
শ্রীহস্তিনী। ছবি: সংগৃহীত
হাতির সৌন্দর্য তার শুঁড়ে। এই গাছে যে ফুল ফোটে তার দণ্ডটি দেখতে অবিকল হাতির শুঁড়ের মতো। তাই এই গাছের নাম শ্রীহস্তিনী। সাধারণ বাংলায় একে হাতিশুঁড় বলা হয়ে থাকে। এখনো গ্রামগঞ্জে চোখের চিকিৎসায় হাতিশুঁড়ের রস ব্যবহার করতে দেখা যায়। গাছের পাতা ও পূর্ণাঙ্গ গাছের উটকো গন্ধ আছে।
বিশেষ করে পাতা হাতে নিয়ে ঘষলে গন্ধ পাওয়া যায়; যে কারণে এই গাছের পাতা ও পুরো গাছকে শুকিয়ে প্রস্তুত করে ফসলে স্প্রে করলে তা কীটনাশকের কাজ করে। এটি একবর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় শাখান্বিত উদ্ভিদ। এর হালকা বেগুনি সাদা ফুলগুলো বাঁকানো পুষ্পদণ্ডের উপর এমনভাবে সাজানো থাকে যে একে দেখতে হাতির শুঁড়ের মতো মনে হয়। সারাবছরই ফুল ফুটলেও বর্ষাকালের অধিক ফুলের দেখা মেলে। কাণ্ড রোমশ, ফাঁপা, নরম এবং পাতা খাঁজকাটা।
সাধারণত পরিত্যক্ত জায়গায়, জমির ধারে জন্ম নিতে দেখা যায়। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এই উদ্ভিদের দেখা মেলে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Heliotropium indicum। বিষাক্ত পোকার কামড়, জ্বর, হাঁপানি, বাগী ফুলে উঠলে এই গাছের রস দারুণ কাজ করে। প্রায়ই এই গাছের ফুলে প্রজাপতি বসতে দেখা যায়, যা এর ফুলের মধু নির্ণায়ক একটি ব্যাপার।
লেখক : সঞ্জয় সরকার