Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

খয়রাপাখ-মাছরাঙা

Icon

কাজী সানজীদ

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩, ১৪:০৮

খয়রাপাখ-মাছরাঙা

খয়রাপাখ-মাছরাঙা। ছবি: কাজী সানজীদ

এরা কড়াভাবে নিজেদের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শিকারি পাখিদের তাড়িয়ে দেয়। সারা জীবনের জন্য এরা জুটি বাঁধে। নদীর তীরে নরম মাটির মধ্যে গর্ত করে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী পাখিটি তার ভিতর দুই থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে। উভয়ে মিলে ডিমে তা দেয় এবং ছানাকে খাওয়ায়।

এটি একটি বৃহদাকার মাছরাঙা। ইংরেজি নাম Brown-winged Kingfisher. পাখিটি মূলত সুন্দরবনে দেখতে পাওয়া যায়, মাঝে মাঝে দক্ষিণাঞ্চলের খালেও দেখা যায়। এই মাছরাঙাটি মেঘহও মাছরাঙার নিকটাত্মীয়। 

খয়রাপাখ-মাছরাঙা আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। পখিটি দৈর্ঘ্যে ৩৫ সেন্টিমিটার হতে পারে। ওজন ১৬০ গ্রাম। এর রয়েছে একটি কমলা রঙের বিশালাকৃতির মাথা। গলা, ঘাড় এবং বুকও একই রঙের। পাখা, পিঠ ও লেজ গাঢ় খয়েরি। কোমর নীল রঙের। লেজটি ছোট এবং পা দুটি লাল। এদের মূল লক্ষণীয় অঙ্গ হচ্ছে বিশাল টকটকে লাল রঙের ঠোঁট।

খয়রাপাখ-মাছরাঙার প্রধান খাদ্য মাছ, কাঁকড়া এবং ব্যাঙ। উচ্চস্বরে ক্যাক ক্যাক করে ডাকে। মার্চ-এপ্রিল এদের প্রজনন কাল। এরা কড়াভাবে নিজেদের এলাকা 

নিয়ন্ত্রণ করে এবং শিকারি পাখিদের তাড়িয়ে দেয়। সারা জীবনের জন্য এরা জুটি বাঁধে। নদীর তীরে নরম মাটির মধ্যে গর্ত করে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী পাখিটি তার ভিতর দুই থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে। উভয়ে মিলে ডিমে তা দেয় এবং ছানাকে খাওয়ায়। 

বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ায় এদের বসবাস। পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী খয়রাপাখ-মাছরাঙাদের সংখ্যা ক্রমহ্রাসমান। সে কারণে আইইউসিএন পাখিটিকে বিলুপ্তি হুমকির কাছাকাছি মনে করে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫