Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

ছাত্ররাজনীতি কোন পথে

Icon

মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৩৩

ছাত্ররাজনীতি কোন পথে

বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি কোন পথে-এ বিষয়ে আলোচনা করতে হলে আমাদের অবশ্যই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের দিকে তাকাতে হবে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেভাবে ছাত্ররাজনীতি হয়, এমন নজির পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি বলতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতিকেই বোঝানো হয়। যদিও সে রাজনীতি কলেজ পর্যায়ে বিস্তৃত। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। এখন আলোচনার কেন্দ্রে চাকসু ও রাকসু নির্বাচন। এরই মধ্যে চাকসু ও রাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা এবং প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। একদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাচাই-বাছাই করছেন কে তাদের হয়ে কথা বলবে, অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার থাকবে। আরেক দিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের দলীয় প্রভাব বিস্তার ও নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ছক কষছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে একটা জাতীয় ইস্যু বানিয়ে ফেলা হয়েছে।   

একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের কাজ ছাত্রদের স্বার্থরক্ষা এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ ও এর প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণ। সরলভাবে বললে, ছাত্রদের স্বার্থ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দরকষাকষি করাই ছাত্র সংসদের কাজ। এ জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদকে ছাত্রদের ইউনিয়ন বলা হয় (সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন) ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা সংক্রান্ত আইন ও বাজেট প্রণয়ন এবং উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বডি, সিনেটের। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিনেটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। ছাত্রদের পাঁচজন প্রতিনিধি থাকার বাধ্যবাধকতা আছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ৩৩ বছর ধরে কোনো ছাত্র প্রতিনিধি ছিল না। একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে না পারা ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই দায়।

এবারের জাকসু নির্বাচন অনেক গুরুত্ববহ। কারণ এত বছর পর সিনেট পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি অবশ্যই প্রয়োজন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট প্রতি বছর জুন মাসে একটি অধিবেশনে মিলিত হয়, সেটি বাজেট অধিবেশন। যদিও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেই সিনেট বসার কথা। কিন্তু ব্যতিক্রম ছাড়া সিনেট বছরে একবারই বসে।  

আমি দেড় বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে, স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি। দুটি বাজেট অধিবেশন আমি পেয়েছি। সেখানে জোরালোভাবে জাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ‘ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া সিনেট অপূর্ণাঙ্গ এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আপনারা অবিলম্বে নির্বাচন দিন, যাতে এই সিনেট পূর্ণতা পায় এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এখানে এসে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনাসংক্রান্ত মতামত তুলে ধরতে পারে ।’ 

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে ছাত্ররাজনীতির একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এটি একান্তই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদের মতের প্রতিফলন ঘটে। পরবর্তী এক বছর বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা কিভাবে এগিয়ে নিতে চায়, কী কী করলে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক থাকবে ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে নির্বাচনের মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত নেয়। তারা চাইবে, তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দরকষাকষি করে তাদের কাক্সিক্ষত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে।

সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নির্বাচন একটা উৎসবের মতো হওয়ার কথা। এই রাজনীতিটা একান্তই বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। আমার মতে, প্যানেলগুলো শুধুই বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিকে সামনে রেখে হওয়া উচিত। নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে কী কী কাজ করবে, তা ইশতেহারের মাধ্যমে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরবে। এই নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের প্যানেলের কোনো তাৎপর্য নেই। নির্বাচনের আগে ইশতেহার তৈরি হবে, প্রকাশ্য বিতর্কের আয়োজন হবে, শিক্ষার্থীরা সেখানে প্রশ্ন করবে এবং এসবের মধ্য দিয়ে সার্বিক বিবেচনায় ভোটের সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়গুলো এমনই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এমনটা হলো না। রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি জড়িয়ে পড়ল, একটা অস্থিরতা তৈরি হলো ডাকসু ও জাকসু নিয়ে।  

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো এক রহস্যময় কারণে এর ব্যত্যয় ঘটেছে এতকাল। প্রতিবছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ডাকসু ও জাকসু নিয়ে এত আলোচনা, হইচই, অব্যবস্থাপনা হতো না। 

ডাকসু নিয়ে সবারই একটি আগ্রহ থাকে। একে তো দেশের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়, তার ওপর শহরের মাঝখানে অবস্থিত হওয়ায় সরকারও এটাকে বেশ গুরুত্ব দেয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন এতটা আলোচনায় থাকে না। তথাকথিত সুশীল সমাজেরও ডাকসু নিয়ে বিশেষ আগ্রহ এবং পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোষত্রুটি তারা খুব একটা দেখেন না। অবশ্য এবারের ডাকসু নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে, সেগুলো সামনেও আসতে শুরু করেছে। ভোট গণনার ত্রুটি সামনে আসছে। ফলে কোনো কোনো প্রার্থী পুনরায় ভোট গণনার আবেদন জানিয়েছেন। 

জাকসুতেও ভোট গণনা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে এবং হচ্ছে। যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল তা নজিরবিহীন। ৫৪ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ একটি ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হিমশিম খেয়েছে। এত এত অব্যবস্থাপনার মাঝে আমাদের সহকর্মীদের ফেলা হয়েছিল যে, আমাদের একজন সহকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন। আমরা জানি, এ দেশের পিতা-মাতারা কত কষ্ট করে সন্তানদের বড় করেন, শিক্ষিত করেন। তেমনই দুজন মা-বাবা তাদের একমাত্র সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানিয়েছেন। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরিবারটি কিভাবে এই শোক কাটিয়ে উঠবে আমার জানা নেই। 

এতগুলো ঘটনা কেন ঘটল? এগুলো ঘটার কারণ, যে নির্বাচন হওয়ার কথা ক্যাম্পাসের ইস্যুতে, ক্যাম্পাসের ভেতরে, সেই নির্বাচনটি হলো জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্যানেলে, তাদের মদদে ও প্রভাবে। এখানে বিএনপি, জামায়াত যুক্ত হলো। আর তাদের মনোভাব ছিল, এখানে জিততেই হবে। ডাকসু ও জাকসু  নির্বাচনকে রাজনৈতিকীকরণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সৌন্দর্য এবং স্বকীয়তা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। চাকসু ও রাকসুতেও এ রকম প্যানেলই দেখা যাচ্ছে। এসবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্ররাজনীতি হয়ে যাচ্ছে দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে  নিজেদের তৈরি করবে। কিন্তু এই দুটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সে চিন্তাধারা থেকে আমরা অনেকটাই দূরে সরে গেছি। আমরা দেখলাম, ছাত্ররা রাজনৈতিক দলগুলোর মদদপুষ্ট। সেই ছাত্ররা দলীয় এজেন্ডা ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছে এবং দলের পরামর্শে রণকৌশল ঠিক করেছে। 

ডাকসু ও জাকসুতে বিএনপি ও জামায়াতের যে অতি সক্রিয়তা ছিল, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। তাদের এই অতি সক্রিয়তা প্রমাণ করে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজনীতির লেজুড়বৃত্তির বাইরে বের হতে পারছে না। 

২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সমন্বয়ক নামের একশ্রেণির ছাত্রের উদ্ভব ঘটেছিল। তারা আমাদের সবার কাছে ‘হিরো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অভ্যুত্থান-পরবর্তী তাদের কার্যক্রমের ফলে তারা ক্রমে খ্যাতির চূড়া থেকে নিচে নেমে এসেছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় কিছু সমন্বয়ক যখন ডিবি অফিসে বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল, তখন সারা দেশের ছাত্ররা নিজেদের সমন্বয়ক ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিল। অথচ গণ-অভ্যুত্থানের পরে আমরা দেখলাম, কতিপয় সমন্বয়ক সেই আন্দোলনের কৃতিত্ব ছিনতাই করে ফেলল। তারা সরকারে বসে গেল। ফলে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের মাঝে যে অভূতপূর্ব ঐক্য তৈরি হয়েছিল তা বিনষ্ট হলো। যারা সরকার গঠন করলেন তারা বোধহয় এটাই চেয়েছিলেন। ছাত্রদের ঐক্য থাকলে তাদের জন্য হয়তো সমস্যা হতো। গণ-অভ্যুত্থান ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। কিন্তু সরকারে যারা বসেছেন, তারা দেশের মানুষের আকাক্সক্ষাকে কতটা ধারণ করে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যে ছাত্ররা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষণা দিয়েছিল, ‘রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’ তারাই কয়েক মাস যেতে না যেতেই একটি দল গঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ল। ‘এনসিপি’ নামের একটি দল গঠন হলো। তারা সবাই ছাত্র, অথচ এই দলটিরও আবার একটি ছাত্র সংগঠন রয়েছে। এটা খুবই আশ্চর্যের। গত এক বছরে তাদের কর্মকাণ্ডও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকেনি। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং সর্বোপরি ছাত্ররাজনীতিতে যে পরিবর্তন আমরা আশা করেছিলাম, সেটি হয়নি। এই যে এনসিপি নতুন বন্দোবস্তের কথা বলেছিল, তারা যদি সে পথে হাঁটত তবে তো ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তাদের ছাত্রসংগঠন ‘বাগছাস’ জয় পেত। তারা কিন্তু কেউ জেতেনি। সুতরাং বুঝে নিতে হবে, তারা তাদের জায়গায় নেই। 

ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রশিবির জিতেছে। অনেকেই এটাকে অনেক বেশি হাইলাইট করার চেষ্টা করছে। অনেকেই উদ্বেলিত, অনেকে উদ্বিগ্ন। এটা নিয়ে উদ্বেলিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। জাহাঙ্গীরনগরে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছে, জিএস পদে জিতেছে শিবিরের প্রার্থী। এর অর্থ হলো, শিক্ষার্থীরা প্যানেল থেকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে। তাহলে এখানে কি ভুল হয়েছে? যে ছাত্রকে তিন-চার হাজার শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছে, সে এখন শিবির বা ছাত্রদলের নয়, সে এখন ছাত্র প্রতিনিধি। আমি তাদের শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। এটা আমার উদ্বেগের জায়গা। তবে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন হয়েছে এতে আমি খুশি। আশা করব, এর ধারাবাহিকতা থাকবে। জাকসু নির্বাচনে যে অব্যবস্থাপনা হয়েছে,  আমি জানি না আবার কবে কর্তৃপক্ষ জাকসু নির্বাচন আয়োজন করার সাহস করবে। আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনে যারা আসবেন, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, এই নির্বাচনগুলো যেন নিয়মিত হয়। নিয়মিত এই নির্বাচন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর এ নিয়ে এবারের মতো বাড়াবাড়ি রকমের সংশ্লিষ্টতা নাও থাকতে পারে। 

আমি আশাবাদী, নির্বাচিতরা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। আমি তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে অত বেশি চিন্তিত নই। আমার কাছে তাদের পরিচয়, তারা সকলেই আমাদের শিক্ষার্থী। আমি বিশ্বাস করি, দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিয়ে কাজ করবে। কারা  তাদের ভোট দিয়েছে বা দেয়নি, কাজ করার সময় এ বিষয়গুলো মাথায় আনবে না। সবার প্রতিনিধি হয়ে সর্বজনীনভাবে তারা কাজ করবে-এটুকু আশা তো করাই যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫