
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) লোগো। ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পাঁচ মাস পরও প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের ব্যয় বিবরণী প্রকাশে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যর্থ হওয়াকে হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনী ব্যয়ের তথ্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ বুধবার (২৯ মে) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংস্থাটি।
এতে বলা হয়েছে, আইনি বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের বিবরণী প্রকাশ করেনি ইসি। এই গোপনীয়তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন অমান্য করেছে। অন্যদিকে, যেসব প্রার্থী ও দল যথাসময়ে তথ্য জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে এমন তথ্যও নেই। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এটি প্রত্যাশিত নয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীকে এবং ৯০ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়। না দিলে প্রার্থীর জেল জরিমানা এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। ব্যয় বিবরণী প্রকাশ করা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দল ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসে জমা দেয়নি। এজন্য ইসি কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়নি।
ইসির এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী আইন মেনে চলতে ব্যর্থ প্রার্থী ও দলগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের। আইনকে উপেক্ষা করার দৃষ্টান্ত যেমন হতাশাজনক, তেমনি নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে কমিশন প্রার্থী ও দলগুলোকে আইন লঙ্ঘনে আরও বেশি উৎসাহিত করেছে।