Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

চারিত্রিক সনদপত্র

Icon

মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৫:২৩

চারিত্রিক সনদপত্র

পুঁজিবাদী শাসকশ্রেণির চরিত্র দুনিয়ার সর্বত্র সমান। একুশ শতকের মানুষ আমরা। অথচ কী দুর্ভাগ্য, ইংরেজের করা বহু কালো আইন আজও বহন করে চলেছি। কতকাল করতে হবে, আমরা জানি না। স্বাধীন সার্বভৌম দেশের মানুষ হয়েও আমাদেরই একান্ত লোকেরা রাষ্ট্র পরিচালনা করলেও ইংরেজের করা অমানবিক আইন আজও আমাদের কাঁধে চেপে বসে আছে। আইনগুলো যে সবই সাংবিধানিক, তা নয়। সংবিধানের কোথাও লেখা নেই, সরকারি চাকরি করতে গেলে চারিত্রিক সনদপত্র অপরিহার্য। সংবিধান রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে যথার্থ মর্যাদা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র কতকগুলো কুৎসিত বিধান সংরক্ষণ করছে। চারিত্রিক সনদপত্র সে সবের একটি। বিশেষ করে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এই বিধান চলে আসছে, চলছে। চাকরি হবে, এটা নিশ্চিত নয়। তবুও চাকরির দরখাস্ত করার সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের সঙ্গে চারিত্রিক সনদপত্র দিতে হবে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ। 

চাকরি যেহেতু দরকার, কাজেই নিরুপায় হয়ে এই সনদপত্র যুক্ত করা হয়। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীর ভেতরে থাকে এক ধরনের ক্ষোভ, দুঃখ ও গ্লানি। আত্মগ্লানি নরকের আগুনের মতো মনকে পোড়ে। চাকরির ক্ষেত্রে বিপুল প্রতিযোগিতার মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে অতি বড় বিপ্লবীর পক্ষেও সরকারের এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা সম্ভব হয় না। কাজেই নিরুপায়ের পায়ে সেলাম ঠুকতে হয় তখন সেই বিচক্ষণ ও তীক্ষèধী চাকরিপ্রার্থীকেও। 

কেন এই চারিত্রিক সনদপত্র? কার কাছ থেকে গৃহীত হয়? এর প্রয়োজনীয়তাই বা কী? সরকারের দিক থেকে যদি বিবেচনা করা হয়, তা হলেও কি এর কোনো ন্যায্যতা আছে? একজন চাকরিপ্রার্থীর চরিত্রের ভালো-মন্দ নির্ণয় করার জন্যে এই সনদপত্র কি মোক্ষম অস্ত্র? এটা এখন কেবল একটা প্রথায় পরিণত। ব্রিটিশ আমলে ছিল, পাকিস্তান আমলে ছিল, অতএব বাংলাদেশেও চলুক! মজার সংবাদ এই যে, সরকারি অফিসের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি উচ্চপর্যায়ের চাকরি পর্যন্ত এই সনদপত্র হাজির করতে হয়! 

চাকরিপ্রার্থীকে তার যোগ্যতা প্রমাণের জন্যে এমনিতেই অনেক প্রমাণপত্র হাজির করতে হয়। নানা স্তরের পরীক্ষা পাসের প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট তো আছেই; এ ছাড়া আছে ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অথবা পৌর প্রধানের কাছ থেকে গৃহীত নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। নানা সাইজের ছবি, এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। এখানেই তো শেষ হয় না ব্যাপারটা। প্রার্থীর চাকরি হয়ে গেলে তার দেওয়া তথ্য এবং ভালো-মন্দ যাচাইয়ের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্বও থাকে। এই যাচাই পর্বটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’। চাকরিপ্রাপ্ত ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজে যুক্ত কি না, কোনো মামলা-মোকদ্দমা আছে কি না, এমনকি সমাজে তার নিকট আত্মীয়দের বিরুদ্ধে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরুদ্ধ কোনো নালিশ আছে কি না, সেগুলোও তো যাচাই হয়ে থাকে। তবে এই character certificate কেন?

দুই

‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’-বিষয়টি একটু খোলাসা করে দেখা দরকার। প্রশাসন বড় জটিল হয়ে উঠেছে ইদানীং। দেখা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে প্রবেশের আগেই এই ভেরিফিকেশন হয়ে থাকে। চাকরির মাঝপথেও অবশ্য এটা হয়। এই তদন্তের কারণে অনেক সময় শুধু চাকরি নয়, চাকরিপ্রার্থীর জীবনটাই বিপন্ন হয়ে ওঠে। নিজের জীবন তো বটে, সন্তান-সন্ততির জীবনও। এটা কত ভয়ানক ব্যাপার, যে এর শিকার হয়নি তাকে বোঝানো কঠিন। ভাষার ঝুঁকি নিয়ে তবুও কিছু বলার চেষ্টা করা যাক কথাটা।

সমাজ বড় জটিল, সরল জীবন অসম্ভব। সংসারে থাকলে, পারিবারিক বন্ধনেও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সব সময় মধুর সম্পর্ক থাকে না। ভাইয়ে-ভাইয়ে দ্বন্দ্ব, পিতা-পুত্রে মনোমালিন্য কোন পরিবারে নেই? সংসারে মতান্তর, মনান্তর আজ এক নিত্যকার ঘটনা। যেখানে স্বার্থ অন্ধ হয়, সেখানে বিবাদ অনিবার্য। দেখা যায়, চাচা-জ্যাঠাদের সঙ্গেও জমিনের সীমানা নিয়ে কলহ বাধে। আর্থিক সম্পদের তারতম্যে রক্তের সম্পর্কে চিড় ধরে। কিন্তু এর ফলে সেখানে পরশ্রীকাতরতার মতো হিংসাত্মক ব্যাধিও গোপনে বাড়তে থাকে। এমন অবস্থায় চাকরির তদন্তের জন্যে পুলিশ যদি ভাতিজার রিপোর্ট চাচার কাছ থেকে নিয়ে নেয়, তবে সে রিপোর্ট যথার্থ না-ও হতে পারে। কারণ তেমন সুযোগে হয়তো চাচা যত্ন-আত্তি করে পুলিশকে রসগোল্লা খাইয়ে এমন রিপোর্ট দেবেন যাতে ভাইপোর শুধু চাকরিটা চলে যাবে তা-ই নয়, পুরো জীবনটাই বরবাদ হয়ে যেতে পারে! অবশ্য এ জন্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করাও ঠিক হবে না। কেননা নিজের ভাইপো সম্পর্কে খুড়ো ভুল তথ্য দেবেন, এটা বিচার করে দেখা তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে। আসলে কোনো একটি পদ্ধতি চালু করে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে পড়াটাই মারাত্মক! 

আলোচ্য সনদপত্রটির ব্যাপারে বড় আপত্তির জায়গা, এটা সম্মান হানিকর ও আত্মমর্যাদা বিরোধী। শর্ত থাকে, এটা তার কাছ থেকেই নিতে হবে, এরই মধ্যে যিনি সরকারি কর্মে নিযুক্ত ও প্রতিষ্ঠিত। তিনি অবশ্যই প্রথম শ্রেণির চাকুরে হবেন। কথাটা বলা হয় ইংরেজিতে। বলা হয় ফার্স্ট ক্লাস গেজেটেড অফিসার কর্তৃক ‘সত্যায়িত’ হতে হবে। প্রথাটা যেহেতু ইংরেজের কাছ থেকে এসেছে, কাজেই সেটার তরজমা করে কথাটা বলা হয় বাংলায়। লক্ষণীয় যে, যে বাংলাটা বানানো হয়েছে, সেটাও আরেকটি ঘাপলা। বাংলা ভাষায় ‘সত্যায়িত’ বলে কোনো কথা নেই। বাংলা অভিধান এ রকম শব্দের অনুমোদন করে না। বাংলা সংস্কৃত ভাষা থেকে গ্রহণ করেছে ‘প্রত্যয়িত’ [প্রত্যয়+ইত (যুক্তার্থে)] শব্দটি। এর অর্থ বিশ্বস্ত, যাকে বিশ্বাস করা যায় কিংবা যাকে বিশ্বাস করা হয়েছে অথবা যে বিশ্বাসযোগ্য। ইংরেজি কথাটা atested। এর ব্যাখ্যায় বলা যায়,formal confirmation। বানানো শব্দটির দিকেও কারো খেয়াল নেই, যা বানালাম তা ঠিক অর্থ দিচ্ছে কি না, কিছু মনোযোগ তো দেব? একেবারে যা খুশি তাই! 

উল্লিখিত স্বাক্ষরটাও এখন মিথ্যায় ছেয়ে গেছে! কেননা প্রার্থীকে এত বিপুল প্রমাণপত্র দাখিল করতে হয় যে, যিনি এই কাগজপত্র প্রত্যয়িত করে দেবেন, তার হাতে এত সময়ও নেই, ধৈর্যও নেই। আর উপযুক্ত সময়ে যে সেই প্রথম শ্রেণির অফিসারকে পাওয়া যাবে, সেটাও বলা মুশকিল। এসব বিবিধ কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যিনি প্রার্থী তিনি নিজেই নিজের প্রত্যয়নকারী। এটা যে আত্মপ্রতারণা ও মিথ্যাচার, সেটা কে না জানে? বলা নিষ্প্রয়োজন, সরকার ব্যবস্থাপনা আমাদের মনে এই কালো দাগ মেশাতে বাধ্য করছে। মানুষের অন্তর এমনি করে মিথ্যায় কালো হয়ে যায়। তারপর চাকরিতে প্রবেশ করলে সব ধরনের আত্মপ্রতারণা ও মিথ্যাচারে সে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

তিন

জিজ্ঞাস্য এই-উল্লিখিত সনদপত্রে কী থাকে? দুটি প্রধান কথা সেখানে বলা হয়। যাকে প্রত্যয়ন করা হয়, তার সম্পর্কে যিনি প্রত্যয়ন করেন, তিনি বলেন যে, প্রার্থীর চরিত্র উত্তম আর তিনি রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। সুদীর্ঘকালের জানা-পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও কেউ কাউকে সহসা এমন সার্টিফিকেট দিতে পারেন না। রাষ্ট্রবিরোধিতার নানা স্তর আছে। সেই বিরোধিতা কোথাও ছোট হতে পারে, কোথাও বড় হতে পারে। আবার এই দুইয়ের একটিও না-ও হতে পারে। এটা নির্ণয় করা সহজ নয়। কাজেই সার্টিফিকেটে যা বলা হয়, তা পুরোপুরি মিথ্যাচার। অন্যদিকে যা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভয়ংকর ও শোকাবহ, তা হচ্ছে কারো ‘চরিত্র উত্তম’ নির্ণয় করা! মানুষে যেটাকে চরিত্র বলে মনে করে, তার নানা স্তর আছে। নানা গুণের সমষ্টি নিয়ে মানুষের চরিত্র গঠিত হয়।

সত্যনিষ্ঠা ও নির্ভরযোগ্যতা মানুষের চরিত্রের সবচেয়ে মহত্তম গুণ। ন্যায়ের প্রতি অনুরাগ, বিচারপ্রবণতা, অধ্যয়নশীলতা, বন্ধুপ্রীতি, সত্যানুসন্ধান, জিজ্ঞাসা, মানুষের কল্যাণ করা, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি নিয়ে মানুষের চরিত্র গঠিত হয়। কাজেই যাকে চারিত্রিক সনদপত্র দেওয়া হচ্ছে তিনি কী এসব গুণের অধিকারী? যিনি দিচ্ছেন তার মধ্যে কী এসব গুণের কোনো একটিও জীবন্ত আছে? কে নির্ণয় ও পরীক্ষা করবে এসব সত্য? কাজেই আর দেরি না করে অতি দ্রুত এই সনদপত্রের রেওয়াজটা তুলে দেওয়া দরকার। এটা জরুরি কাজ। 

আজকের যে বাংলাদেশ আমরা দেখছি, বিশেষ করে সরকারি কর্মপরিচালনা স্তরে, তাতে মনে হয় না আমাদের লেখাপড়া জানা মানুষের দেহ খুঁড়লে উল্লিখিত গুণের কোনো একটি যথার্থরূপে পাওয়া যাবে! কেননা চুরি, ডাকাতি, জালিয়াতি, মিথ্যাচার, বদমাইশি, আত্মপ্রতারণা, ঘুষ-দুর্নীতি, লুঠপাট সরকারি চাকরিজীবী স্তর থেকে নিয়ে প্রশাসনের প্রায় সব মানুষের মধ্যে প্রবলভাবে বিদ্যমান। ব্যতিক্রম স্বাভাবিক নয়, অবশ্য। বেসরকারি কর্মজীবী ও লেখাপড়া জানা মানুষের মধ্যেও উল্লিখিত অপরাধ কম-বেশি বিরাজ করছে। অবশ্য বিভিন্ন ধরনের বেসরকারি চাকরিগুলোতে চারিত্রিক সনদপত্র চাওয়া হয় না। কাজের ধরন অনুসারে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উচ্চতা আর প্রার্থীর কর্মতৎপরতা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতা ইত্যাদি গুণ সেখানে বড় করে দেখা হয়। সরকারি স্তরের চাকরিজীবী মাত্রই ব্যতিক্রম ছাড়া, আজ তার চরিত্রের প্রায় সব গুণ হারাতে বসেছে। শুরুতে মিথ্যা দিয়ে প্রবেশ, শেষে মিথ্যা দিয়ে সমাপ্তÑসম্ভবত এই এক নিয়তি তাদের! সরকারি ব্যবস্থাপনার কর্তব্য সরকারি চাকরিজীবীদের ভেতরের সত্য ও সুন্দর বিকশিত করে তোলা। রাষ্ট্রের উন্নতির জন্যে সব ধরনের কাজই যে মহৎ, আর তাকে তুচ্ছ ও ছোট করে দেখা যে রাষ্ট্রবিরোধিতা-এই চেতনা জাগ্রত করা।

চার

এ প্রসঙ্গে আরো একটি একই রকম জরুরি কথা বলে নেওয়া দরকার। চাকরি থেকে নিয়ে নানা রকম কাজের ক্ষেত্রে অনেক রকম ফরম পূরণ করতে হয় আমাদের সন্তানদের। সেখানে নাম-ঠিকানা, পিতা-মাতার পরিচয় ছাড়াও বিবাহিত-অবিবাহিত অবস্থার সংবাদ থেকে জাতীয়তা ও ধর্মীয় পরিচয়ও দিতে হয়। শিক্ষা ও রাজনীতি এ দেশের মানুষের মন-মগজকে এমনভাবে ধোলাই করে দিয়েছে যে, সে যে মানুষ, সেটাই সে প্রায় ভুলে গেছে! সে নিজের পরিচয় দেয় মুসলমান হিসেবে, হিন্দু হিসেবে, খ্রিষ্টান কিংবা বৌদ্ধ হিসেবে! ইদানীং কতকগুলো বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের পরিচয় নেওয়া হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে। মগ, মুরং, চাকমা, সাঁওতাল, গারো, হাজং প্রভৃতি জনগোষ্ঠীকে একসঙ্গে ধরে আঁটি বেঁধে আমাদের সামনে হাজির করা হয়েছে উল্লিখিত পরিচয়ে! মহাত্মা গান্ধী যেমন নানা সম্প্রদায়ের একত্র সমাবেশের নাম দিয়েছিলেন ‘হরিজন’, এ-ও তেমনি! 

মানুুষকে খাটো করবার যত রকম পদ্ধতি আছে আমাদের রাষ্ট্র তার সবকিছুই ব্যবহার করছে! মানুষ বড় না হয়ে যেখানে সম্প্রদায় বড় হয়, সেখানে সাম্প্রদায়িকতা ঠেকানো অসম্ভব। যেখানে মানুষ বড় না হয়ে ধর্ম বড় হয়, সেখানে ধার্মিকতার হিংসায় সমাজ নরকে পরিণত হয়। এ কথা আমরা মানতে বাধ্য যে, লেখাপড়া জানা কিংবা লেখাপড়া না-জানা মানুষ যখন কোনো সামাজিক কিংবা ধর্মীয় পরিচয় গ্রহণ করে, মনস্তাত্ত্বিকভাবে সে তখন সেটা তার নিজের পরিচয়ের একটা মৌলসত্তা হিসেবে ব্যবহার করে। কোনো দিন যদি কোনো কারণে তার এ পরিচয়ের সংকট দেখা দেয়, তখন সে বুদ্ধি বিবেচনা নয়, প্রয়োজনে হিংসার আশ্রয় নেয়। এই বাস্তব কারণে আমরা চাই উল্লিখিত ফরম থেকে ধর্মীয় পরিচয়টা বাতিল করা হোক। কেননা সেটা খুবই সংকীর্ণ ও অগণতান্ত্রিক পরিচয়। ফরমে উল্লিখিত অপশনটি না থাকলে ক্ষতি নেই। অপশনটি পূরণ করতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা থাকাও উচিত নয়। তবে বিকল্পে কেউ যদি সেখানে তার নিজের পরিচয়ে ‘মানবতাবাদ’ শব্দটি ব্যবহার করতে চায়, তবে তা সম্মানের সঙ্গে গৃহীত হওয়া উচিত। এটাই প্রকৃত আধুনিক ও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। একালের শিক্ষাদীপ্ত মানুষের পক্ষে এটা হতে পারে একটা পথ ও পদ্ধতি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫