোরেশনে সীমাবদ্ধ নেই, ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে গেছে। 

অন্যদিকে গ্রামীণ বা জেলা, উপজেলাগুলোয় ব্যবস্থাপনা দুর্বল। তাই আমাদের জাতীয় স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। যেখানে মশারিসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন হবে, সেখানে তা অবশ্যই করতে হবে। এটা সরকারের বা কোনো নির্দিষ্ট একটি মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের একার কাজ নয়। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে জনসাধারণের সচেতনতার  কোনো বিকল্প নেই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh