
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের পূর্বাঞ্চলও বন্যা কবলিত হতে পারে। পাশাপাশি একই সময়ে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের ভেতরে ও ভারতের পূর্বাঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির কারণে এই বন্যা পরিস্থিাতি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানির সমতল বাড়ছে। এ পরিস্থিতি আরও ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংশ্লিষ্ট ভারতীয় অংশে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার তিস্তা ও ধরলা নদী অববাহিকাসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। একই সময়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এছাড়া মধ্যাঞ্চলে শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলায় বন্যা বিস্তৃত হতে পারে। বর্তমানে শরীয়তপুরের সুরেশ্বরে পদ্মার বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নীলফামারীতে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বিএমডি জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় আছে।
দেশের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অন্তত ১২ স্থানে সর্বনিম্ন ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জে সর্বোচ্চ ১৩৫ ও সর্বনিম্ন বরগুনায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতের পাসিঘাটে ১৭৩, চেরাপুঞ্জিতে ১৩৯ ও দার্জিলিংয়ে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।