Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

ভারত-পাকিস্তানে উচ্চ সতর্কতা জারি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ০৯:০৮

ভারত-পাকিস্তানে উচ্চ সতর্কতা জারি

ছবি: সংগৃহীত

আরব সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ভারতের গুজরাটের কুচ এবং সুরাট জেলা ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দুই দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গতকাল রবিবার (১১ জুন) পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর এক টুইটবার্তায় জানিয়েছে, ‘বিপর্যয়’র প্রভাবে আগামী ১৩ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত সিন্ধের থাট্টা, সুজাওয়াল, বাদিন, থরপারকার এবং উমেরকোট জেলায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এসময় এসব জেলায় বাতাদের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠতে পারে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

একই সময়ে সিন্ধের প্রাদেশিক রাজধানী করাচি, হায়দারাবাদ, তান্দো মুহম্মদ খান, তান্দো আল্লায়ার ও মিরপুরখাস জেলায় ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বর্ষণ হতে পারে।

এদিন পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সিএএ করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগামী সব ফ্লাইট রাজধানী ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক বিমাবনবন্দরে আবতরণের নির্দেশনা দিয়েছে। সিএএ জনিয়েছে,পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট যেন অবতরণ না করে।

আসন্ন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর এনডিএমএ সিন্ধ শাখা দপ্তরকে এক বার্তায় জানিয়েছে, আগামী ১৩ তারিখ সিন্ধের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ‘বিপর্যয়’। সেক্ষেত্রে সিন্ধ প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে মঙ্গলবার থেকে প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া ও বন্যা দেখা দেওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

এনডিএমএ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সিন্ধ শাখা কার্যালয়ে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মৎসজীবীদেরকে যেন সাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয় এবং উপকূল অঞ্চলের স্থানীয় লোকজনদরে ঝড় আসার আগেই যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারনার কাজ শুরু করা হয়।

সিন্ধের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে উর্দু ভাষার প্রচলন কম। তাই স্থানীয় ভাষায় প্রচার-প্রচারনা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে এনডিএমএ।

আরব সাগরের তীরবর্তী অপর প্রদেশ বেলুচিস্তানের শাখা কার্যালয়েও এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে উচ্চ সতর্কতা জারিসহ যাবতীয় প্রুস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিওটিভি।

পাকিস্তানের পরিবেশমন্ত্রী শেরি রহমান সম্প্রতি এক টুইটবার্তায় সিন্ধ ও বেলুচিস্তানের লোকজনকে আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় খুবই অপ্রাত্যাশিত একটি দুর্যোগ, তবে আমরা যদি আতঙ্কিত হই, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে। সচেতনতা, সাবধানতা ও যথাযথ পরিকল্পনা দিয়ে এই দুর্যোগকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’

সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার যাবতীয় পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ শেষ করবে তার নেতৃত্বাধীন সরকার।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫