Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

এলো বর্ষা বৃষ্টির ছন্দে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ১২:১৪

এলো বর্ষা বৃষ্টির ছন্দে

প্রতীকী ছবি

বাংলা বর্ষপঞ্জিকায় আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস নিয়ে বর্ষাকাল। এই ঋতুতে নদ-নদীতে যেমন নতুন করে প্রাণ আসে, তেমনি গাছে ফোটে কদম, বকুল নানা রকমের ফুল। তপ্ত ধরণীর বুকে বৃষ্টির পানি ঢেলে এই ঋতু প্রকৃতির রূপও বদলে দেয়। কদমকে তো আষাঢ়ের প্রতীক বলা হয়। 

আজ ১৪৩০ বাংলা সনের পহেলা আষাঢ়। বর্ষার প্রথম দিন। এ সময়ে বাংলার নদীনালা, খাল-বিলসহ সব জলাশয় পানিতে ভরে ওঠে। তাতে ফোটে শাপলা, পদ্ম আর নাম না জানা শত জলজ ফুল। চোখ আটকে যায় কদম ও চালতার স্নিগ্ধ সোনালি সবুজে। গ্রামবাংলার দিগন্তরেখা জুড়ে ছেয়ে থাকা মেঘের গর্জন রাখাল বালককে ব্যস্ত করে তোলে। নদী-হাওরের বধূরা এ সময় অপেক্ষায় থাকেন বর্ষার জল ভেঙে নৌকায় বাপের বাড়িতে নাইয়র যেতে।

বর্ষা আমাদের মন ও প্রকৃতিকে সবুজ করে তোলে। বর্ষায় আরো ঘন ও সজল হয়ে ওঠে সব। শৈশবের বৃষ্টির স্মৃতি উঁকি মারে মনে। নতুন মেঘ দেখে পুরাতন হৃদয় দুলে ওঠে। বাতাসে বৃষ্টির সুবাস অলস করে তোলে। আনন্দের শিহরণ জাগায়।

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আষাঢ়ের পয়লা দিন থেকে বর্ষাকাল শুরু হলেও বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসেই বৃষ্টির সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে যায় আমাদের। এ দেশে এখনো ৮০ শতাংশ বৃষ্টিই হয় বর্ষার আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাসে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলা ঋতুতেও পড়েছে। এবার শীত ও গ্রীষ্মকালে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। উষ্ণতাও বেশি ছিল। গত বছরের নভেম্বর থেকে দেশে বৃষ্টি কম হয়ে শুষ্ক শীতকাল আরো বেশি শুষ্ক হয়ে পড়েছিল। এবার গ্রীষ্মে রেকর্ড গরমের বিপদ কাটিয়ে বর্ষায় কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে বলে অনেকে আশায় ছিলেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমেও যে মাত্রায় তাপপ্রবাহ চলছে তা এ দেশে খুব কম দেখা গেছে।

তবে আশার কথা হলো, গত কয়েক দিন রাজধানীসহ সারা দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। শোনা গেছে বর্ষার আগমনী গান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫