
ফাইল ছবি
করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাদের শিক্ষা, বিনোদন, সামাজিকতা- সবই যেন অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চার দেয়ালের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে শিশুরা নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছে। একই পরিবারে ভিন্ন বয়সের শিশুও থাকতে পারে। তাদের মানসিক বিকাশে পরিকল্পনা সাজাতে হবে ভিন্নভাবে।
সন্তানদের বেশি করে সময় দিন
পরিবারে যে বয়সী সন্তানই থাকুক না কেন, তাদের সঙ্গে নিজের কাজের ফাঁকে তাদের বেশি সময় দিন। প্রতিদিন শিশুদের নিয়ে একসঙ্গে ডাইনিংয়ে বসা, সন্তানের অবসরে তাকে নিয়ে গল্প করা, তার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। মা-বাবা যেন প্রত্যেক সন্তানের প্রকৃত বন্ধু হয়, এটি বোঝাতে হবে। আপনার পরিবারের শিশু যদি খুব ছোট হয়, তা হলে তার সঙ্গে মিশতে হবে তার মতো করে। আর যদি শিশু বোঝার মতো বড় হয়, তা হলে তাকে গল্প আর আড্ডার ছলে বলতে হবে জীবনের ভালো-মন্দ দিকগুলো, আপনার আর্থিক অবস্থাও-যাতে সে বুঝে তার চাহিদা না বাড়ায়। পারিবারিক মূল্যবোধ ও সামাজিকীকরণ শেখাতে হবে।
সৃজনশীল কাজে যুক্ত করুন
সন্তানদের দিনগুলো একঘেয়েমিতে না কাটে, এ জন্য তাদের সৃজনশীল কাজে যুক্ত করতে পারেন। ছবি আঁকা, বই পড়া, বাগান করা গল্প, ছড়া লেখা ইত্যাদি তারা করতে পারে। পরিবারের কাজিনদের মধ্যে অনলাইনে একটা গ্রুপ তৈরি করে দিতে পারেন। এতে তারা প্রতিদিনের কাজের অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে। যেহেতু বাইরে যেতে পারছে না, সেহেতু ঘরে বসে ইউটিউবে ছবি আঁকার টিউটোরিয়ালগুলো ফলো করে ছবি আঁকার চেষ্টা করতে পারে। বয়সভিত্তিক বিভিন্ন বই নির্বাচন করে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। আপনার নেওয়া ছোট ছোট পদক্ষেপ শিশুকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা
দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার খবর শুনে বড়রা যেমন মানসিকভাবে ভালো নেই, ঠিক তেমনি এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপরও। এই সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সবার জন্য ভীষণ জরুরি। কোনোভাবেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়া যাবে না; শিশু যেন ঘরে ব্যায়াম ও খেলাধুলা করে বাড়তি ক্যালরি ঝরিয়ে ফেলতে পারে, তা দেখতে হবে। শিশুর ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। তার মানসিক দিক নিয়েও ভাবতে হবে। তাকে কড়া শাসন নয়, আদর করে সব বিষয়ে বোঝাতে হবে। তার সব কাজে উৎসাহ দিতে হবে। আপনার একটু উৎসাহ তাকে প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করবে।