
গোবুরা। ছবি : সঞ্জয় সরকার
রাস্তার ধারে অথবা পরিত্যক্ত জায়গায় উপযুক্ত পরিবেশ পেলে গোবুরা প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে ওঠে। এটি বর্ষজীবী বীরুৎ উদ্ভিদ। সাধারণত ২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর পাতা সবুজ পান পাতার মতো। পাতার চারদিকে খাঁজকাটা থাকে। মখমল কাপড়ের ন্যায় নরম এই পাতা। পাতার মতোই এই গাছের কা-ও বেশ নরম, তাই সহজে এটি ভেঙে ফেলা যায়।
কখনো একক গাছ হিসেবে জন্মে আবার কখনো কখনো ঝোপঝাড় তৈরি করে। গ্রামে গরু-ছাগলের কবিরাজরা এই গাছকে গবাদি পশুর চিকিৎসায় ব্যবহার করে থাকে। শিশুদের মুখ ও গলার ক্ষত এবং অ্যালার্জি নিরাময়ে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অক্টোবর-জুলাই মাসে এই গাছে ফুল দেখা যায়। প্রতিটি ডালের ডগায় মঞ্জরি থাকে। মঞ্জরিগুলো প্যাকেট আকৃতির। প্রতিটি মঞ্জরি থেকে বেগুনি রঙের ফুল বের হয়।
পাতা ও গাছ কটু গন্ধযুক্ত হলেও ফুলে মধু থাকে। ফলে পিঁপড়া ও কীটপতঙ্গের দ্বারা পরাগায়ণ হয়। এক পাপড়িবিশিষ্ট ফুল ঝরে পড়লে মঞ্জরির প্যাকেট বীজে পরিপূর্ণ হয়। বীজের রঙ কালো, আকৃতিতে সরিষা দানার মতো। এর বৈজ্ঞানিক নাম Anisomeles indica.