
৪ এপ্রিল আগুন লাগার পর ৮ এপ্রিল থেকে ব্যবসায়ীরা বঙ্গবাজারের দক্ষিণ দিকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নীচে অস্থায়ী দোকান খোলা শুরু করেন। এরপর গত ১২ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস চৌকি বিছিয়ে ঈদের আগ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার অনুমতি দেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, তীব্র গরমে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা মনে করেন, সিটি করপোরেশন থেকে উপরে কোনো শামিয়ানা না টাঙানোর ব্যবস্থা করলে এই গরমে বেচাকেনা করা সম্ভব না।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগুন লাগার পর তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এই অবস্থায়ও সুযোগ নিতে কেউ ছাড়ছে না। তীব্র গরমে ক্রেতা নেই, তার উপর পাইকার আর সাধারণ ক্রেতারা পণ্যের কেনা দামও দিতে চাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের।

বিকেলে রোদের তাপ কিছুটা কমলে ক্রেতাদের উপস্থিতিও বাড়ে। ওই সময় অফিস-আদালত ছুটি হয়ে যাওয়ায় ক্রেতারা বাসায় যাওয়ার পথে মার্কেটে ঘুরে যান। তবে তাতেও বেচাবিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

বঙ্গবাজারের পুড়ে যাওয়া তিনতলা মার্কেটে প্রায় তিন হাজার দোকান ছিল। এখন চৌকি বিছানোর পর কেবল এক-তৃতীয়াংশ দোকানদার বসার সুযোগ পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে চৌকি প্রতি একজন ব্যবসায়ীকে দোকান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবাজার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা খোলা আকাশের নীচে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে বেচাকেনা শুরু করেছেন; কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তীব্র গরম। দেখুন ছবিঘরে...