Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

৯ম জাতীয় পে-স্কেলের সর্বশেষ তথ্য

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২২, ১৬:৪৪

৯ম জাতীয় পে-স্কেলের সর্বশেষ তথ্য

ফাইল ছবি

অষ্টম জাতীয় পে কমিশনের অনেক অসংগতি এবং বৈষম্য রয়েছে। এ সকল বৈষম্য ও অসংগতি দূর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া অসংগতি ও বৈষম্যগুলো খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত সেই কমিটি কোন প্রতিবেদন দাখিল করেনি, এমনকি কোন মিটিং করেছে বলেও জানা যায়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম কোনভাবে টেনে ধরা যাচ্ছে না।

দ্রব্যমূল্যের থেকে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি কম
সরকারি কর্মচারীগণ জাতীয় পে-স্কেল মোতাবেক বার্ষিক প্রায় ৫% হারে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে থাকে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ বেতন বৃদ্ধির ধাপগুলো সেভাবে সাজানো হয়েছে। মোট কথা বাজারে মূল্যস্ফিতির সাথে বেতন বৃদ্ধির সমন্বয় হচ্ছে না। গত ৬ বছরে ৩০% বেতন বৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফিতি বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭-৪০%। এমতাবস্থায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির ফলে নতুন পে কমিশন গঠনের মাধ্যমে ৯ম পে স্কেল ঘোষণাসহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

নবম পে কমিশন ২০২২
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ ঘোষণার সময় স্থায়ী পে কমিশন গঠনের প্রস্তাব থাকলেও সেটি কার্যকর করা হয়নি। কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন ধরে ৫ দফা দাবীপূরণের পাশাপাশি ৯ম স্থায়ী পে কমিশন গঠনের দাবী নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। নবম পে কমিশন গঠন এবং পে স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ৪০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।

৯ম জাতীয় পে-স্কেল ২০২২
সরকারি কর্মচারীদের ১১-২০ গ্রেডের আন্দোলনের ফলে সরকারি চাকুরেদের বেতন কাঠামোয় বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সরকার চাইছে আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই নতুন একটি বেতন কাঠামো দিতে। নতুন বেতন কাঠামোয় কোনোরকম বৈষম্য যাতে না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বর্তমানে ০৮/০৩/২০২২ তারিখ এ পোস্ট লেখা পর্যন্ত আর কোন আপডেট সরকার এখনও পাবলিশ করেনি বা ঘোষণা করেনি।

মহার্ঘ ভাতা সর্বশেষ খবর ২০২২
সরকারি কর্মচারীগণ বারবার ৪০% মহার্ঘ্য ভাতা চেয়ে আন্দোলন করছে। অতীত ইতিহাস বলছে সর্বোচ্চ ২০% মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থ লগ্নী প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যকে অন্তর্ভর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে তাদের মূল বেতনের ২০% (বিশ শতাংশ) হারে মাসিক সর্বনিম্ন ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মহার্ঘ ভাতা ২০২২

৯ম পে-স্কেল ঘোষণায় দাবীসমূহ ২০২২
সংগঠনগুলো বিদ্যমান বেতন কাঠামোতে ২০টি গ্রেডকে ১০টি গ্রেডে রূপান্তর এবং অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান। সচিবালয়ের মতো সমকাজে সমমর্যাদা ও পদবি পরিবর্তন ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে। টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহাল, পূর্বের মতো শতভাগ পেনশন প্রদানসহ পেনশন গ্র্যাচ্যুইটির হার এক টাকায় ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট মূল বেতনের ২০ শতাংশ প্রদান এবং দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ন্যায্য মূল্যে মানসম্মত রেশন প্রদান, পাহাড়ি, পর্যটন ও দুর্যোগ ভাতা প্রদান করতে হবে। এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে দাবীসমূহ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫