
তিলা ঘুঘু। ছবি : কাজী সানজীদ
উপমহাদেশ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রধানত তিলা ঘুঘু দেখতে পাওয়া যায়। ইংরেজি নাম Spotted Dove.
ঘাড় এবং পাখার উপরে সাদাকালো ছোপ থাকাতে এই নামকরণ। তিলা ঘুঘু সারা দেশে আছে। ঢাকা মহানগরীতেও এদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। নগরীর ভিতর ও আশেপাশের ঝোপঝাড়ে, গাছে এবং মাঝে মাঝে বিভিন্ন আবাসিক ভবনের উপরেও এদের বসে থাকতে দেখা যায়। ফাঁকা রাস্তার উপরেও ঘুরে বেড়ায়। নিরীহ এই কবুতর পরিবারের পাখিটির নিটোল নিখুঁত দেহটি দেখতে ভারি সুন্দর। আরও সুন্দর এদের ডাক। মাথা থেকে লেজের প্রান্ত পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে এক ফুটের মতো, ওজন ১৬০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। বুক ও পেটের পালক গোলাপি আভার ছাই রঙের, ঘাড় ও পাখার উপর সাদাকালো প্রিন্ট। পুরুষটি আকৃতিতে বড়। এরা থাকে জোড়ায় জোড়ায়। এদের খাদ্য ঘাসের বীজ, শস্যদানা এবং খনিজ আহরণের জন্য মাঝে মাঝে মাটিও খেয়ে থাকে। বীজ ও শস্যনির্ভর পাখিদের প্রচুর পানি পান করার প্রয়োজন হয়। খেয়াল করলে দেখা যায় এরা তৃণভোজী পশুদের মতো পানিতে মুখ ডুবিয়ে ঢকঢক করে পানি পান করে।
বর্তমানে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রকৃতি সংরক্ষণের ব্যাপক সচেতনতা গড়ে ওঠায় এয়ারগানের শিকার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে এরা এখন বেশ সহজেই নজরে পড়ে। সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকাল এদের প্রজনন ঋতু। এশিয়ার বিশাল অংশ জুড়ে এদের বসবাস এবং জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ার লক্ষণ অনুপস্থিত। সে কারণে আইইউসিএন তিলা ঘুঘুকে বিলুপ্তি হুমকিমুক্ত মনে করে।