Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

ধলাপেট-সিন্ধুঈগল

Icon

কাজী সানজীদ

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ১৪:০৫

ধলাপেট-সিন্ধুঈগল

ধলাপেট-সিন্ধুঈগল। ছবি: কাজী সানজীদ

বাংলাদেশে বেশ কিছু শিকারি পাখি দেখা যায়। তাদের আকৃতি বিভিন্ন ধরনের। শালিকের মতো শরীর থেকে শুরু করে প্রায় চার কেজি ওজনের বিশাল দেহের পাখিও আছে। ধলাপেট-সিন্ধুঈগল তেমনি একটি বিশাল আকৃতির শিকারি পাখি। এদের প্রধানত উপকূলে এবং ম্যানগ্রোভ বনের কাছাকাছি দেখা যায়, অর্থাৎ সুন্দরবনেও এদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। পাখিটির ইংরেজি নাম White-bellied Sea Eagle.

ধলাপেট-সিন্ধুঈগল পাখিটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হতে পারে ৩৩ ইঞ্চি, পাখার বিস্তার ৮৬ ইঞ্চি এবং ওজন তিন কেজি নয়শ গ্রাম। অন্যান্য সব শিকারি পাখির মতো স্ত্রীটি বৃহদাকার। এই ঈগলটির কোনো উপপ্রজাতি নেই এবং এরা সবসময় পানির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। বোঝাই যাচ্ছে পাখিটি প্রধানত মাছ খেয়েই জীবন ধারণ করে। তাছাড়া সাপ, জলজ পাখি, কচ্ছপও খেয়ে থাকে। উপরন্তু ভূমির বাসিন্দা যেমন খরগোশও শিকার করে থাকে। কখনো কখনো মৃত প্রাণীর মাংসও খেয়ে থাকে।

এদের শরীরের ওপরের অংশ ধূসর কালো, পেট, বুক ও পাখার নিচে সাদা। লেজটি পাখার মতো বিছানো সাদাকালো রঙের। সুন্দরবন অথবা উপকূলে গেলে এদের উঁচু গাছের ওপর বসে থাকতে দেখা যায়। আবার ওপরে ঘুরে ঘুরে উড়ে বেড়াতেও দেখা যায়। উঁচু গাছে বড় বাসা বাঁধে এবং একই বাসা প্রতিবছর প্রজননের সময় ব্যবহার করে থাকে। অক্টোবর থেকে মার্চ এদের প্রজননকাল। স্ত্রী পাখিটি একজোড়া ডিম পাড়ে, যা ৪০ দিন ধরে তা দেওয়া হয়। ছানা বেশ তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায় এবং ৬৫ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে উড়ে যাওয়ার মতো হয়। তবে ওড়া শেখার পরেও অন্তত তিন মাস বাসার কাছাকাছি থাকে। উদ্দেশ্য- মা-বাবার কাছে থেকে শিকার শেখা।

ধলাপেট-সিন্ধুঈগলের সংখ্যা স্থিতিশীল আছে। তাই আইইউসিএন পাখিটিকে বিলুপ্তি হুমকিমুক্ত মনে করে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫