Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

বাতাস বিশুদ্ধ করে যে গাছ

Icon

লাবণী মণ্ডল

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ১৮:৪২

বাতাস বিশুদ্ধ করে যে গাছ

স্পাইডার প্ল্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত

যে হারে গাছ কেটে ‘উন্নয়ন’ কর্মকাণ্ড চলছে, তাতে মানব সভ্যতাই হুমকির মুখে পড়েছে। চীনে বিশুদ্ধ বাতাস কনটেইনারে করে বিক্রি হতে দেখা গেছে। দিল্লি ও বেইজিংয়ে শীতের সময়ে গ্যাস মাস্ক ছাড়া চলাচল করাটাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ঘরে বসে একটু বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়াটা কম কিছু তো নয়!

ঢাকার বাতাস অনেক আগে থেকেই মারাত্মকভাবে বিষাক্ত। প্রায় বসবাস অযোগ্য হয়ে ওঠা এ শহরের ইট-পাথরের বাসায় এখন কেউ কেউ বাতাস বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র বা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করছেন। তবে প্রকৃতিতেই এমন কিছু পিউরিফায়ার গাছ আছে, যারা দূষিত বাতাস পরিষ্কার করতে সক্ষম। নাসার এক গবেষণায় দেখা গেছে, এমন কিছু গাছ রয়েছে, যা ঘরে রাখলে শুধু অক্সিজেনই পাবেন না, সঙ্গে ঘরের মধ্যে থাকা দূষিত বাতাস, এমনকি দুর্গন্ধও রোধ করা সম্ভব। 

অ্যালোভেরা

বাংলা এ গাছটিকে বলা হয় ঘৃতকুমারী। ঘরের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। ঘরের মধ্যে থাকা কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ফর্মালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক উপাদান শোষণ করে নেয়। একটি অ্যালোভেরা গাছ প্রায় ৯টি বায়োলজিক্যাল এয়ার পিউরিফায়ার ক্যানের মতো বাতাস পরিষ্কার করার কাজ করতে পারে।

জেড প্ল্যান্ট

জেড প্ল্যান্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে খুব কম যত্নেও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। খুব কম পানির প্রয়োজন হয়। ১০ থেকে ১২ দিন পর পর সামান্য একটু পানিই তার জন্য যথেষ্ট। সরাসরি রোদ পড়ে এমন স্থান জেড প্ল্যান্টের জন্য আদর্শ নয়। এই গাছ গাড়ির ধোঁয়া থেকে আসা দূষণও রোধ করতে সক্ষম।

ফিকাস

এটি এক ধরনের রবার জাতীয় গাছ। খুব ভালো বাতাস পরিষ্কার করতে পারে। বিশেষত বাতাসের টক্সিন শুষে নেয় এবং টাটকা বাতাসের জোগান দিতে থাকে। খুব একটা আলো বা পানির প্রয়োজন হয় না। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ছোট বাচ্চাদের থেকে গাছটি দূরে রাখতে হবে। কারণ এ গাছের পাতা শরীরে বিষক্রিয়া করতে পারে।

মনস্টেরা

অনেক ধরনের মনস্টেরা পাওয়া যায় নার্সারিগুলোতে। বাতাস বিশুদ্ধ রাখার পাশাপাশি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায় এই গাছ। মনস্টেরা ভালো রাখতে চাইলে মাটি সব সময় হালকা ভেজা রাখা উচিত। প্রাকৃতিক আলো আছে এমন ঘরে রাখুন। তবে সরাসরি রোদ পড়ে এমন স্থানে না রাখাই ভালো।

স্পাইডার প্ল্যান্ট

মাকড়সার মতো দেখতে স্পাইডার প্ল্যান্ট ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে চমৎকার। খুব কম আলোতেও এরা সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। ফলে অক্সিজেন জোগান দিতে থাকে। তা ছাড়া স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিন বাতাস থেকে শুষে নিতে সক্ষম। একটা গাছ প্রায় ২০০ বর্গমিটার জায়গার বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে পারে। অল্প আলোতে ভালো থাকে স্পাইডার প্ল্যান্ট। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই দিতে হবে পানি।

পিস লিলি

চমৎকার একটি বায়ু পরিশোধক গাছ। অল্প আলোতেই এই গাছ বেড়ে ওঠে। এর হলুদ পাতা বুঝিয়ে দেবে সে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রোদ পাচ্ছে। স্বাভাবিক পরিমাণে পানি দিলেই যথেষ্ট। ঘরের বাতাস থেকে বেনজিন, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, জাইলিনের মতো টক্সিন শুষে বাতাস পরিষ্কার করে। এতে গ্রীষ্মে ফুটবে খুব চমৎকার সাদা ফুল। তবে পোষা প্রাণী ও বাচ্চাদের কাছে থেকে দূরে রাখতে হবে। এর পাতা-ফুল গলায় বা পেটে গেলে চুলকাবে।

স্নেক প্ল্যান্ট

এ গাছ সহজে মরে না। বিশেষ আলো বা জলেরও প্রয়োজন হয় না। টক্সিন পরিষ্কার করে, অক্সিজেন সরবরাহ করে। রাতেও অক্সিজেন ঘরের মধ্যে ছাড়তে থাকে। বেডরুমে রাখার জন্য সব থেকে আদর্শ গাছ স্নেক প্ল্যান্ট।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫