
গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতাই, ডাকাতি, হামলাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে নগরীর মোহাম্মদপুর যেন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে এই থানার সামনে শতাধিক মানুষ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। আর ঠিক সে সময় জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের গোলাগুলিতে শিশুসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হিসাব অনুযায়ী, ১ থেকে ২৫ অক্টোবর অর্থাৎ ২৫ দিনে মোহাম্মদপুর থানায় চারটি হত্যাকাণ্ড, একটি ছিনতাই ও দুটি ডাকাতির মামলা হয়েছে। শুধু মোহাম্মদপুর নয়, ঢাকাসহ দেশের আরও অনেক এলাকায় প্রায় একই পরিস্থিতি। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও সেনাসদস্যরাও আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন। সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাও। এর পরও খুন, ছিনতাই, ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধমূলক ঘটনা বেড়ে যাওয়া বিস্ময়কর।
বলা হচ্ছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর নতুন করে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ার ভয়ে অনেক পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছেন। নানা জায়গায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। তা ছাড়া ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র এখনও সেসব উদ্ধার করা যায়নি বলে অভিযোগ আছে। এর মধ্যেই একের পর এক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এরা আবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ অবশ্য বলছে, তারা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং নগরীর সব থানা এবং পুলিশি কার্যক্রম এখন সক্রিয়। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রতিটি হাউজিং এলাকায় অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আমরা প্রত্যাশা করি, এই সকল কার্যক্রমের সুফল দেশের মানুষ পাবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার আড়াই মাসেও জনমানুষের নিরাপত্তা আসেনি- এই পরিস্থিতির অবসান জরুরি।