পরিচয় একটিই আমরা বাংলাদেশি

দেশে নতুন করে শুরু হয়েছে আদিবাসী, উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বির্তক। বিতর্কের শুরু নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা একটি চিত্রকর্ম থেকে। ওই চিত্রকর্মে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী শব্দগুলো লেখা ছিল। পাশে ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’ কথাটি।

চিত্রকর্মে অঙ্কিত ‘আদিবাসী’ নামক পাতাটি নিয়ে আপত্তি তুলে গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাওয়ের ডাক দেয়। পরে ওই রাতে বইটির অনলাইন সংস্করণ থেকে সেই চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর থেকেই তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয় ও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে একটি সংগঠন। 

এরপর, গত ১৫ জানুয়ারি আদিবাসী ছাত্র জনতা এবং স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির সদস্যরা রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করার জন্য একই সময়, একই জায়গায় সমবেত হন। একপক্ষ চিত্রকর্মটি বহাল রাখার দাবি জানালে অন্যপক্ষ এটি বাতিল করার পক্ষে অবস্থান নেয়। এসময় দুইটি সংগঠনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েক জন হতাহত হয় যা সত্যি দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

আমাদের দেশে আদিবাসী, উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এই নিয়ে বির্তক অনেক দিনের। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন তারা নিজেদের ‘আদিবাসী’ পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তার পেছনে কিছু ব্যক্তিগত, সামাজিক,  রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কারণ আছে। সেই আলোচনায় পরে আসি। তার আগে জেনে নেই ‘আদিবাসী’ কারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আদিবাসীকে সংজ্ঞায়িত করেছে এই ভাবে- ‘যে সম্প্রদায়গুলো ভৌগলিকভাবে স্বতন্ত্র ঐতিহ্যবাহী বাসস্থান বা পূর্বপুরুষের অঞ্চলগুলির মধ্যে বসবাস করে বা সংযুক্ত থাকে ও যারা নিজেদেরকে একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর অংশ হিসাবে চিহ্নিত করে, এই অঞ্চলে উপস্থিত গোষ্ঠীগুলো থেকে বংশোদ্ভূত।’ 

বিশ্বব্যাংকের মতে- ‘আদিবাসীরা হচ্ছে স্বতন্ত্র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী যারা বসতিস্থল এবং সেখানে বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের পথ পরিক্রমায় নিবিড় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক তৈরি করে।’

তার মানে আদিবাসী হলো একটি অঞ্চলে সুপ্রাচীন কাল থেকে বসবাস করা জনগোষ্ঠী। আদিবাসী কোন অঞ্চলের মূল জনগোষ্ঠীও হতে পারে আবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এমনকি উপজাতি ও হতে পারে। তবে বিভিন্ন ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠী আজ ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।

আদিবাসী শব্দটি প্রথম ইউরোপীয়দের দ্বারা ব্যবহার করা হয়েছিল। আদিবাসী  ইংরেজি indigena যা লাতিন শব্দ indigena থেকে আসা। লাতিন ভাষায় indigena এর অর্থ ‘ভূমি থেকে সৃষ্টি , স্থানীয়।’ আক্ষরিক অর্থে আদিবাসী শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ভূমিপুত্র। অর্থাৎ, ভূমির আদি বাসিন্দা। এবার আসি আমাদের বাংলাদেশের ভুমির আদি বাসিন্দা কারা। 

প্রাগৈতিহাসিক সময়কাল থেকে শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিক বিবেচনায় তাম্রপ্রস্তর তথা ‘কালো-ও-লাল’ মৃৎপাত্র স্তরের যুগে বাংলাদেশ ও ভারতের ‘বাঙালি’ নামের যে জনগোষ্ঠী তাদের বিকাশের ইতিহাস দৃশ্যমান। নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে তারা হাজার বছর ধরেই তারা এই ভূখণ্ডে বসবাস করে আসছে। প্রাচীন বাংলার নগর ও জনপদ গৌড়, সমতট, হরিকেল, পুণ্ড্র, বরেন্দ্র, উত্তর রাঢ়, দক্ষিণ রাঢ়, তাম্রলিপ্তি, চন্দ্রদ্বীপ ও বাংলার কথা আমরা জানি। বাঙ্গালিদের প্রথম রাষ্ট্রবিপ্লবের ইতিহাস ছিল বরেন্দ্র বিদ্রোহ যা কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ১০৭০ সালে পাল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল কর্মচারী দিব্যের নেতৃত্বে শুরু হয় কৈবর্ত সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের মাধ্যমে কৈবর্ত নেতারা তৎকালীন দ্বিতীয় মহীপালকে হটিয়ে অর্থাৎ হত্যা করে  ১০৭৭ সালে বরেন্দ্রকে নিজেদের অধীনে আনতে সক্ষম হন। পরবর্তী ১০৮২ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজা রামপাল সামন্ত রাজাদের সহযোগিতায় কৈবর্ত নেতা ভীমকে হারিয়ে বরেন্দ্র নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হন। প্রসঙ্গত, কৈবর্তরা মূলত জেলে শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।  পালদের বিরুদ্ধে  কৈবর্তদের বিদ্রোহের কারণ ছিল নিজ ভূমি থেকে দখলদার পালদের উচ্ছেদ। এতে প্রমানিত হয় বরেন্দ্র অঞ্চলের আদিবাসী ছিল বাংলার কৈবর্ত সম্প্রদায় অর্থাৎ বাঙালীরা।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ পেরিয়ে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় বসতি নির্মাণ করেছে। বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে প্রাপ্ত লিপি প্রমাণে দেখা যায় ঐতিহাসিক যুগের প্রাচীনতম বসতিটি খুব সম্ভবত শুরু হয়েছিল মৌর্য আমলে। তবে তার আগেও এই অঞ্চলে সমৃদ্ধ মানব বসতির চিহ্ন পাওয়া যায় খোদ মহাস্থানগড় এবং তার পাশাপাশি নরসিংদির উয়ারী-বটেশ্বর থেকে। মৌর্য, শুঙ্গ, কুষাণ, গুপ্ত, পাল ও সেন আমলের পরিক্রমায় মধ্যযুগে প্রত্যাবর্তন করে বাংলা সংস্কৃতি। পাশাপাশি কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতি, ফেনীর ছাগলনাইয়া ও পার্বত্য রাঙ্গামাটি থেকেও কিছু প্রাগৈতিহাসিক বাংলা সংস্কৃতির দেখা মিলেছে।

নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি এলাকার পাশাপাশি মধুপুর গড় ও বরেন্দ্র ভূমির লালমাটিতে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বছর আগেও সমৃদ্ধ মানববসতির অস্তিত্ব ছিল। পাশাপাশি মহাস্থানগড়ে ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক খনন দল কর্তৃক পরিচালিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননে সাতটি স্তরে উন্মোচিত হয়েছে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক নিদর্শন। ধারাবাহিক এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্তরায়ণ প্রমাণ করে প্রাচীনতম সেই বসতির ধারাবাহিকতাই বাংলাদেশে এখনো চলমান। তাই এখানে আলাদা করে অন্য কারও আদিবাসীতার দাবি তোলা প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণসিদ্ধ নয়।

বাংলাদেশ সরকারের ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক গেজেটে দেখা যায়, বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশের অন্যান্য এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি। তারা সবাই নিজেদের ‘আদিবাসী’ হিসাবে দাবি করলেও ঐতিহাসিক ও বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশের সরকার তাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার এ অঞ্চলে আগমন কয়েকশ’ বছরের বেশী পূর্বে নয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলার চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা এই তিন প্রধান সম্প্রদায়ের এ অঞ্চলে আগমনের নানা বিবরণ সুনির্দিষ্টভাবে ইতিহাসে উল্লেখ আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যাগরিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী চাকমাদের আগমন তিন থেকে চারশত বছর আগে থাইল্যান্ড বা মিয়ানমারের কোন একটি অঞ্চলে গোত্রীয় সংঘাতের জের ধরে। তারা জীবনরক্ষার্থে চট্টগ্রামের এসে বসতি স্থাপন করলে ও ব্রিটিশ শাসকরা লুসাই পাহাড়ের দখল নিতে চাকমাদের ব্যবহার করে। পরবর্তীতে তাদের বসতি স্থাপনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সুযোগ করে দেওয়া হয়।

ম্রো পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রাচীন জাতি এবং বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি। ম্রোদের আদি নিবাস মিয়ানামারের আরাকান রাজ্য। আনুমানিক ১৪৩০ খ্রিঃ অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৫৯২ বছর আগে ম্রোরা বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, থানছি ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। মারমা সম্প্রদায়ের ইতিহাসও প্রায় একই রকম। কয়েক বছর আগে বান্দরবনের সাবেক মং রাজা অংশে প্রু চৌধুরী এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন-‘আমরা এই অঞ্চলে আদিবাসী নই।’ 

বান্দরবন এলাকায় মারমা বসতি ২০০ বছরেরও পুরনো। মং রাজাদের বংশলতিকা এবং ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে লিপিবদ্ধ থাকায় এ বিষয়ে সংশয়ের কিছু নেই। আর ত্রিপুরাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে আগমন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজার রাজরোধ থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে তবে সেটা ও বেশি দিনের নয়। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের বাকি ৮টি ক্ষুদ্র জাতি একই।

বাংলাদেশের বিভিন্ন  এলাকায় গারো, হাজং, সাঁওতাল, রাখাইন, ওরাঁও, রাজবংশী, মনিপুরী, খাসিয়া, মুন্ডা, তঞ্চঙ্গা, চাঁক, লুসাই, কোচ, ডালু, খুমি, খিয়াং, পাংখোয়া প্রভৃতি বিভিন্ন জনগোষ্ঠী রয়েছে। এদের অধিকাংশেরই বৃহত্তর অংশ রয়েছে প্রতিবেশী ভারতে। ক্ষুদ্রতর একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে এসেছে। তারাও দীর্ঘকাল ধরে এদেশে বসবাস করছে বিধায় সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। আর একজন নাগরিক হিসেবে সমঅধিকার ও সমসুযোগ তাদের অবশ্যপ্রাপ্য। সেই সুযোগ-সুবিধাও তারা ভোগ করছেন। তবে তারা কেউই বাংলাদেশের আদি বাসিন্দা বা ‘আদিবাসী’ নয়।

আমি আগেই বলেছি- আমাদের দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের ‘আদিবাসী’ বলে পরিচিত করতে ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থ আছে এটা স্পষ্ট। সমাজে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করা নিঃসন্দেহে ভাল কাজ। তবে সেই কাজ করতে গিয়ে দেশের বৃহত্তর জনসমষ্টির সাথে তাদের দূরত্ব বাড়িয়ে দেওয়া, কিংবা বৈরী অবস্থান তৈরী করা মোটেও বাঞ্ছনীয় বা কল্যানকর নয়। 

পশ্চিমা বিশ্বের কিছু কিছু ধর্মীয় সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যানের নাম করে তাদের মূলধারার জনগনের সাথে সম্পৃক্ততার কথা বলে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পক্ষান্তরে তাদের মূল লক্ষ্য হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের উন্নয়নের নামে তাদের ধর্মান্তরিত করা। এতে তারা স্বার্থকও হয়েছে।  

আমাদের দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষই আজ তাদের পূর্বপুরুষের ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে নিজেদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি প্রায় ভুলতে বসেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের বেলায় নয়, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেরই একই অবস্হা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় সব ক্ষুদ্র জাতি-উপজাতি আজ খ্রীষ্ট ধর্মের বলয়ে। একটি শ্রেনী তাদের নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের পর্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের উসকে দিচ্ছে। এতে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। যারা আজ তৎপর নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। এমন ক্ষমতার ও প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করতে দ্বিধা করছে না। আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলি ও তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের সম্প্রতিতে ফাটল ধরাচ্ছে।তাদের মদদেই আমাদের পার্বত্য অঞ্চল আজো অশান্ত। সকল তর্ক বির্তকের উর্ধ্বে এসে এটাই সত্য আমরা সবাই বাংলাদেশি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ জাতিগত বহুত্ববাদ এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠিত। তাই এই বাংলাদেশে কেউই আদিবাসী বা সেটেলার নয় আমাদের একটা ই পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।

ওয়াসিম ফারুক,  কলাম লেখক ও বিশ্লেষক

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh