
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় রেমালের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া অফিস। গভীর রাতে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ শনিবার (২৫ মে) সকালে আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।
আবহাওয়া অফিস আরও বলছে, গত ছয় ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়েছে নিম্নচাপটি।
গভীর নিম্নচাপ আরও উত্তর দিকে সরবে। শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়। যা সাগরেই শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আরও উত্তরে সরে এসে রাতে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী অংশে। স্থলভাগে প্রবেশের সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। হাওয়া বইতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার বেগেও।
এই নিম্নচাপ সংক্রান্ত ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এবং আশপাশের এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।