হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম প্রয়াণ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:১৫

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ছবি: সংগৃহীত
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়।
গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করে।
গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর)। তিনি ১৯৬৩ সালের এদিনে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মারা যান।
১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।
শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।
সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের সব সময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়। জাতি এই মহান নেতার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৮টায় সুপ্রিমকোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালনে দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দিনটি উপলক্ষে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। একই সাথে জাতীয় পার্টির (জেপি) পক্ষ থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় মরহুমের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা, জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।