Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

সবুজ-টিয়া

Icon

কাজী সানজীদ

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৫০

সবুজ-টিয়া

সবুজ-টিয়া। ছবি : কাজী সানজীদ

এ দেশে উপস্থিত সব টিয়াই সবুজ। তবে এই প্রজাতিটি অত্যন্ত উজ্জ্বল সবুজ। সে কারণে এই নামকরণ। পাখিটির ইংরেজি নাম Rose-ringed Parakeet. এটি একটি মধ্যম আকৃতির টিয়া। উজ্জ্বল সবুজ পালকের মাঝে টকটকে লাল ঠোঁট এবং পুরুষটির গলায় থাকে সুন্দর একটি মালা। লেজের কয়েকটি পালক নীল। মাথার উপরে ধূসর।

সারাদেশে এদের দেখা যায়। নগরগুলোতেও এদের উপস্থিতি সহজেই চোখে পড়ে। উচ্চস্বরে ডেকে এরা উপস্থিতি জানান দেয়। যখন লিখছি, আশেপাশের ভবনগুলোতে কয়েকটি পাখি এসে বসছে আবার ডাকাডাকি করে উড়ে অন্য ভবনে গিয়ে বসছে। দৃষ্টিনন্দন এই পাখিটির প্রতি যে কোনো মানুষের নজর এড়ানো মুশকিল। মনুষ্য-বসতির সঙ্গে সবুজ-টিয়াই সবচেয়ে সফলভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।   

সৌন্দর্যের কারণে এদেরকে বেআইনিভাবে খাঁচায় লালন করা হয় অবশ্য, ধারাটি কিছুটা কমে এসেছে। খাঁচায় পালনের আরও একটি উদ্দেশ্য, এদের কাছ থেকে মানুষের ভাষা শোনা। আসলে কোনো পাখিই মানুষের ভাষা শেখে না। তবে অনেক পাখিই শোনা শব্দ নকল করতে পারে। এরা সেটিই করে। 

সবুজ-টিয়ারা ফল, ফুলের পাপড়ি, সবজি, বাদাম ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকলেও আজীবনের জন্য জুটি বাঁধে না। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে জুটি ঠিক করে ফেলে এবং জানুয়ারির মধ্যে ডিম পাড়ে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাচ্চা ফোটে। বর্ষাকাল আসার পূর্বেই বাচ্চারা বড় হয়ে উড়ে যাওয়ার মতো উপযুক্ত হয়ে যায়।

এই প্রজাতির পাখিটি উপমহাদেশ এবং আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বাস করছে। এদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কোনো লক্ষণ অনুপস্থিত। সে কারণে আইইউসিএন সবুজ-টিয়াকে বিলুপ্তির হুমকিমুক্ত মনে করে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫