
তোকমা। ছবি: সঞ্জয় সরকার
এটা বিলাসী তুলসী আবার কোথাও কোথাও গাঞ্জা তুলসী নামেও পরিচিত। প্রায়ই বাজারে, হাটে বা রাস্তার ধারে ঘন জলের পানীয় বিক্রি করতে দেখা যায়।
সাধারণ লোক ভেষজ গুণের কথা চিন্তা করে সেই পানীয় পান করে থাকে। এই পানীয়ের অন্যতম উপাদান তোকমা দানা। তোকমার গাছ সাধারণত রোমশ। গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল বেগুনি বা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় পরিত্যক্ত ঝোপঝাড়ে, জঙ্গলে যেখানে মানুষের চলাচল কম সেসব স্থানে তোকমার গাছ বনের মতো তৈরি করে নেয়।
পাতা থেঁতলে দিলে এ থেকে উৎকট গন্ধ বের হতে থাকে। গ্রামবাংলার ভাষায় একে কবিরাজি গাছ বললেও ভুল হবে না। তবে এটি কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তোকমা উদ্দীপক, তৃষ্ণা নিবারক ও অ্যাসিডিটি নিয়ামক। বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ দূর করতে এটি দারুণ কাজ করে। তোকমার তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে।
ফোড়ার মুখে তোকমার বীজ লাগিয়ে রাখলে ফোড়া দ্রুতই পেকে ফেটে যায়। এর বীজ ছোট আকারের। রঙ কালো। তোকমা তুলসী জাতীয় উদ্ভিদ। ফলে ঠান্ডার সমস্যাতেও তোকমা উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। তোকমার বৈজ্ঞানিক নাম Hyptis suaveolens.