
‘নো টাইম টু ডাই’: জেমস বন্ডের হাতে হয়তো আরো কিছুটা সময় আছে। তাই ড্যানিয়েল ক্রেগ অভিনীত ‘নো টাইম টু ডাই’ সিনেমার মুক্তির তারিখ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এপ্রিলে জেমস বন্ড সিরিজের এই সিনেমাটি মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তাতে প্রযোজক ঝুঁকি নিতে চান না।

ভেনিস আর্কিটেকচার বিয়েনালে: মে মাসে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মর্যাদাপূর্ণ এই আয়োজনটি তিন মাস পিছিয়ে আগস্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২৯ আগস্ট থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এটি।

লন্ডন বইমেলা: মার্চের ১০ থেকে ১২ তারিখ লন্ডনে বইমেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্মীদের নিরাপত্তার খাতিরে বেশ কয়েকটি বড় প্রকাশক মেলায় অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে মেলা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

ম্যুজিকমেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট: করোনাভাইরাসের কারণে সংগীত বিষয়ে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মেলা ‘ম্যুজিকমেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট’ স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল এই মেলা হওয়ার কথা ছিল৷ এবার মেলার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপনের পরিকল্পনা ছিল।

আইটিবি ট্রাভেল ট্রেড শো (বার্লিন): ভ্রমণ বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মেলার আয়োজনও শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছেন আয়োজকরা।

দ্য ল্যুভর: বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের প্যারিস ভ্রমণের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ল্যুভর মিউজিয়াম। ফ্রান্সে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

মিলান ডিজাইন সপ্তাহ: প্রতিবছর এপ্রিলে সারা বিশ্বের পেশাদার ডিজাইনার, শিল্পী ও কোম্পানি নতুন নতুন আসবাবপত্রের নকশা ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন দেখতে মিলান যান। করোনাভাইরাসের কারণে আয়োজকরা মেলা পিছিয়ে জুনে নিয়ে গেছেন।

লা স্কালা অপেরা হাউস: ইটালির অভিজাত অপেরা হাউসগুলোর একটি মিলানের লা স্কালা। আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত যেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কে-পপ কনসার্ট: দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর কে-পপ বয় ব্যান্ড ‘বিটিএস’ সৌল অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তাদের চারটি কনর্সাট বাতিল করেছে।

‘মিশন ইম্পসিবল’: ইতালিতে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর টম ক্রুজ ভেনিসে তার ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিনেমার শুটিং বাতিল করেছেন।

প্যারিস ফ্যাশন উইক: করোনার প্রভাব প্যারিস ফ্যাশন উইকেও পড়েছে। অনেক বড় বড় ডিজাইনার অংশ নেননি। এমনকি সম্ভাষণ জানানোর ঐতিহ্যবাহী রীতিতেও পরিবর্তন দেখা গেছে। ছবি: গার্ডিয়ান
ফ্যাশন শো থেকে অপেরা হাউস, বইমেলা বা নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন- করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে একের পর এক অনুষ্ঠান আয়োজন বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
নতুন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৪৯৭ জন মারা গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ২৩৭।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ৫৭ হাজার ৬২২ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত ৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
তথ্য ও ছবি ডয়চে ভেলে।