
কোডিনহি গ্রামের যমজ শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত
হাজারও রহস্যে ঘেরা আমাদের এই পৃথিবী। বিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞরা শত চেষ্টা করেও পৃথিবীর অনেক রহস্যের সমাধান করতে পারেননি। এ রকমই এক রহস্যময় জায়গা ভারতের কেরালের মালাপ্পুরম জেলার কোডিনহি গ্রাম। অদ্ভুত এই গ্রামের রাস্তাঘাটে, খেলার মাঠে, স্কুলে বা অফিসে সর্বত্র দেখতে পাবেন যমজদের।
জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে প্রায় বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম কোডিনহি। গ্রামের তিন পাশেই জল। মাত্র একদিকে ভূমি, যেখান দিয়ে নিকটবর্তী তিরুরাঙ্গাদি শহরের সঙ্গে গ্রামের মানুষের যোগাযোগ। এই গ্রামে সবমিলিয়ে দুই হাজারের কিছু বেশি পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা মোট হিসাবে ১১ হাজারের মতো। কিন্তু এই গ্রামের অবাক করা তথ্য হলো, মাত্র দুই হাজার পরিবারের মধ্যে যমজের সংখ্যা ৪৫০ জোড়া! কোডিনহি গ্রামে যমজ সন্তান জন্মের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে থেকে।
অথচ আগে এই গ্রামে যমজ সন্তান জন্মের হার স্বাভাবিকই ছিল। বর্তমানে এই গ্রামে যমজ সন্তান জন্মের হার আগের চেয়েও বেড়েছে। ভারতে জাতীয়ভাবে যমজ সন্তান জন্মের গড় হার প্রতি হাজারে মাত্র চারজন, সারা পৃথিবীতে যা প্রতি হাজারে ছয়জন। কিন্তু কোডিনহি গ্রামে প্রতি হাজারে প্রায় ৪৫ জন যমজ সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে, যা বৈশ্বিক গড়ের আট গুণের কাছাকাছি।
২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, এই গ্রামে জন্ম নিয়েছিল ২৬৪ যমজ শিশু, সংখ্যাটা বেড়ে এখন ৪৫০-এ দাঁড়িয়েছে। সারা বিশ্বে যমজ সন্তান প্রসবের যে হার, কেরালার এই গ্রামে সে হার প্রায় ছয় গুণ বেশি।
যমজের জন্মের এই আশ্চর্য ঘটনা বিশ্বে কেবল কোডিনহিতে নয়, আর দুটি গ্রামেও ঘটে। নাইজেরিয়ার ইগবো ওরা এবং ব্রাজিলের ক্যানডিডো গডোই নামের গ্রামে। এই দুটি গ্রামের যমজ সন্তান জন্মের ব্যাখ্যা পাওয়া গেলেও অদ্ভুত এই গ্রামের রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।