Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

জমি কার সহজে জানার উপায়

Icon

লোকমান হাওলাদার

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:২৭

জমি কার সহজে জানার উপায়

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে জমি কেনা-বেচা সতর্কতার সঙ্গে না করা হলে বিপত্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মালিকানাসংক্রান্ত জটিলতা যেমন একটি ইস্যু, আবার নানা ধরনের জালিয়াতির শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। দেশের ভূমি সম্পর্কিত যেসব আইন রয়েছে তা অত্যন্ত জটিল হওয়ার কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের পক্ষে এসব বিষয়ের যথার্থতা বোঝাটা কঠিন হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জটিলতা দেখা দেয় মালিকানা বিভ্রান্তি নিয়ে। অনেকেই অন্যের মুখের কথা বা ভুয়া কাগজপত্র দেখে জমি কিনে পরে প্রতারণার শিকার হন। অথচ এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সরকারি ওয়েবসাইটে জমির আসল মালিকানা যাচাই করা সম্ভব। 

একসময় জমির খতিয়ান বা দাগ নম্বরের তথ্য জানতে ভূমি অফিসে ঘুরতে হতো, সময় ও খরচও লাগত অনেক। কিন্তু এখন ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে ঘরে বসেই জমির মালিকানা জানা সম্ভব হচ্ছে। সরকারি ওয়েবসাইট land.gov.bd-এর মাধ্যমে সবচেয়ে সহজে জমির তথ্য জানা যায়। সেখানে ‘মৌজা ও খতিয়ান অনুসন্ধান’ অপশনে গিয়ে জেলা, উপজেলা, মৌজা ও খতিয়ান নম্বর দিলে জমির মালিকের নাম, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণসহ বিস্তারিত তথ্য দেখা যায়। এতে সাধারণ মানুষ এখন ভূমি অফিসে না গিয়েই প্রয়োজনীয় রেকর্ড যাচাই করতে পারছেন। 

অনলাইন ছাড়াও মোবাইল ফোনে ‘ভূমি সেবা অ্যাপ’ ও e-Khatian অ্যাপ ব্যবহার করে জমির মালিকানা যাচাই করা সম্ভব। অ্যাপে প্রবেশ করে জেলা, উপজেলা, মৌজা ও দাগ নম্বর দিলে জমির বর্তমান মালিকের নাম, খতিয়ান নম্বর ও জমির পরিমাণ দেখা যায়। এই অ্যাপ ব্যবহার সহজ এবং বিনামূল্যে। 

যাদের অনলাইনে অসুবিধা আছে, তারা স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা তহশিল অফিসে গিয়েও জমির মালিকানা যাচাই করতে পারেন। নির্ধারিত ফি দিয়ে জমির খতিয়ান বা রেকর্ডের কপি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেও অনলাইন রেকর্ড সংগ্রহ করা সম্ভব। জমি যদি কেনাবেচা হয়ে থাকে, তবে নামজারি রেকর্ড দেখেই মালিকানা যাচাই করা যায়। 

এ জন্য mutation.land.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জমির প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে নামজারির বর্তমান অবস্থা জানা যায়। এই তথ্য দিয়ে জমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণ করা সহজ হয়। পুরোনো রেকর্ড থেকেও জমির ইতিহাস জানা সম্ভব। যেমন CS, SA, RS ও BS খতিয়ান দেখে জানা যায়, কোন সময়ে জমি কার নামে ছিল। এসব রেকর্ড স্থানীয় ভূমি অফিসে বা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে পাওয়া যায়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের ভূমি সেবাগুলো ধীরে ধীরে পুরোপুরি ডিজিটাল করা হচ্ছে। ফলে নাগরিকরা এখন সময়, খরচ ও হয়রানি ছাড়াই ঘরে বসেই জমির মালিকানা জানতে পারছেন। বিশেষ করে অনলাইন খতিয়ান ও নামজারি সেবার ফলে জমিসংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা অনেক কমে এসেছে। ডিজিটাল ভূমিসেবা এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে। সাধারণ মানুষ চাইলে মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে কয়েক মিনিটেই জানতে পারে, জমি কার নামে নিবন্ধিত এবং কোথায় অবস্থান করছে।প্রযুক্তিনির্ভর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫