
যানজটের দিক দিয়ে ঢাকা প্রথম স্থানে রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘জ্বালানি ব্যবহার ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত রাখি’।
পরিবেশ সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে বেসরকারি উদ্যোগে দিনটি পালন করা হচ্ছে। তবে সরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালন শুরু হয় ২০১৬ সালে।
দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হাঁটা ও সাইকেল চালানোর প্রতি উৎসাহিত করতে প্রবন্ধ ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে ‘গণপরিবহনে ও হেঁটে চলি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত করি’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিবসের অঙ্গীকার অনুযায়ী এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার সীমিত বা নিয়ন্ত্রিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যানজটের কারণে প্রতিদিনই নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ কর্মঘণ্টা। অপচয় হচ্ছে জ্বালানির, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের, বাড়ছে দূষণ। শুধু তাই নয়, এর জন্য বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। বর্তমানে শুধু রাজধানীতেই প্রায় সাড়ে তিন লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। এছাড়া প্রতিদিন যোগ হচ্ছে প্রায় ৪০টি নতুন গাড়ি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান নামবিওর প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯ এর তথ্যমতে, যানজটের দিক দিয়ে ঢাকা প্রথম স্থানে রয়েছে। ২০১৮ সালে এর অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। মাত্র তিন বছর আগেও ঢাকা তৃতীয় স্থানে ছিল। যানজটের মূল কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে।