
বনটেপারি। ছবি: সঞ্জয় সরকার
বনটেপারি বা পটকা একবর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। অসম্ভব সুন্দর বনটেপারির ফুল ও ফল। প্রথমবার এর ফল দেখলে হঠাৎ মনে হবে নারীর শরীরে কানের দুল ঝুলে আছে। ফল চাপ দিলে পটপট করে ফোটে। ফলের ভিতরে একটি মাত্র বীজ থাকে।
বীজটি একটি পাতলা কাগজের মতো আবরণে এমনভাবে ঢাকা থাকে যে দেখতে ঠিক লন্ঠনের মতো। তাই এর আর এক নাম চায়নিজ লন্ঠন। টক স্বাদের এই ফলটি চীনারা সালাদ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Physalis minima. সাধারণ ঝোপঝাড়ে এই গাছ আগাছা হিসেবে জন্মে থাকে। ফুলের রং হালকা হলুদ বর্ণের।
পাপড়ি একসঙ্গে জড়িয়ে থাকে। পাপড়ির মধ্যভাগে সাদা রোমশ পুংদণ্ড দেখা যায়। ফুল কাণ্ডের কক্ষ থেকে বের হয়। ফল এমনভাবে ঝুলে থাকে যে দেখতে লাটিমের মতো মনে হয়। শিশুরা এর ফল পটপট করে ফুটিয়ে আনন্দ লাভ করে বলে গ্রামে একে পটকা গাছ হিসেবেও ডাকা হয়।
এর পাতার রস বলবর্ধক ও মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। নিয়মিত সেবনে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়। পাতা অনেকটা ডিম্বাকার, অগ্রভাগ সুচালো, কিনারা খাঁজকাটা। পাতা দুই থেকে আড়াই সেন্টিমিন্টার লম্বা হয়ে থাকে। পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল নরম ও সহজে ভঙ্গুর।