
প্রতীকী ছবি।
আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ব ট্রমা দিবস। প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচেতনতা তৈরিতে এ দিবসটি পালিত হয়। সাধারণত হঠাৎ কোনো শারীরিক ও মানসিক আঘাত পেলে মানুষ ট্রমায় যায়। আর এসব মানুষের জীবনকে একটু সহজ করতে দিবসটি পালন করা হয়।
ট্রমা কী:
চিকিৎসা জগতে ট্রমাকে শারীরিক আঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনও আঘাতজনিত সমস্যা মানসিক আঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে গার্হস্থ্য সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনা। আঘাতমূলক আঘাত সাধারণত হঠাৎ ঘটে। অনেক লোক আঘাতজনিত আঘাতের পরে বিকৃত হয়ে যায় এবং কারও জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে।
পরিসংখ্যান :
ট্রমাজনিত আঘাতগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বে ৪৫ বছরের কম বয়সী মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ। এর কারণে প্রতিবছর প্রায় ৬ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। এই সংখ্যা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর ১০%। আঘাতজনিত আঘাতের কারণে মৃত্যু সাধারণত ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এবং এইচআইভির কারণে হয়ে থাকে। বিশ্বের ৯০% মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয় এবং আহত হয় পাঁচ কোটির বেশি মানুষ। বাংলাদেশে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যত মানুষ নিহত হয়, আনুমানিক ৩৬ লাখ মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে; ১০ গুণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় এবং ৩০ গুণ মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয়।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সড়কসহ নানা ধরনের দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ট্রমা দিবস পালন করছে। এ ছাড়া মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার এবং রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।