
প্রতীকী ছবি
‘বন্ধু চল, রোদ্দুরে/ মন কেমন, মাঠজুড়ে/ খেলবো আজ, ঐ ঘাসে/ তোর টিমে তোর পাশে।’
মানুষের জীবনে সবচেয়ে সবুজতম সম্পর্ক হলো বন্ধুত্ব। পৃথিবীর সব নির্ভরতা যেন এই সম্পর্কে আষ্টেপৃষ্টে রয়েছে। কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই বন্ধুত্বের কদর করেন।
বন্ধুত্বের সম্পর্ককে খানিকটা আলাদা করে মূল্যায়ন করার জন্যই প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবার বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস।
বন্ধু দিবস জাতীয় উদযাপিত দিনগুলোর মধ্যে একটি। বন্ধুত্ব দিবসের ইতিহাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু। খুব শীঘ্রই এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস এর রুপ লাভ করে।
তবে ঠিক কবে থেকে বন্ধু দিবস পালন করা হচ্ছে তার সঠিক ইতিহাস নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। ধারণা করা যায়, ঊনবিংশ শতাব্দির ত্রিশ থেকে চল্লিশের দশকের মধ্যবর্তী সময়েই বন্ধু দিবস পালন শুরু হয়। ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেডের প্রতিষ্ঠাতা ড. আর্তেমিও ব্রেঞ্চো বন্ধুদের সাথে প্যারাগুয়ের পুয়ের্তো পিনাসকোতে এক নৈশভোজে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সে রাতেই ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডসিপ ক্রুসেড প্রতিষ্ঠা পায়। এই প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুলাই বিশ্বব্যাপী বন্ধু দিবস পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব পাঠায়। প্রায় পাঁচ যুগ পর ২০১১ সালের ২৭ জুলাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৩০ জুলাইকে বিশ্ব বন্ধু দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
সবার মধ্য থেকে নিজের মতো যে জন, বন্ধু হিসেবে আমরা তাকেই বেছে নিই। বন্ধুকে ভালোবাসা মানে আসলে নিজেকে ভালোবাসা, কারণ বন্ধু তো নিজেরই অংশ। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টুকিটাকি উপহারও চাইলে দিতে পারেন বন্ধুকে। না দিতে পারলেও সমস্যা নেই। কারণ বন্ধুত্বে তো হিসাব-নিকাশ থাকে না।