Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

বুদ্ধিমান ও ঘিলুহীনের পার্থক্য

Icon

কাজী সানজীদ

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৫

বুদ্ধিমান ও ঘিলুহীনের পার্থক্য

বুদ্ধিমান কখনো বদমাশ হয় না। কেননা তারা জানে, সব বদমায়েশী সহজেই ধরা পড়ে যায়। তবে বুদ্ধিহীনরা কিছুতেই বদমায়েশী ছাড়তে পারে না। ঘিলুহীনতার কারণে তারা বুঝতে অক্ষম যে বদমায়েশী চেপে রাখা সম্ভব নয়। 

সম্প্রতি ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাপক হেনস্তা হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে চীনের পা জড়িয়ে ধরে নির্লজ্জের মতো বলছে মামা, আমাকে বাঁচাও। অথচ তারা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই চীনের বিরোধিতা করে আসছে। এই দেশটি বর্তমানে নিঃসন্দেহে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম বেহায়া দেশ ও ঘিলুহীন। বদমাশ হতে হলে ঘিলুহীন তো হতেই হবে।

তারা একদিকে চীনের পা ধরে তাদের বাঁচানোর আকুল আকুতি জানাচ্ছে, আবার একই সঙ্গে তাদের ওপর শর্ত আরোপ করছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। কি দারুণ উপভোগ্য সার্কাস। যারা কখনো এই বিনোদন উপভোগ করেনি, তাদের জন্য এই প্রদর্শনী বেশ মজার খোরাক জোগাবে।

সম্প্রতি ভারত চীনকে বলেছে, ‘আমাকে বন্ধু হিসেবে পেতে হলে তোমাকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে ত্যাগ করতে হবে। কি সুন্দর মামু বাড়ির আবদার! ভাবখানা যেন, চীনই ভারতের কাছে বন্ধু হওয়ার জন্য 

অনুনয়-বিনয় করছে! ভারত এখনো বোঝে না; চীন বর্তমান বিশ্বে একমাত্র পরাশক্তি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমানে সমান টক্কর দিতে সক্ষম। এই অবস্থান নির্মাণের উদ্দেশ্যে তারা নিজেদের তিরিশ বছর ধরে তিল তিল করে তৈরি করেছে। কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের চরিত্র সূক্ষ্মভাবে খেয়াল করেছে তাই, শ্যামচাচাকে তারা ভালোভাবেই চেনে। 

অন্যদিকে আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ ও বিপুল সম্পদশালী হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া ঐতিহাসিকভাবে একটু ভীতু ও অবিবেচক প্রকৃতির। তারা ১৮৬৭ সালে আলাস্কা রাজ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর ১৯৯১ সালে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এবং কিছু বিশ্বাসঘাতকদের কারণে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়। এ ছাড়া ইতিহাস বলে তারা নির্ভরযোগ্য মিত্র নয়। দুঃসময়ে তারা মিত্রদের ত্যাগ করার অনেক ইতিহাস আছে। ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈঠকে পশ্চিমাদের স্বভাবসুলভ ধূর্ততায় পুতিনকে খাঁটি গুড়ের তৈরি মোয়া দেখিয়েছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ বলেছেন, তুমি ইরানকে ত্যাগ করো, বিনিময়ে আমরা ইউক্রেনের উল্লেখযোগ্য অংশ তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি। ধারণা করা হচ্ছে, অতীতের সব নেতিবাচক অভিজ্ঞতা ভুলে গিয়ে পুতিন সে টোপ গিলেছেন। এটাই রাশিয়ানদের চরিত্র।

তবে ইরান সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিপুল বিক্রমে লড়েছে সম্পূর্ণ নিজের শক্তিতে। আসলে পারস্য জাতিটি ঐতিহ্যগতভাবে উন্নত। এখন প্রকৃত বন্ধুর মতো চীন তাদের হাত ধরেছে। 

চীনারা পোড় খাওয়া বিশেষ জাতি। তারা ভালো করে জানে কি করা উচিত বা উচিত নয়। কথা বলে কম, গভীরভাবে চিন্তা করে কাজে অগ্রসর হয়। সে দেশের সব মানুষ বোঝে, পাকিস্তান তাদের পুরোনো পরীক্ষিত মিত্র। এও জানে, বাংলাদেশের মানুষ চীনকে পছন্দ করে। তাই তারা শেখ হাসিনার মতো বেঈমানের আমলেও এ দেশে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। পশ্চিমা বিশ্ব ফিরিয়ে দিলেও চীন তাকে ফিরিয়ে দেয়নি। বিনিময়ে হাসিনা ভারতের দাসত্ব করেছে। এটা অবশ্য এই পরিবারটির চরিত্র। 

ভারতের ওই ন্যক্কারজনক আবদারের স্বাভাবিক জবাব দিয়েছে চীন। প্রস্তাবটি তারা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে ঘৃণিত দেশ ভারত। তাদের ডিএনএর মধ্যে এমন কিছু ক্ষতিকর পদার্থ আছে, যা তাদের বাস্তববাদী ও সৎ হতে দেয় না। এ কারণেই দেশটির ভবিষ্যৎ অনেক দরিদ্র তৃতীয় বিশ্বের দেশের চেয়েও অনিশ্চিত। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫