Logo
×

Follow Us

সংসদ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে দণ্ড, সংসদে বিল উত্থাপন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৪:০৪

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে দণ্ড, সংসদে বিল উত্থাপন

প্রতীকী ছবি

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্র কিনলে দণ্ডের নির্দিষ্ট বিধান রেখে ‘সরকারি ঋণ বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। পাবলিক এক্ট ১৯৪৪ রহিত করে সংশোধনসহ পুনঃপ্রণয়নের জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়। 

আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উত্থাপন করলে বিলটি ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৮৮ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে প্রণয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।

খসড়া এই আইনে বলা আছে, কোনও ব্যক্তি যদি নিজের বা অন্য কারও পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের জন্য কোনও মিথ্যা তথ্য দেন, তবে তার সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা হবে। এখনকার আইনে জরিমানা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।

বিলে সরকারি ঋণ সংগ্রহ, রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি ও কাউন্টার গ্যারান্টি, সরকারি ঋণ অফিস, সরকারি ডিপোজিটরি স্থাপন, সরকারি সিকিউরিটি হস্তান্তর, এই সিকিউরিটি হস্তান্তরে দায়বদ্ধতা, ট্রাস্টের নোটিশ, ইস্যূ করা সার্টিফিকেটের অর্থ প্রদান, সরকারি সিকিউরিটির রূপান্তর, পুর্নগঠন, বিভাজন ও পুনঃইস্যু, বিধি, আদেশ, নির্দেশনা, গাইডলাইন ও পরিপত্র জারির ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে বিলটি উত্থাপনের পর্যায়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম আপত্তি উত্থাপন করলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অভিযোগ ছাড়া কোনও আদালত মিথ্য তথ্য সম্পর্কিত সংঘটিত অপরাধ আমলে নিতে পারবে না। কোনও সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের সার্টিফিকেটের মেয়াদপূর্তি পরবর্তীতে আসল ও মুনাফা দিয়ে দেওয়ার পর এ বিষয়ে সরকারের আর কোনও দায় থাকবে না।

সরকারি সিকিউরিটির ধারক এমন কোনও প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে বা অবসায়ন হলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিযুক্ত প্রশাসক সিকিউরিটির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে বিধান রাখা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার সরকারি সিকিউরিটি নিয়ম মেনে হস্তান্তর করার পর ওই ব্যক্তিকে সিকিউরিটির আসল বা সুদের বিষয়ে দায়ী করা যাবে না।   

সরকার বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অর্থায়ন বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত বা দেশি বা বিদেশি মুদ্রায় গৃহীত সুদ বা মুনাফা যুক্ত বা সুদ বা মুনাফা মুক্ত যেকোনও প্রকারের ঋণ ও বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারবে।

সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকার যে ঋণ নেবে তার যথাযথ গ্যারান্টি এই বিলের মাধ্যমে থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

খসড়া আইনে সরকারি ঋণ অফিসগুলোর ভূমিকা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। শরিয়াভিত্তিক সরকারি সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধানাবলি প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্বাভাবিক ডিপোজিট ব্যবস্থার পাশাপাশি শরিয়াভিত্তিক ডিপোজিট ব্যবস্থা-সুকুক এই আইনের অধীনে আনা হয়েছে। এটা আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলার দিয়ে চালু করা হয়েছিল।

বিলে বলা হয়ছে, সরকারি ঋণ আইনের মাধ্যমে কত টাকা হলো এবং এটির কী অবস্থা বা মুনাফা বা সুদ দেওয়া হলো তা জনগণকে জানানো হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫