মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পলাশ-শিমুল ফুল

ইমানুল সোহান, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৯:০০

১৭৫ একরের ক্যাম্পাসে বহুগুনে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পলাশ আর শিমুল ফুল।

ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন, মীর মোশাররফ হোসেন অনুষদ ভবন ও রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের চারপাশে দেখা মিলবে পলাশ ফুল গাছের।

ক্যাম্পাসজুড়ে প্রায় ১৫টি পলাশ ফুলের গাছ রয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠ, লেক ও বঙ্গবন্ধু হলের পিছনে রক্তিম আভার মতো মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল ফুল।

সম্মুখে চওড়া পাপড়ি, পেছনে দুটি ডানার মত ছড়ানো এবং দুটি একত্রে বাঁকানো, পাখির ঠোঁটের মতো অরণ্যের অগ্নিশিখা পলাশ। যেন পহেলা ফাল্গুনের আগাম বার্তা দিয়ে যায়। পলাশের সমারোহে ইঙ্গিত দেয় পলাশ যেন বসন্তেরই পূর্ণতা।

পলাশের মতো ফাল্গুন মাসজুড়ে শিমুল ফুল লাল পাপড়ি মেলে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে। দূর থেকে হঠাৎ দেখলে ঠিক মনে হবে, কেউ লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছেন। গাছজুড়ে টকটকে লাল শিমুল ফুল। ফুলের সুবাসনা না থাকলেও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাস্তার পাশে শিমুল ফুলের সৌন্দর্য দেখে অবশ্যই প্রকৃতিপ্রেমীদের নজর কাড়বে। পাখপাখালি আর মৌমাছিদের আনাগোনা চোখে পড়ার মত দৃশ্য। আর যেকোনো পথচারীকে দাঁড়িয়ে দেখতে বাধ্য করবেই।
বসন্তের রুক্ষতায় যখন পাতাশূণ্য হচ্ছে প্রকৃতি, ঠিক তখনি মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পলাশ ও শিমুল ফুল। গ্রামীণ আবহে হরহামেশাই রাস্তের ধারে দেখা মিলবে ফুল গাছ দুটির। কিন্তু কংক্রিটের শহুরে জীবনে যার দেখা মেলা কষ্টস্বাধ্য বটে। তবে দিনের পরিক্রমায় গ্রামীণ আবহ থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে গাছগুলো। কিন্তু ভিন্ন চিত্রের দেখা মিলবে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে।