
খয়রা-কাস্তেচরা। ছবি: কাজী সানজীদ
এরা সাধারণত অগভীর পানিতে অথবা ভিজে আবাদি জমিতে খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন ধরনের পোকা, ছোট মাছ এবং বীজ এদের খাদ্য। এদেরকে দলবদ্ধভাবে দেখা যায়, আবার একটি দুটিও দেখা যায়
বাংলাদেশে শীত মৌসুমে যে সমস্ত পরিযায়ী পাখি কয়েক মাস অবস্থান করতে আসে, খয়রা-কাস্তেচরা তাদের অন্যতম। আমাদের দেশে মোট তিন ধরনের কাস্তেচরা দেখা যায় যাদের মধ্যে এই প্রজাতিটিই বিভিন্ন হাওর এবং চরাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। পাখিটির ইংরেজি নাম Glossy Ibis.
দূর থেকে এই পাখির শরীর পুরো গাঢ় রঙের মনে হয়। কিন্তু পরিষ্কার আলোয় কাছ থেকে দেখলে এর মনভোলানো সৌন্দর্য সঠিকভাবে বোঝা যায়। চকচকে মেরুন, উজ্জ্বল সবুজ, ব্রোঞ্জ এবং বেগুনি রঙের চমৎকার সংমিশ্রণ রয়েছে এদের পালকে। এটি একটি ওয়েডিং বার্ড বা লম্বা পাওয়ালা পানির পাখি।
এরা সাধারণত অগভীর পানিতে অথবা ভিজে আবাদি জমিতে খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন ধরনের পোকা, ছোট মাছ এবং বীজ এদের খাদ্য। এদেরকে দলবদ্ধভাবে দেখা যায়, আবার একটি দুটিও দেখা যায়। আকৃতিতে সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২৬ ইঞ্চি, পাখার বিস্তার ৪১ ইঞ্চি এবং ওজন ৯৭০ গ্রাম। সব কাস্তেচরার ঠোঁট নিচের দিকে বাঁকানো।
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের পাখিরা স্থানীয় বসন্তকালে প্রজনন করে আর উষ্ণ অঞ্চলের পাখিরা বর্ষাকালে প্রজনন করে থাকে। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এদের বসবাস। এদের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার লক্ষণ নেই। সে কারণে আইইউসিএন খয়রা-কাস্তেচরাকে বিলুপ্তি হুমকিমুক্ত মনে করে।