-65082b42d5e53.jpg)
মিছরিদানা। ছবি: সঞ্জয় সরকার
মিছরিদানার অন্য নামগুলো হলো চিনিপাতা, মিডালি। চিনিমিঠা ও মিছরিপাতা। এর বৈজ্ঞানিক নাম Scoparia dulcis.
ফুল সাদা বর্ণের। ছোট ছোট হালকা পাপড়িবিশিষ্ট ফুলের মধ্যখানে পুংকেশর থাকে। ফল দেখলে হঠাৎ মসলা মনে হতে পারে। বিশেষ করে ভুলে একে পাঁচফোড়নের মসলা ভাবাটা অস্বাভাবিক নয়। ছোট ছোট পাতায় ভরা ঝোপালো উদ্ভিদ। ফল ঠিক নূপুরের ঘুঙুরের মতো ঝুলে থাকে। কখনো কখনো মনে হবে শিশুর ঝুনঝুনি। ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে এটি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে কার্যকরী। মিছরিদানা তৃণজাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। পাহাড়ি অঞ্চল হতে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। এর পাতা চিনির থেকে অধিক মিষ্টি। পাতা ও গাছের রস আরও বেশি মিষ্টি। যে কারণে এই উদ্ভিদের নাম হয়েছে মিছরিদানা বা চিনিপাতা।
এটি বর্ষজীবী আগ্রাসী শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট বীরুৎ শ্রেণির আগাছা। এ গাছ প্রায় ৯০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কাণ্ড কিছুটা দৃঢ়, শিরাবিশিষ্ট ও লোমবিহীন।
পাতাগুলো বল্লমাকৃতির, কিনারা দাঁতের মতো খাঁজকাটা। খাটো বোঁটাবিশিষ্ট এ পাতাগুলো কাণ্ডের ওপর একটি অন্যটির বিপরীতে সাজানো থাকে। সাদা রঙের ছোট ছোট ফুল প্রায় ৩ সেমি ব্যাসার্ধবিশিষ্ট ও বোঁটাযুক্ত। ৪টি করে বৃতি ও পাপড়ি থাকে। ফল গোলাকার ধরনের, ক্যাপসুলজাতীয় ও প্রায় ০.৫ সেমি ব্যাসবিশিষ্ট। বীজগুলো গোলাকার। এটি বর্ষা ঋতুতে অর্থাৎ মে থেকে জুন মাসে ফুল দেয়। বীজের সাহায্যে এ আগাছা বংশবিস্তার করে।