
কাঠমালতি। ছবি : সঞ্জয় সরকার
কাঠমালতি মূলত টগর গোত্রের ফুল। বর্ষাকালে এই গাছে বেশি ফুল দেখা গেলেও সারাবছরই এর ফুল ফুটতে দেখা যায়। টগরের সাথে গাছের পাতা ও ডালপালার দারুণ মিল রয়েছে।
টগরের পাপড়ি একসাথে অনেকগুলো গুচ্ছ আকারে থাকে অন্যদিকে কাঠমালতীর পাপড়ি পাঁচটি। এই ফুলের রঙ সাদা। এই পাঁচ পাপড়ি মূলত চক্রাকারে সাজানো থাকে। তবে পাপড়ির কেন্দ্র হালকা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। ডালের আগায় বা পাতার কক্ষে ফুল ফুটে থাকে। ফুলের পাপড়ি এমনভাবে সাজানো যেনো সামান্য বাতাসে চক্রাকার পাখার মতো এটি ঘুরতে থাকবে বলে ভ্রম হয়। এর লম্বা বীজাধার পেকে গেলে ফেটে বীজ ছড়িয়ে পড়ে। বীজাধারের ভিতরের রঙ খয়েরি লাল বা কমলা বা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। সাধারণত বীজ থেকে আবার ডাল থেকেও এই গাছের চারা তৈরি করা সম্ভব। কাঠমালতির ডালপালা বহুবিভক্ত। কোনো ডালই সাধারণত মূল ডাল হিসেবে লম্বা হয় না। যেকারণে এই গাছকে ঝোপঝাড় হিসেবেই জঙ্গলে বেড়ে উঠতে দেখা যায়। তবে কখনো কখনো এই গাছ গুল্ম জাতীয় গাছে পরিণত হতে পারে। পাতার রঙ গাঢ় সবুজ। কান্ডের রঙ ধূসর। পাতা ছিড়লে সাদা দুধের মতো রস ক্ষরিত হতে থাকে। তাই একে ক্ষীরি বৃক্ষও বলা হয়ে থাকে।
মূলত সমতল ভূমির গাছ হলেও বাংলাদেশের পাহাড় পর্বতেও একে দেখা যায়। এই গাছ সাধারণত ৫-১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Tabernaemontana Pandacaqui. কাঠমালতিকে কাঠমল্লিকা, অনন্ত সাগর, কাঠকরবী, চাঁদনী, বুনো টগর এমনকি কড়ি ফুল নামেও ডাকা হয়।